Connect with us

বাংলাদেশ

গান গেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমি চাইলেন মেয়র আতিক

Published

on

‘পরের জায়গা পরের জমিন/ঘর বানাইয়া আমি রই/আমি তো এই ঘরের মালিক নই’-এই গান গেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জিমি চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও করতালি দিয়ে তাকে সাধুবাদ জানান।

আজ রোববার (৬ মার্চ) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন।

মেয়র আতিক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি বলেন, কমপ্লেক্স করতে হবে। আমরা এখানে ওয়ার্ড কমপ্লেক্স, জোনাল কমপ্লেক্স করব। এই কমপ্লেক্সের মাধ্যমে থাকবে কমিউনিটি সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিক, ওয়ার্ড অফিস, লাইব্রেরি এবং কালচারাল সেন্টার। সেজন্য পরিকল্পিত শহর গড়ে তুলতে নগর পরিকল্পনাবিদদের সহায়তায় একটি বিশদ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পরিকল্পিত শহর বলতে আমরা বুঝি- খেলার মাঠ, পার্ক, বাস-ট্রাক টার্মিনাল, কিচেন মার্কেট, কাঁচাবাজার, স্লটার হাউস, ক্যাটেল মার্কেট, সেনেটারি ল্যান্ড ফিল্ড, সেকেন্ডারি ট্রান্সফর্ম স্টেশন, পাবলিক টয়লেট, গ্রেভিয়ার্ড, মসজিদ, উপাসনালয়।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এগুলো করতে আমাদের জায়গা লাগে। একটি গান আছে, ‘পরের জায়গা পরের জমিন/ঘর বানাইয়া আমি রই/আমি তো এই ঘরের মালিক নই।’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি মালিক না, আপনি হলেন ঘরের মালিক। আমি করজোরে আপনাকে বলব, এই এলাকার জন্য যদি পার্ক করতে চাই, যদি ট্রাক স্ট্যান্ড করতে চাই, যদি খেলার মাঠ করতে চাই; নতুন এই ওয়ার্ডগুলোতে একটি জায়গাও সিটি করপোরেশনের হাতে নাই। এগুলো আছে প্রত্যেকটি সংস্থার কাছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেছেন, আপনি একটি শহর গড়বেন, এ জন্য নতুন এই ওয়ার্ডগুলো করেছেন। আপনি আমাদের জায়গা দিন, আমরা কথা দিচ্ছি, আমাদের নিজের খরচে সব করে নিতে পারবো।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এই নতুন অঞ্চলকে উন্নত করতে সর্বমোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। এ থেকে প্রাথমিকভাবে প্রথম ধাপে আপনি ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। এ জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।

 

এসআই/

Advertisement

অপরাধ

এনবিআরের ফয়সাল ও স্বজনদের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন: দুদক

Published

on

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল ও তার ১১ স্বজনের নামে ১৯টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮৭টি হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। তার শ্বশুর-শাশুড়ির ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। ফয়সাল তার অপরাধলব্ধ আয় লুকানোর জন্য স্বজনদের নামে ৭০০টির মতো ব্যাংক হিসাব খুলেছিলেন। এর মধ্যে ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে দুদক।

শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে ১৮টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এসব ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১৯ কোটি টাকা জমা এবং পরে তার বড় অংশ উত্তোলনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।

আদালতে জমা দেয়া দুদকের নথি থেকে জানা যায়, ফয়সালের শ্বশুরের নাম আহম্মেদ আলী। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। তার শাশুড়ি মমতাজ বেগম পেশায় গৃহিণী।

দুদক বলছে, শ্বশুর ও শাশুড়ির নামের ব্যাংক হিসাবে যে অর্থ লেনদেন হয়েছে, তা ফয়সালেরই অপরাধলব্ধ আয়। ফয়সাল ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ নিজের ও স্ত্রীর নামে রাখার পাশাপাশি স্বজনদের নামেও রেখেছেন।

জানা গেছে, ফয়সাল ২০০৫ সালে বিসিএস (কর) ক্যাডারে সহকারি কর কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে এনবিআরের আয়কর বিভাগের প্রথম সচিব (ট্যাক্সেস লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।

Advertisement

ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে গেলো বছর ফয়সালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ফয়সাল ও তার আত্মীয়স্বজনের নামে সম্পদের বিবরণী আদালতের কাছে তুলে ধরে সংস্থাটি।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সাল ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে ৫ কাঠার দুটি প্লট, শ্বশুরের নামে থাকা ঢাকার রমনা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, খিলগাঁওয়ে শাশুড়ির নামে ১০ কাঠার প্লট জব্দ এবং ৮৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।

দুদকের নথিতে ফয়সাল, তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন, ফয়সালের ভাই কাজী খালিদ হাসান, শ্বশুর আহম্মেদ আলী, শাশুড়ি মমতাজ বেগম, শ্যালক আফতাব আলী, খালাশাশুড়ি মাহমুদা হাসান, মামাশ্বশুর শেখ নাসির উদ্দিন, আত্মীয় খন্দকার হাফিজুর রহমান, ফারহানা আফরোজ ও রওশন আরা খাতুনের ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আদালতে জমা দেয়া দুদকের তথ্য বলছে, ফয়সালের নামে ছয়টি ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা জমা হয়। ফয়সালের স্ত্রী আফসানা জেসমিনের পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ফয়সালের শ্বশুর আহম্মেদ আলীর আটটি ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ১১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। তার নামের আটটি ব্যাংক হিসাবের দুটি ২০০৭ ও ২০১০ সালে খোলা। বাকিগুলো খোলা হয় ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে। ফয়সালের শাশুড়ি মমতাজ বেগমের নামে ১০টি ব্যাংক হিসাবে ৭ কোটি টাকা জমা হয়। তার নামের ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে একটি ২০০৯ সালে খোলা হয়। বাকিগুলো খোলা হয়েছে ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে। ফয়সালের শ্যালক আফতাব আলীর ৬টি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জমার তথ্য পেয়েছে দুদক।

বিভিন্ন সময়ে এসব টাকা জমা হয়েছে। পরে তার বড় অংশ তুলে নেয়া হয়েছে। জমা ও উত্তোলনের পর ফয়সাল, তার স্ত্রী, শ্বশুর ও তার স্বজনদের ১৯টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে রয়েছে প্রায় ৭ কোটি টাকা। তাদের নামে রয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র।

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩১  

Published

on

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এ সময় ৯০১ পিস ইয়াবা, ৫৮ গ্রাম হেরোইন ও ৪ কেজি ৩১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০টি মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

 

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত এক

Published

on

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে গেছে। একজন নিহত। এতে আহত ১৪। এরইমধ্যে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।

শনিবার (২৯ জুন) সকাল ৯টার দিকে ফৌজদারহাটের ফকিরহাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের মবিলাইজিং অফিসার (এমও)।

তিনি জানান, সকাল ৯টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস খাদে পড়ে গেছে। খবর পাওয়া মাত্রই উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট কাজ শুরু করছে। এ ঘটনায় একজন নিহত ও ১৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version