বিএনপি
স্বাধীনতা দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে ‘স্বাধীনতা র্যালির’ আয়োজন করেছে বিএনপি। র্যালিটি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থেকে পুরানা পল্টন ও জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হবে।
শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেল ৩টার পর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হকের কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে র্যালির কার্যক্রম শুরু করে বিএনপি।
র্যালিতে অংশ নিতে এরইমধ্যে দলীয় কার্যালয়ে সামনে জড়ো হয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী। তাদের অবস্থানের কারণে নয়াপল্টন-ফকিরাপুল এবং আশপাশের এলাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন লোকজন।
এরইমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলের সিনিয়র নেতারা।
দুপুর ১টার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড থেকে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দলের নেতাকর্মীরা ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে এসে জড়ো হচ্ছেন। এসময় মিছিল থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও কারাগারে বন্দি বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলে অংশ নেতাকর্মীদের মাথায় রয়েছে টিয়া রংয়ের ক্যাপ।
এদিকে বিএনপির র্যালিকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন পুলিশসহ সাদা পোশাক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা।
র্যালির আগে সমাবেশে অংশ নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, হামলা-মামলা করে বিএনপির কর্মসূচি বন্ধ করা যাবে না। মার্চ মাস স্বাধীনতার মাস, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার মাস। এজন্য বিএনপিকে ভয় পায় আওয়ামী লীগ।
বিএনপি
‘শাসকগোষ্ঠী এখন তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে’
গেলো ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে অবৈধ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে। ‘মিথ্যা ও সাজানো’ মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর এবং কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১৭ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, মিথ্যাচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অপকৌশলের মাধ্যমে অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ গণতন্ত্রমনা বিরোধী দল ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন—পীড়ন চালানো হচ্ছে অব্যাহতভাবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা প্রদানসহ জামিন নামঞ্জুর করে বিরোধী নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে দখলদার আওয়ামী সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা আওয়ামী জুলুমেরই ধারাবাহিকতা।
এএম/
বিএনপি
সরকার জনগণের স্বার্থে পদক্ষেপ নেয় না : ফখরুল
তিস্তা নদীর পানি চুক্তি নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে সরকার গড়িমসি করছে। আসলে এই সরকার পুরোপুরি নতজানু সরকার। তারা কখনও জনগণের স্বার্থে পদক্ষেপ নেয় না। কারণ তারা ভারতের কাছে খুব দুর্বল। বললেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ফখরুল।
ফখরুল বলেন, দেশের মানুষকে তার নিজের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হবে। তার মূল কারণ হচ্ছে এই সরকার তাদের স্বার্থ এবং প্রভুদের স্বার্থের বাইরে যেতে পারে না। এই জন্য জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার ভূমিকার জন্য অবশ্যই ভারতের কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারপরও তাঁরা লক্ষ্য করছেন ভারত সবসময় বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। তাঁরা শুধু ফারাক্কা নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীর পানির বণ্টন নিয়ে গড়িমসি করেছে, সমস্যার সমাধান করেনি।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে ভারতে এখানে বাঁধ নির্মাণ করতে চেয়েছিল, তখন পাকিস্তান সরকার বাধা দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এর পানি বণ্টন নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল আগের সরকার তার সমাধান করেনি। কারণ তারা ভারতের কাছে ঋণী ছিল, তাদের অনুগ্রহে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু মাওলানা ভাসানী পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, এ আয়োজনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
