চট্টগ্রাম এবং বরিশাল জেলার উত্তর-পূর্ব থেকে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূণিঝড় হামুন। পায়রা বন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে ঘূণিঝড়টি। বাতাসের গতিবেগ ৮৯ কিলোমিটার থেকে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দিয়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ২ টি পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
তিনি জানান, ঘূণিঝড়টি মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে আগামীকাল (বুধবার) ১০টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ১২ টা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া শুরু করেছে। রাত ৮ টার মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছি। রান্না করা খাবার, শিশুদের খাবার, সুপেয় পানি, গো-খাদ্যের জন্য অর্থ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতি জেলায় ২০ লাখ টাকা ও ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। ১ কোটি টাকা গো-খাদ্যের জন্য এবং ১ কোটি টাকা শিশু খাদ্যের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় আগে থেকে চাল, টাকা আছে।
ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সিত্রাংয়ের মতোই গতি ও গতিপথ। তাই আমরা অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়েছি। অবশ্যই রাত ৮ টার মধ্যে দুর্গত এলাকার লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে হবে।
দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১০ জেলা (ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর) আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা আছে। পর্যাপ্ত ওষুধ ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। গবাদিপশু রাখার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে ব্যবস্থা আছে।