পরিবেশ ও জীববৈচিত্র
নক্ষত্রের উজ্জ্বলতাকেও ছাড়িয়ে গেল বিশেষ স্যাটেলাইট
অনেক সময় রাতের আকাশে দেখতে পাওয়া অতিউজ্জ্বল বস্তুটি নক্ষত্র বলে অনেকেই মনে করি। তবে সেটি মহাজাগতিক বস্তু নয়। তাহলে কি এটি?এমন প্রশ্ন অনেকের। বস্তুটি হচ্ছে একটি বিশালাকার কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ। ব্লুওয়াকার থ্রি নাম তার। যার উজ্জ্বলতা আকাশে দৃশ্যমান ৯৯ শতাংশ নক্ষত্রকে ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রবন্ধে এমনটি উঠে এসেছে।
অন্যান্য কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে এ বিশালাকার ব্লুওয়াকার থ্রি। মহাকাশে পর্যটন পাঠাতে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স এককভাবে পাঁচ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে। সারাবিশ্বের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পৃথিবীর কক্ষপথে তারা অন্তত পাঁচ লাখ স্যাটেলাইট পাঠাবে। এসব কিছু নিয়ে জ্যেতির্বিজ্ঞানীরা শঙ্কা করছেন যে এতে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশচারী পেট্রিক সইটজার জানিয়েছেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে স্যাটেলাইটের উজ্জ্বলতার কোন সীমা-পরিসীমা নেই। আগামী কয়েক বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে আরও অনেক উজ্জ্বল ও বিশালাকার কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ পাঠানো হবে, যেগুলোর অবস্থান রাতের আকাশের মানচিত্র বা রূপকেই পুরোপুরি বদলে দেবে।
টেক্সাসভিত্তিক টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান এএসটি স্পেসমোবাইল ব্লুওয়াকার থ্রি নামের এই স্যাটেলাইটটি গেলো বছরের ১০ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সারাবিশ্বে পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। স্যাটেলাইটটির অনেকগুলো অ্যান্টিনা ঢেকে রাখার জন্যে একটি সাদা আবরণ ব্যবহার করা হয়েছে যা সূর্যের রশ্মিকে প্রতিবিম্বিত করবে। এই প্রতিফলন এতোটাই তীব্র যে তা চাঁদের প্রতিফলনের মতোই পৃথিবীকে সন্ধ্যার সময় আলোকিত করবে।
মহাকাশ গবেষকরা এই স্যাটেলাইটটিকে যুক্তরাষ্ট্র, চিলি, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও মরক্কো থেকে দেখতে পান। এই স্যাটেলাইটটিকে খালি চোখে উজ্জ্বল ভেনাস এবং নর্থ স্টারের চেয়েও বেশি উজ্জ্বল দেখায়।
মহাকাশ গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর কক্ষপথে খুব কাছ দিয়ে ঘূর্ণীয়মান স্যাটেলাইটগুলোর উজ্জ্বলতা সবচেয়ে বেশি হতে পারে সাত প্লাস ম্যাগনিচিউটের। ব্লুওয়াকারের উজ্জ্বলতা হচ্ছে তিন প্লাস ম্যাগনিচিউট। প্রবন্ধটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র
‘জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে’
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান ব্যয়বৃদ্ধি মেটাতে একটি সমন্বিত সর্বজনীন অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। বললেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং কপ২৮ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ড. হাছান মাহমুদ।
আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে কপ২৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে ‘রাইজিং উইথ দ্য টাইড : ট্র্যাকিং রিফর্মস ইন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার ফর এক্সিলারেটেড ডেভেলপমেন্ট-পজিটিভ ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম এবং ২০টি ভালনারেবল দেশের জোট- সিভিএফ-ভি ২০ এর বর্তমান চেয়ারম্যান ঘানার রাষ্ট্রপতি নানা আকুফো আডোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন ফোরামের পরবর্তী চেয়ারম্যান বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে, ফোরামের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ এবং প্রথম মহাসচিব মোহাম্মদ নাশিদ। ঘানার রাষ্ট্রপতি এই ফোরামে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বের দুই মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিভিএফ-ভি ২০ ফোরমে দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ুঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো সহনীয়তা ও সক্ষমতায় সমৃদ্ধ হয়েছে। সেই সময়ে বৈশ্বিক জয়েন্ট মাল্টি ডোনার ফান্ড গঠন এবং দেশে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ প্রণীত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’র অধীনেই প্রতি বছর দেশের প্রয়োজন ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। একইসাথে মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশ উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নয়, বরং এর অসহায় শিকার। তবুও বঙ্গবন্ধুকন্যার পরিকল্পনামাফিক ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ ৪০ শতাংশ সবুজ শক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে চলেছে।
