বগুড়ার শিবগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে ১২ বছর আগে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জিয়াউর রহমান জিয়াকে (৩৭)গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়নের(র্যাব)একটি দল। গত শনিবার রাতে তাকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মির্জাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল তার। এর আগে দীর্ঘদিন ভারত ও দুবাই কাটিয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে দেশে ফিরে এসে ছদ্মবেশে ব্যবসা শুরু করেন। চলতি বছরের আগস্টে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিলে মালয়েশিয়ায় পালানোর চেষ্টা করেন। তবে ফ্লাইটের আগের রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গণমাধ্যমকে র্যাব জানায়, বগুড়ার শিবগঞ্জের শোলাগাড়ী গ্রামের তোজাম্মেল হক তোজামের ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া যৌতুক না পেয়ে ২০১১ সালে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মিনা আকতার লিপিকে (২১) শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শ্বশুর লতিফুল বারী শিবগঞ্জে থানায় মামলা করেন। গ্রেফতারের পর তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সব কার্যক্রম শেষে আদালত চলতি বছরের আগস্টে জিয়াকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
এদিকে,গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিন বছর চার মাস জেল খেটে জামিনে ছাড়া পান জিয়াউর রহমান। পরে সুযোগ বুঝে ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে নাগরিকত্ব নিয়ে রেশন, আধার কার্ড, আই কার্ড ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে থাকেন। তিনি দুবাই চলে যান এবং সেখান থেকে ছয় মাস পর দেশে ফিরে গাজীপুরের সূত্রাপুর এলাকায় আবারো বিয়ে করেন। ছদ্মবেশে সংসার করতে থাকেন। ওই এলাকায় কসমেটিক্স ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সর্বশেষ দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আইনকে ফাঁকি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করেন।
রোববার তার মালয়েশিয়ার ফ্লাইট ছিল। র্যাব সদস্যরা শনিবার রাত ১১টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মির্জাপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। রোববার বিকালে তাকে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। থানা পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠিয়েছে।