গাজায় জিম্মি অবস্থায় থাকা মার্কিন নাগরিক জুডিথ রানান ও তার মেয়ে নাতালি রানানকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। হামাসের হাতে জিম্মি থাকাদের মধ্যে এই দুই নারীই প্রথম যারা মুক্তি পেলেন।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) মুক্তি পাওয়ার পর জুডিথ রানান ও তার মেয়ে নাতালি রানান ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন-নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আল-জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
হামাসের মুখপাত্র আবু ওবাইদা বলেন, কাতারের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার পর মানবিক কারণে দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এদিকে দুই জিম্মির মুক্তি নিশ্চিতে কাতার এবং ইসরায়েলের যৌথ প্রচেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে অনেক দিনের লাগাতার যোগাযোগের পর এই দুই জিম্মির মুক্তি মিলেছে। সব দেশের সব বেসামরিক জিম্মির মুক্তিতে আলোচনা মুখ্য ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তিতে রেডক্রসও তাদের ভূমিকার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে রেডক্রস জানায়, জিম্মিদের গাজা থেকে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে তাদের মুক্তি সহজতর করতে সাহায্য করেছে তারা।
গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এ পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের এক হাজার ৪০০ জনকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে দেশটি। এছাড়া প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি করেছে।
এদিকে হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের হাজার হাজার নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নিষ্পাপ শিশুরাও বাদ যায়নি ইসরায়েলের নিষ্ঠুর হামলা থেকে। এর মধ্যে কেবল একটি হাসপাতালেই হামলা চালিয়ে ৫০০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।