মুশফিকের বিদায়ে বিষাদময় বাংলাদেশের ইনিংস

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় নিশ্চিতের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ধুঁকছে বাংলাদেশ। প্রথম চার ব্যাটারকে দ্রুত হারিয়ে শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামা মুশফিকুর রহিমের উপরে ছিলো প্রত্যাশা। কিন্তু ৩০ রান করার পর তার বিদায়ে বিষাদ নেমে আসে মিরপুর স্টেডিয়ামে। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর প্রথমবারদেশের জার্সিতে আজ কুড়ি ওভারের ম্যাচ খেলতে নামেন মুশফিকুর রহিম। সেই সঙ্গে রেকর্ড বুকে জায়গা করে নেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ক্রিকেটার আর বিশ্বের একাদশ ক্রিকেটার হিসেবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এ ভার্সনে শততম ম্যাচ খেলেন। অবশ্য আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই এ রেকর্ডের মালিক হতে পারতেন তিনি। 

কিন্তু ইনজুরির কারণে সে ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ২০০৬ সালে খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। মুশফিকের আগে কেবল সেঞ্চুরি আছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। বর্তমানে মাহমুদউল্লাহর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সংখ্যা ১১৫। ৯৬ ম্যাচ নিয়ে তার পরই আছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। 
 
এদিকে, টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় টাইগাররা। আজ শনিবার (০৫ মার্চ) লিটন দাসও সাজঘরে ফিরে যাওয়ায় যেন বে-আব্রু হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। মুনিম শাহরিয়ার আবারো ব্যর্থ হয়েছেন প্রত্যাশা পূরণে। ফেরেন মাত্র ৪ রান করে। এরপর ফজলহক ফারুকির সাথে খণ্ড যুদ্ধে জয় পেয়ে দারুণ এক প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দেয়া লিটনও পারেননি তার ব্যাটখানাকে প্রথম ম্যাচের মতো চওড়া করতে। ওমারজাইয়ের শর্ট অব লেন্থের বলে করা লিটনের হুক ডিপ স্কয়ার লেগে তালুবন্দি করেন শারাফউদ্দিন আশরাফ। ১৩ রানেই শেষ হয় ক্রিজে লিটনের রোমাঞ্চ।

মোহাম্মদ নাঈমও পারেননি টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাট করতে। ১৯ বলে ১৩ রান সংগ্রহ করে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। অন্যদিকে, সাকিব আল হাসান আবারও বোধহয় কিছুটা খেই হারিয়েছেন ব্যাট হাতে। ১৫ বলে কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে না পেরে মাত্র ৯ রান করে আউট হয়েছেন এই চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার।

হাসিব মোহাম্মদ

Recommended For You

Exit mobile version