Connect with us

ঢাকা

নারীর সুস্বাস্থ্য ও অধিকার নিয়ে ‘নারী মৈত্রী’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

Published

on

নারীর সুস্বাস্থ্য ও অধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘’নারী মৈত্রী’’ প্যানেল ভিত্তিক আলোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভার আয়োজন করেছে। 

গতকাল বুধবার (৯ মার্চ) হোটেল বেস্টওয়ে স্টার্ন হেরিটেজ-এ সভার আয়োজন করা হয়।

ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) সহায়তায় ও ব্যুরো অফ পপুলেশন, রিফিউজিস, এন্ড মাইগ্রেশন এর অর্থায়নে আয়োজিত অনুষ্ঠানটির মূল বিষয়বস্তু ছিল "লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার মূল কারণ হিসাবে অসম লিঙ্গ শক্তি সম্পর্ককে মোকাবেলা করে প্রতিরোধের প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করা”।

এ সময় প্যানেল মেম্বার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্যামুয়েল কোমাকেচ, ইন্ট্রিগ্রেটেড প্রোটেকশন কর্ডিনেটর, আইআরসি, সোফিয়া কেনোভাস পেরেডা, জিবিভি সাব সেক্টর কর্ডিনেটর, ইউএনএফপিএ,সারাহ হোসেন, প্রোটেকশন ম্যানেজার, ব্রাক, নাঈম আহমেদ, টেকনিক্যাল ম্যানেজার, এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ, শাহীন আকতার ডলি, নির্বাহী পরিচালক, নারী মৈত্রী সহ আরও অনেক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিগন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯(৩) অনুচ্ছেদে জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। নারীদের যথার্থ মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকার নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। দেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে সহযাত্রী হিসেবে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন উপস্থিত সকলে। তারা আশা করে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব গড়ার কাজে পুরুষের মতো সমান অবদান রাখার প্রত্যয় নিয়ে নারীর এগিয়ে চলা আগামীতে আরো বেগবান হবে। 

Advertisement

নারী মৈত্রীর নির্বাহি পরিচালক শাহীন আকতার ডলি আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিশ্বের সকল নারীর প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সকল অগ্রগতি এবং উন্নয়নে সমঅংশীদারিত্ব নিশ্চিত করেছে যা লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধের জন্যও কাজে আসছে।”

অপরাধ

অন্তঃসত্ত্বাকে স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

Published

on

চাঁদপুরে যৌতুক না দেয়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি নিহতের ঘাতক স্বামী ইব্রাহিম প্রধানিয়াকে (৩৮) যশোরের বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বেনাপোল ডিগ্রি কলেজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাটি স্পর্শকাতর ও হৃদয়বিদারক হওয়ায় সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

ইব্রাহিম প্রধানিয়া চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বকচর এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে। স্ত্রীকে হত্যার পর গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি বেনাপোল এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. সাকিব হোসেন গণমাধ্যমে জানান, গেলো ১০ এপ্রিল চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে (২৩) শারীরিক নির্যাতনপূর্বক শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিহত গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত গৃহবধূর শাশুড়িকে মামলা রুজুর পরপরই গ্রেপ্তার করা হলেও মূল অপরাধী ঘাতক স্বামী নিজেকে আত্মগোপন করেন। তবে আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মূল অপরাধী ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তারের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সহযোগিতা চান। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত দেড়টার দিকে বেনাপোল ডিগ্রি কলেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি ঘাতক স্বামী ইব্রাহিম প্রধানিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব।

অধিনায়ক আরও জানান, মামলা সূত্রে জানা যায় যে হত্যাকাণ্ডের শিকার গৃহবধূ খাদিজা আক্তারের সঙ্গে ইব্রাহিম প্রধানিয়ার পারিবারিকভাবে গত চার বছর পূর্বে বিয়ে হয় এবং তাদের পরিবারে দুইটি ছেলে সন্তান আছে। গেলো এক বছর যাবৎ স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে ফার্নিচার নিয়ে আসার জন্য তার স্বামী ও শাশুড়ি বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতেন এবং মাঝেমধ্যে শারীরিক নির্যাতন করতেন। কিন্তু গৃহবধূর বাবা হতদরিদ্র হওয়ায় ভুক্তভোগীর শ্বশুরবাড়িতে তাদের দাবিকৃত ফার্নিচার দিতে না পারায় গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতন করার ফলে এলাকায় স্থানীয় মেম্বার ও মুরব্বিদের নিয়ে একাধিকবার সালিশি বৈঠক করা হয়।

