Connect with us

শিশু স্বাস্থ্য

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে যেভাবে

Published

on

অনেক সময়েই মায়েরা অভিযোগ করেন তাদের শিশুরা নাকি কিছুই খেতে চায় না। ভালো-মন্দ খাবার বানিয়ে দিলেও কিছুই মুখে তুলতে চায় না খুদে। চিকিৎসকেরা বলেন, শিশুরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে অনেক সময় মুখে অরুচি আসে তাদের। সপ্তাহে তিন বারের কম মল ত্যাগ করলে, তাদের পেট ব্যথা হলে বুঝতে হবে খুদে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছে। এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমস্যা দূর হবে যেভাবে।

১. শিশুর পানি পানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। শরীরে পানির ঘাটতি হলেও কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে শিশুরা। তাই শিশুর পানি পানের বিষয়টি নজরে রাখুন।

২. শিশুকে ফাইবার সমৃদ্ধ শাক-সব্জি ও ফল বেশি করে খাওয়াতে তবে। কলা, স্ট্রবেরি, দই, চিয়াবীজ মিক্সিতে ঘুরিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন, উপকার পাবেন।

৩. রাতে শুতে যাওয়ার সময় ১/২ চা চামচ ঘি-র সঙ্গে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়ালে উপকার পাবেন।

৪. রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পেটের উপর ডান দিক থেকে বাঁ দিক, এই অভিমুখে হিং মাখালেও শিশু গ্যাস সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারে।

Advertisement

৫. সেদ্ধ করা খাবার বেশি করে খাওয়ান।

৬. চিপ্‌স, ভাজাভুজি ও মিষ্টির পরিমাণ কমিয়ে বাড়িতে তৈরি করা হালকা টাটকা খাবার খাওয়ালে উপকার পাবেন।

৭. শিশুদের বেশির ভাগ সময়টা এখন বাড়িতেই কাটে। চেষ্টা করুন শিশুকে বাইরে খেলতে নিয়ে যাওয়ার। মুঠোফোন নির্ভর না হয়ে বাইরে গিয়ে খেলাধূলার অভ্যাস করান।

প্রত্যেক শিশুর খাওয়ার ধরন আলাদা। তাই খাদ্যাভ্যাসে কোনও রকম বদল আনার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়াই ভালো।

Advertisement

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে বিক্রিত শিশু খাদ্য সেরেলাক নিয়ে ভয়ংকর তথ্য

Published

on

সুইস কোম্পানি নেসলের বাংলাদেশে শিশুখাদ্য হিসেবে সর্বাধিক বিক্রিত দুটি পণ্য— সেরেলাক এবং নিডোতে উচ্চ-মাত্রার চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যদিও যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড এবং অন্যান্য উন্নত দেশে নেসলের বিক্রি করা একই শিশুখাদ্যে কোনও ধরনের বাড়তি চিনি যুক্ত করা হয় না।

সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণায় নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক ও নিডো নিয়ে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে।

যৌথ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়,  বিশ্বের অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিক্রি করা নেসলের এই দুই শিশুখাদ্যে উচ্চ-মাত্রায় চিনি যুক্ত করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। শিশুদের খাবারে চিনি যুক্ত না করার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ রয়েছে। কারণ শিশুখাদ্যে চিনি যুক্ত করা হলে তা স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী কয়েকটি রোগের কারণ হতে পারে।

গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে একজন শিশুকে একবারে যে পরিমাণ সেরেলাক খাওয়ান হয় তাতে তিন দশমিক তিন গ্রাম বাড়তি চিনি থাকে। বাংলাদেশ ছাড়াও বাড়তি চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কিছু উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশে এ বাড়তি চিনির উপস্থিতি দেখা গেছে।

পাবলিক আই বলছে, নেসলে সুইজারল্যান্ডে বাজারজাত করা তাদের পণ্য সেরেলাকে বাড়তি কোনও চিনি ব্যবহার করে না। কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে সেরেলাকে বাড়তি চিনি যুক্ত করে তারা।

