ধর্ম
বাতাসে বিষাদের সুর, আজ উমার বিদায়বেলা
আজ দশমী, বাঙালির সত্ত্বায় মিশে যাওয়া এক বিষাদের দিন। আজ দেবী দুর্গার বিসর্জন। মা মেনকাকে কাঁদিয়ে এবার উমার ফিরে যাওয়ার পালা৷ বিদায়ে লগ্নে কি মেনকা একাই কাঁদবেন? তাঁর সঙ্গে কেঁদে উঠবে কোটি কোটি বাঙালির প্রাণ, কেঁদে উঠবে হিমালয় পাহাড় থেকে বঙ্গোপসাগর- গোটা বঙ্গদেশ। দশমী মানেই দেবীদুর্গার ফিরে যাওয়া, আর ভক্তদের অপেক্ষা আরও একটি বছরের।
চলছে উৎসবের মৌসুম। শুরু হয়েছে বাঙালির সবচেয়ে বড় পার্বণ দুর্গাপুজা। দুর্গাপুজোর পাঁচ দিন মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী এবং বিজয়া দশমী হিসেবে পরিচিত। বিজয়া দশমী দুর্গাপুজোর উৎসবের শেষ দিন।
প্রতিমাগুলি বরণ করে মহিলারা সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। এরপর বিসর্জন দেয়ার হয় প্রতিমাগুলি। ঘট বিসর্জনের অর্থ, পুজো সমাপ্তি। বিসর্জনের সময় লম্বা শোভাযাত্রা বের করে। যেখানে নাচে- গানে, হাসি মুখে সকলে বিদায় জানান উমাকে। এদিন বরণ, সিঁদুর খেলা, বিসর্জন ও বিজয়া উৎসবের সূচনা হয়।
দেবী দুর্গা, মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন, এজন্যেই বিশ্বাস করা হয় যে, এই উৎসব খারাপ শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তির বিজয় হয়। আশ্বিন মাসে প্রায় দশ দিন ধরে ধরে দুর্গাপুজার উৎসব পালিত হয়। যদিও প্রকৃত অর্থে, উৎসব শুরু হয় ষষ্ঠি দিন থেকে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে দশমী বিহিতপূজা শুরু। পূজা শেষে দর্পণ-বিসর্জন দেয়া হবে। বিজয়া দশমীতেই দুর্গা কৈলাসে গমন করেন, তাই মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠবেন ভক্তরা। অন্তরে দেবী মাকে রেখে বিদায়ের সুর বাজবে ঢাক ও শঙ্খের ধ্বনিতে। মণ্ডপে মণ্ডপে পুরোহিতের মন্ত্র পড়ার পাশাপাশি ভক্তদের চোখে থাকবে বেদনার জল।
এরপর পূজার সব কার্যক্রম শেষে দেবীদুর্গাকে দেওয়া হবে বিসর্জন। রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ পূজামণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে বুড়িগঙ্গা নদীর বিনাস্মৃতি স্নান ঘাটে। দুপুরের পর থেকে মণ্ডপ থেকে প্রতিমা নামিয়ে আনা হবে সদরঘাটে।
বিসর্জন উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি নিরাপত্তা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। রায়সাহেব বাজার, সদরঘাট, ওয়াইজঘাটে থাকবে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে গত শনিবার শুরু হয় পাঁচ শারদীয় দুর্গোৎসব। দশমীর বিহিতপূজা ও দর্পণ-বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব।
টিআর/
আন্তর্জাতিক
নতুন গিলাফে আবৃত পবিত্র কাবা শরিফ
পবিত্র কাবা শরিফের কিসওয়া বা গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে। হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ঐতিহ্য অনুযায়ী গেলো ২২ মে কাবা শরিফ ঢেকে দেয়া হয় কারুকার্যমণ্ডিত কাপড়ের কিসওয়া বা গালিফ দিয়ে।
বৃহপ্সতিবার (২৩ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করে সৌদি আরবের সংবাদ মাধ্যম আরব নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গিলাফটি বেশ কয়েকটি ধাপে উত্তোলন করা হয়। হজযাত্রীদের কাবা প্রদক্ষিণের সময় কিসওয়া কাবাকে ক্ষতিগ্রস্ত ও ময়লা হওয়া থেকে রক্ষা করে। এ জন্য প্রতিবছর হজের আগে কাবা শরিফকে গিলাফ বা কিসওয়া দিয়ে ঢাকা হয়।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, ১০টি ক্রেন ও ৩৬ জন বিশেষ কর্মীর সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে আড়াই মিটার চওড়া ও চারদিকে ৫৪ মিটার দৈর্ঘ্যের কিসওয়া দিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ ঢাকার কাজ।
জানা যায়, বিশেষভাবে তৈরি এই গিলাফে প্রতি মিটারে দশ ধাপে লাগানো হয় ৯৯০০ সুতা। কাবা শরিফের গিলাফের বাইরের কালো কাপড়ে স্বর্ণমণ্ডিত রেশম সুতা দিয়ে দক্ষ কারিগর দিয়ে ক্যালিগ্রাফি করা হয়। এরপর ঝারনিখ কালি দিয়ে প্রথমে কাপড়ে ক্যালিগ্রাফির আউটলাইন দেয়া হয়, তারপর কারিগররা হরফের ভেতর রেশম সুতার মোটা লাইন বসিয়ে স্বর্ণের সুতা দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে হরফ ফুটিয়ে তোলেন।
কাবা শরিফের গিলাফ নির্মাণে যেসব জিনিসপত্র প্রয়োজন সেগুলো তৈরির বিশেষ কারখানা মক্কার উম্মুল জুদ এলাকায় অবস্থিত। নতুন গিলাফ তৈরি করতে দরকার হয় ১২০ কেজি সোনার সুতা, ৭০০ কেজি রেশম সুতা ও ২৫ কেজি রুপার সুতা।
প্রসঙ্গত, গিলাফ পরিবর্তনের কাজটি আগে হজের দিন করার রীতি থাকলেও বর্তমানে ১ মহররম হিজরি নববর্ষের প্রথম প্রহরে করা হচ্ছে।
আই/এ
ধর্ম
আজ শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা
বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা আজ। বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব। বৌদ্ধধর্ম মতে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার শুভ জন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ- এই তিন স্মৃতিবিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা, বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত।