পরে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ কপ ২৮ প্রেসিডেন্সি গোলটেবিল বৈঠকে ‘অ্যাক্সিলারেটিং ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ বৈঠকেও অংশ নেন।
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র
ঢাকার বায়ু আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
রাজধানী ঢাকায় বায়ু দূষণ কমছেই না। আজ (শুক্রবার) সকালের ঢাকায় ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু নিয়ে বায়ু দূষণে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে এর অবস্থান দ্বিতীয়।
আজ সকাল ১০টার দিকে আইকিউএয়ারের বাতাসের মান সূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ২২৩। বাতাসের এই মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গেলো প্রায় এক মাসের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর, অর্থাই প্রায় এক মাসের মধ্যে আজই ঢাকার বাতাসের মান সবচেয়ে খারাপ।
আজ দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে কলকাতা। ভারতীয় শহরটির স্কোর ৩০৩, যা বিপজ্জনক বলে বিবেচনা করা হয়।
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র
ওজন বাড়লেই পুরুষ থেকে নারীতে পরিণত হয় কোরাল মাছ
হাজারো বৈচিত্র্যে ভরপুর আমাদের প্রাণিজগৎ। বৈচিত্র্যের শেষ নেই এই জগতে। প্রাণীদের জীবনযাপন আরও বেশি চমকপ্রদ।প্রতিনিয়ত আবিষ্কার হচ্ছে এই প্রাণিজগতের নানা অজানা তথ্য।বৈজ্ঞানিক গবেষণার নিত্যনতুন ফলাফল রীতিমতো চমকে দেয় আমাদের। জনপ্রিয় ও সুস্বাদু কোরাল মাছের একটি বৈশিষ্ট্যও সম্প্রতি মৎস্যবিজ্ঞানীদের কৌতূহলী করে তুলেছে।
গবেষণায় জানা গেছে, কোরাল মাছ জন্মায় উভলিঙ্গ পরিচয় নিয়ে। এরপর পুরুষ হিসেবে বাড়ে।আর বয়সকালে পরিণত হয় নারীতে। তবে এই রূপান্তরের প্রক্রিয়াটি বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো অজানা রয়ে গেছে।
গবেষণায় জানা গেছে, স্তন্যপায়ী প্রাণীরা জন্মের সময় যে লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে পৃথিবীতে আসে,সেটাই তার আজীবন লৈঙ্গিক পরিচয় হয়।তবে মাছের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।উষ্ণ পানির অধিকাংশ মাছই জন্মায় পুরুষ হয়ে। লিঙ্গ নির্ধারণে তাপমাত্রাও ভূমিকা রাখে।
যুক্তরাজ্যের স্যালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞানী ও গবেষক অধ্যাপক স্টিফানো মারিয়ানির মতে,লিঙ্গ পরিবর্তনে মাছের পারদর্শিতা প্রাণিজগতে সবাইকে ছাপিয়ে যায়। গবেষণায় তিনি দেখেছেন, মাছেরা নিজেদের অ্যান্ড্রোজেন হরমোনকে দ্রুতই অ্যাসট্রোজেনিক হরমোনে রূপান্তর করতে পারে। এর ফলে তারা নিজেদের লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে।
কোরাল মাছ নিয়ে গবেষণা করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কক্সবাজারের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তিকেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল হক। ২০১৮ সালে পরিচালিত গবেষণায় তিনি দেখতে পান কোরাল মাছ প্রথমে উভলিঙ্গ হয়ে জন্মায়। এরপর পুরুষ হয়। আর চার কেজির বেশি ওজন হলে অধিকাংশ কোরাল স্ত্রীতে রূপান্তরিত হয়।
একই কথা বলেছেন,কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান।বায়ান্ন টিভিকে তিনি বলেন,কোরাল মাছ জন্ম নেয় পুরুষ হিসেবে। ওজন যখন চার কেজির বেশি হয়, তখন পুরুষ কোরাল আপনা-আপনি স্ত্রী জাতে রূপান্তর ঘটে।
কিন্তু কোরাল পুরুষ হয়ে জন্মায় কেন এবং পুরুষ থেকে স্ত্রী জাতে রূপান্তর কেন ঘটে, এ নিয়ে বিশদ গবেষণা হয়নি বলেও জানান্ তিনি।
-
আইন-বিচার5 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
ক্রিকেট3 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
টুকিটাকি5 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
জাতীয়4 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
-
খুলনা6 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
অপরাধ5 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
শিক্ষা7 days ago
রাতে মোবাইল ঘাটাঘাটির কারণে ফল খারাপ হয়েছে: অধ্যক্ষ ভিকারুননিসা
-
শিক্ষা7 days ago
এসএসসিতে এবারের সেরা ১০ স্কুল