সালিশি বৈঠকে ওই গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়ি গৃহবধূর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার অঙ্গীকার করলেও পরবর্তীতে তারা আবারও বিভিন্ন অজুহাতে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। গেলো ঈদুল ফিতরের রাতে ঈদ উপলক্ষ্যে বাড়িতে কোনো ধরনের বাজার না করার বিষয়কে কেন্দ্র করে গৃহবধূকে তার স্বামী ও শাশুড়ি মিলে নির্যাতন করেন এবং একপর্যায়ে বাড়িতে থাকা ডিজেল ওই গৃহবধূর শরীরে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় গৃহবধূর ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নেভায়। কিন্তু ততক্ষণে তার প্রায় সম্পূর্ণ শরীর পুড়ে যায়। পরবর্তীতে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে চিকিৎসারত অবস্থায় ১২ এপ্রিল মধ্যরাতে গৃহবধূ মারা যান।

Advertisement

র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. সাকিব হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং জানান গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য যশোরের বেনাপোল ডিগ্রি কলেজ এলাকায় বসবাসরত তার আত্মীয়ের বাড়িতে নিজেকে আত্মগোপনে রেখেছিলেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

ধান মাড়ায়ের কাজ করার সময় দুই শ্রমিক নিহত

Published

on

নরসিংদীতে বজ্রপাতে ধান মাড়াইয়ের কাজ করার সময় দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের চাকশাল মাঠে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। পাঁচদোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের ভাটপাড়া এলাকার তাহের আলীর ছেলে বিজয় মিয়া (১৭) ও সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর এলাকার কবির মিয়া (২৭)।

স্থানীয়রা জানান, কয়েকজন কৃষক ও কৃষিশ্রমিক চাকশাল মাঠে ধান কাটা শেষে মাড়াইয়ের কাজ করছিলেন। সন্ধ্যায় বৃষ্টি শুরু হলে হঠাৎ বজ্রপাতে কবির মিয়া নামে এক কৃষি শ্রমিকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এসময় আহত অবস্থায় আরও ৩ জনকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে বিজয় মিয়া নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সিরাজ মিয়া ও সৌরভ নামের আহত দুইজনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এছাড়া পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মো: সজল মিয়া (১৮) নামে শিবপুরের পুটিয়া ইউনিয়নের শানখোলা এলাকার এক অটোচালক বজ্রপাতে আহত হয়েছেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

চট্রগ্রামে নিহত বিমানবাহিনীর পাইলটের বাড়িতে চলছে আহাজারি

Published

on

চট্টগ্রামের  কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদের মানিকগঞ্জের বাসায় চলছে স্বজনদের আহাজারি। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কান্না করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছেন মা নিলুফার খানম।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে নিহত পাইলটের মানিকগঞ্জ জেলা শহরের গোল্ডেন টাওয়ারের  বাসায় গিয়ে  এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।

নিহতের মামা  সুরুষ খান জানান, ছোটবেলা থেকেই আসিম জাওয়াদের স্বপ্ন ছিল সে বিমানবাহিনীতে যোগ দেবে। তাঁর স্ত্রী, ছয় বছরের মেয়ে  ও এক বছরের ছেলে রয়েছে। পরিবার নিয়ে সে কর্মস্থল চট্টগ্রামে থাকত।

নিহতের খালাতো ভাই মো. মশিউর রহমান শিমুল জানান, আজ সকালের দিকে জানতে পারেন চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপর থেকেই তাঁরা খোঁজ নিতে শুরু করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে খবর পান আসিম জাওয়াদ  মারা গেছেন। তাঁর বাবা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ছাত্রজীবনে আসিম কখনো দ্বিতীয় হয়নি। আজ বিমান দুর্ঘটনার কারণে দেশ একজন চৌকস অফিসারকে হারালো।

Advertisement

প্রসঙ্গত, নিহত পাইলটের বাবা আমান উল্লাহ একজন চিকিৎসক আর মা নিলুফার খানম সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন। আসিম জাওয়াদ নারায়ণগঞ্জে বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীর নাম অন্তরা আক্তার।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version