ক্রয়ক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়েছে, জিডিপি বেড়েছে : তথ্যমন্ত্রী

গেলো ১৩ বছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়েছে, তাতে মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ থেকে ২৬০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এই বৃদ্ধি আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ বিশ্বের সবাই স্বীকার করেছে। আমাদের মাথাপিছু আয় অনেক আগেই পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছিল, এখন ভারতকেও ছাড়িয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়েছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে। বললেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী  এবং  আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

আজ শনিবার (১২ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবে টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ সংগঠনের টেলিপ্রেস-ট্রাব মিডিয়া এওয়ার্ড ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সমগ্র বিশ্ব গেলো ১৩ বছরে বাংলাদেশের উন্নতির স্বীকৃতি দিলেও মির্জা ফখরুল সাহেবদের এগুলো স্বীকার করতে কষ্ট হয়। কারণ দেশের মানুষের অগ্রগতি তাদের পছন্দ নয়, বিএনপি চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক।

তিনি বলেন, করোনার মধ্যে বিশ্বের মাত্র ২০ টি দেশের জিডিপির ধ্বনাত্বক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি শীর্ষদেশ।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি'র অর্থমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো নয়, তাহলে বাইরে থেকে সাহায্য-খয়রাত পাবো না। যাদের মানসিকতা এমন, তাদের তো অগ্রগতি পছন্দ হবে না। সেজন্যই তারা এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে এবং তখন আওয়ামী লীগ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার বলুন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলুন, সেই দায়িত্ব পালন করবে। এর মধ্যে দেশে যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে, অনেকগুলোতে বিএনপিও জয়লাভ করেছে। প্রকৃতপক্ষে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এদেশে যেমন মেধাবী পরিচালকরা রয়েছেন, তেমনি আমাদের ছেলেমেয়েরা দেখতে সুন্দর, অভিনয়েও প্রতিভাবান। বিদেশি ২য়-৩য় গ্রেডের শিল্পীদের এনে বিজ্ঞাপন-সিনেমা বানানোর খুব প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয় না। মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে আমরা কাউকে মানা করছি না, বিদেশি শিল্পী কেউ আনতে চাইলে আনবে, তবে সরকারের প্রাপ্য কর দিতে হবে।

Recommended For You

Exit mobile version