আই/এ
বিএনপি
সরকারের লোকদের লুটপাটের খবর আর লুকানো যাচ্ছে না: রিজভী
বর্তমান ডামি সরকার দেশটিকে একটি লুটপাটের দেশ বানাতে চাচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করেছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠজনরা। সেই সংবাদ আজকে প্রকাশিত হয়েছে। এ খবর আর লুকানো যাচ্ছে না। সরকারের লোকদের লুটপাটের খবর একের পর এক বের হতে শুরু করেছে। বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শান্তিনগর বাজার এলাকায় উপজেলা নির্বাচন বর্জনের দাবিতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দুবাইয়ে অত্যন্ত দামি তিনশ তিরানব্বইটি বাড়ির খবর পাওয়া গেছে। ৬৪৩টি সম্পদের খবর ছাপা হয়েছে। এ সম্পদের মালিক কারা এই যে ব্যাংক লুটপাট করেছে, এই যে দেশের সম্পদ লুট করেছে, ফ্লাইওভার, পদ্মা সেতুর নামে টাকা লুট করেছে, এই টাকা দিয়েই তারা আজকে দুবাইয়ে বাড়ি বানাচ্ছে।
তিনি বলেন, “চারদিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে গিয়ে এখন গোটা জাতিকে ফতুর করার জন্য একের পর এক আর্থিক খাত, সামাজিক খাত সব লুট করছে। প্রত্যেকটি খাতে এখন প্রচণ্ড নৈরাজ্য বিরাজ করছে। একের পর এক লুট হয়ে ব্যাংকগুলো ধসে গেছে। মন্ত্রীদের নামে এমপিদের নামে ব্যাংক দিলেন। তারাই তো সব লুট করে ফেলছে। এখন সরকার ভালো ভালো ব্যাংকের সঙ্গে সেগুলোকে মিশিয়ে দিতে চাচ্ছে। এভাবে তারা জনগণের টাকা, জনগণের সম্পদ লুটপাট করেছেন, পাচার করেছেন। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ভিতরে কী হচ্ছে সেটি বাংলাদেশের মানুষকে জানতে দেয়া হচ্ছে না। সেখানে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যাতে সাংবাদিকরা প্রবেশ করতে না পারে।”
বিএনপির এ নেত বলেন, “গত পরশু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি বিশাল অঙ্কের টাকা কোড হ্যাক করে লুট করা হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। এর কোনো উত্তর নেই। এর কোনো উত্তর দিতে পারে না সরকার। কারণ নিজেদের লোকদের, নিজেদের মানুষদেরকে অর্থ লুটের সুযোগ করে দিতে এ ব্যবস্থা করেছে সরকার।”
রিজভী বলেন, “আজকে বাংলাদেশের টাকা নেই। আজকে যে রিজার্ভ, যেটি দিয়ে আমদানি করা যায়, ব্যবসা করা যায়, যেটি দিয়ে উন্নয়ন হবে সে টাকা আজ শূন্যের দিকে। এর কী জবাব দেবেন শেখ হাসিনা। এর জবাব তিনি দিতে পারবেন না। কারণ তার লোকেরাই এটি করেছে। আজকে অভাবী মানুষ ঠোঙায় করে কোনো রকমে কয়েকটি শাকসবজি নিয়ে বাড়িতে যায়, মাছ কিনতে পারে না, মাংস কিনতে পারে না। এক মণ ধান বিক্রি করে এক কেজি মাংস কেনা যায়। এ হলো দেশের অবস্থা।”
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, “বর্তমানে ডামি ভোটে নির্বাচিত সরকার হলো দখলদার সরকার। তাদের জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই। জনগণের ভোটের কোনো দরকার হয় না তাদের। শেখ হাসিনা যাকে পছন্দ করবে সেই হবে উপজেলা চেয়ারম্যান। এখানে নির্বাচনের নামে শুধু প্রহসন বা আনুষ্ঠানিকতা চলছে মাত্র। সুতরাং এ নির্বাচন বর্জন করুন। আপনারা যারা ঢাকায় আছেন আপনাদের আত্মীয়স্বজনদের এ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান।”
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তারেক উজ জামান তারেক, এজমল হোসেন পাইলট, হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক আহসান, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।
-
আইন-বিচার4 days ago
৫ ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
-
এশিয়া7 days ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
-
টুকিটাকি7 days ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
-
ক্রিকেট3 days ago
যে বোলারকে খেলতে সবচেয়ে কঠিন লাগতো রোহিতের
-
অপরাধ4 days ago
অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস দেখায়, ডেলিভারি দেয় দেশি ড্রেস
-
টুকিটাকি4 days ago
চলন্ত বাইকেই রোম্যান্সে মত্ত প্রেমিক-প্রেমিকা!
-
খুলনা5 days ago
এসএসসি পাশের আনন্দ কেড়ে নিলো ট্রাক
-
জাতীয়3 days ago
ঢাকার ২ সিটিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