Advertisement

মধ্য-আমেরিকার বেশিরভাগ দেশে ইনফ্লুয়েন্সারদের ব্যবহার করে নিডোর আক্রমণাত্মক প্রচার চালায় নেসলে। ওই অঞ্চলে এক বছর বা তার বেশি বয়সী বাচ্চাদের জন্য বাজারজাত করা ফর্মুলায় একটি শিশুকে সাধারণভাবে একবার যে পরিমাণ খাবার দেওয়া হয় তাতে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নেসলে ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানায়,  তারা গত পাঁচ বছরে নেসলের শিশুখাদ্যে যোগ করা চিনির পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। এছাড়া আরও কমিয়ে আনার বিষয়ে তারা পণ্যগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছেন।

গবেষণার বিষয়ে বাংলাদেশের পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক রিয়াজুল হক জানান, সেরেলাক ও নিডো যদি দেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী মান ঠিক রেখে পণ্য তৈরি করে তাহলে ঠিক আছে। এটা নিয়ে বিএসটিআইয়ের কিছু করার নেই। তবে যেহেতু একটি প্রতিবেদনে ক্ষতির বিষয়টি এসেছে তাই বিষয়টি তাঁরা দেখবেন। যদি কোনো ক্ষতিকারক কিছু থাকে, তাহলে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিশু স্বাস্থ্য

দুই যমজ শিশুকে বাঁচাতে পথে পথে ঘুরছেন বাবা-মা

Published

on

জোড়া লাগানো দুই যমজ শিশুকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সেলিম-সাথী দম্পতি। ২১ মাস বয়সী সুমাইয়া ও খাদিজা নামের এই দুই সন্তানের চিকিৎসা খরচ জোগাড় করতে পথে পথে ঘুরছেন বাবা-মা।

২০২১ সালের অক্টোর মাসে ঢাকার সাভারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে সুমাইয়া ও খাদিজার জন্ম।
তাদের হাত, পা, মুখ ও মাথা আলাদা। তবে কোমর একত্রে জোড়া লাগানো। এই অবস্থায় বেড়ে উঠছে তারা। সন্তান দুটোর দেখভালসহ চিকিৎসা ও তাদের আলাদা করতে যে খরচ হবে তা মেটানোর সামর্থ্য নেই বাবা মো. সেলিমের। রাজধানীর রামপুরায় একটি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো তার। যমজ সন্তানদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ছাড়তে হয় দোকানটিও।

যমজ সন্তানের বাবা মো. সেলিম বলেন, ডেলিভারির আগে আল্ট্রাসনোগ্রামে বাচ্চা যমজ জানতে পারলেও জোড়া লাগানোর বিষয়টি জানা যায়নি। জন্মের পর দেখা যায় তাদের শরীর জোড়া লাগানো। সন্তান জন্মের পর থেকে ২১ মাসে তাদের পেছনে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে তিনি এখন নিঃস্ব। স্ত্রীর গহনা বিক্রি করে এবং ঋণ নিয়ে ছোট দুটি অপারেশন করেছেন। তার আর সন্তানের চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। শিশু দুটিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীসহ বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ করছেন তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

জোড়া লাগানো দুই সন্তানের মা সাথী আক্তার বলেন, সুমাইয়া ও খাদিজার প্রস্রাবের রাস্তা আলাদা থাকলেও পায়খানার রাস্তা একসাথে ছিলো। অপারেশন করে পেটে পায়খানার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। দুজনের শরীর আলাদা করতে চিকিৎসার ব্যয় বহন করা তাদের মতো দরিদ্র পরিবারের নেই। বিত্তবানরা যেন তাদের যমজ সন্তানদের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসেন।

তাদের গ্রামের বাড়ি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায়। নদীভাঙনে ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাওয়ায় মো. সেলিম যমজ দুই সন্তানসহ চার মেয়েকে নিয়ে ঢাকার সাভারে থাকেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিশু স্বাস্থ্য

দেশজুড়ে শিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

Published

on

সারাদেশে শিশুদের বিনামূল্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।

রোববার (১৮ জুন) দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। তবে পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকায় এ কর্মসূচি চলবে ৪ দিন।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি জানান, প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় ৬ থেকে ১১ মাসের ২৫ লাখ শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১২ থেকে ৫৯ মাসের প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে লাল রঙের ক্যাপসুল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে শিশুদের ভরা পেটে কেন্দ্রে আনতে হবে। ৬ মাসের কম এবং ৫ বছরের বেশি বয়সের ও অসুস্থ শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুদের অন্ধত্ব প্রতিরোধসহ বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচানো সম্ভব। ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। শিশু মৃত্যুহার ২৪ ভাগ কমায়।’

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version