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে বুধবার (২২ মে) বুদ্ধপূর্ণিমা পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়। রাজধানীসহ দেশজুড়ে বৌদ্ধবিহারগুলোতে বুদ্ধপূজা, প্রদীপ প্রজ্বালন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সমবেত প্রার্থনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এই পুণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। বৈশাখী পূর্ণিমা দিনটি বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত। এই পবিত্র তিথিতে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন। এই দিনে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীগণ স্নান করেন, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন। ভক্তগণ প্রতিটি মন্দিরে বহু প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেন, ফুলের মালা দিয়ে মন্দিরগৃহ সুশোভিত করে বুদ্ধের আরাধনায় নিমগ্ন হন। এছাড়া বুদ্ধগণ এই দিনে বুদ্ধ পূজার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা করে থাকেন[১]। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি হিন্দুদের কাছেও এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হিন্দু ধর্ম অনুসারে শ্রী বিষ্ণুর নবম অবতার হিসেবে গণ্য করা হয় গৌতম বুদ্ধকে।
বুদ্ধের মূল জীবনদর্শন হচ্ছে অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সহাবস্থান করা। অহিংসবাদের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন, বৈরিতা দিয়ে বৈরিতা, হিংসা দিয়ে হিংসা কখনো প্রশমিত হয় না। অহিংসা দিয়ে হিংসাকে, অবৈরিতা দিয়ে বৈরিতাকে প্রশমিত করতে হবে।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, একটি সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করে গেছেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘অহিংস পরম ধর্ম’ বুদ্ধের এই অমিয় বাণী আজও সমভাবে প্রযোজ্য।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আজ বিকেলে বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এই আয়োজনে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাসহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের আট শতাধিক আমন্ত্রিত ব্যক্তি অংশ নেবেন।
শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের কল্যাণে এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় মহামতি গৌতম বুদ্ধ অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও করুণার বাণী প্রচার করেছেন। হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমন, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আজকের পৃথিবীতে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
টিআর/
ধর্ম
ওমরাহ করতে হেঁটে ৮ হাজার কি.মি. পথ পাড়ি দিলেন যুবক
পবিত্র ওমরাহ পালন করতে দীর্ঘ ৮০০০ কি.মি. পথ পায়ে হেঁটে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ফ্রান্সের যুবক মোহাম্মেদ বুলাবিয়ার। দীর্ঘ দুই বছর প্রশিক্ষণ নিয়ে অবশেষে এই অসাধ্য সাধন করলেন তিনি।
গেলো বুধবার (১৫ মে) সৌদি বার্তা সংস্থা প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্যা আরব নিউজ।
এক সাক্ষাৎকারে বুলাবিয়ার জানান, ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট মোহাম্মেদ বুলাবিয়ার পায়ে হেঁটে পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য প্যারিস থেকে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর সুইজারল্যান্ড, ইতালিসহ মোট ১৩ টি দেশ অতিক্রম করে তিনি মদিনায় পৌঁছেছেন।
এ দীর্ঘ পথ অতিক্রমের প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে এ যুবক জানান, তিনি গ্রীষ্মকালে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর বসন্ত থেকে শুরু করে শরৎ, শীত, এবং ঝড় ও বজ্রপাতের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। এছাড়া গ্রিসে পৌঁছানোর পর ব্যাপক তুষার ঝড়ের মধ্যে পড়ে যান, এজন্য সৌদি আরব পৌঁছাতে এক সপ্তাহ দেরি হয়েছে।
তিনি জানান,ভ্রমণকালে তার সঙ্গে একটি ম্যাপ এবং ২৫ কেজি ওজনের একটি ব্যাগ ছিল। অধিকাংশ রাত তিনি মসজিদে কাটিয়েছেন। অনেকেই তাকে নিজ গৃহে থাকতেও দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ছোট বেলা থেকেই পায়ে হেঁটে ওমরাহ করার ইচ্ছা ছিল বলে জানান এ ফরাসি যুবক।
আই/এ
-
বাংলাদেশ3 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
-
ঢালিউড4 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
-
বলিউড4 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
-
জাতীয়6 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
-
অপরাধ6 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
আবহাওয়া3 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
-
বলিউড4 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
-
বাংলাদেশ3 days ago
এমপি আজীমের মরদেহের চার কেজি মাংস উদ্ধারের দাবি