ট্রায়াল শেষে ডেঙ্গু ভ্যাকসিন প্রয়োগ পর্যায়ে আসতে আরও অনেক সময় বাকি। বলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নিপসম অডিটোরিয়ামে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইসিডিডিআর,বি (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) একটি ডেঙ্গু টিকা নিয়ে কাজ শুরু করেছে, যা চারটি ধরনেই কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে। তবে সেটি এখনও ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় ট্রায়াল শেষ হলেও তৃতীয় ট্রায়াল সম্পন্ন করে চূড়ান্ত পর্যায়ে আসতে আরও অনেক সময় বাকি।
জাহিদ মালেক বলেন, ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরির কার্যক্রম চলছে। আমাদের দেশে যে টিকা আনার চেষ্টা হচ্ছে তা এখনো ট্রায়াল অবস্থায় চলছে। ডেঙ্গু ভ্যাকসিন ট্রায়ালে যদি আইসিডিডিআর,বি কোনো সহযোগিতা চায়, তাহলে সে অনুযায়ী তাদের আমরা সহযোগিতা করবো।
তিনি বলেন, আইসিডিডিআরি,বি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এর আগেও কলেরা টিকা আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের এ ডেঙ্গু ভ্যাকসিন নিয়েও যে সহযোগিতা চাইবে তা আমরা করবো।
মন্ত্রী বলেন, দেশে ডেঙ্গুতে ১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। আমরা চাই না একজন মানুষও এই রোগে মারা যাক। আমরা ৭ লাখের মতো স্যালাইন আমদানি করছি। এর মাঝে ৩ লাখ স্যালাইন চলে এসেছে। দেশের প্রতিষ্ঠান গুলোতে ৫০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের বর্তমান যে চাহিদা তাতে ৩০ থেকে ৪০ লাখ ব্যাগ প্রয়োজন হয়। তবুও আমরা নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে স্যালাইন আমদানি করছি৷ এছাড়া কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমদানী করতে চাইলেও করতে পারবে।