Connect with us

রূপচর্চা

হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহারে যত ভুল

Published

on

হেয়ার-স্ট্রেইটনার-ব্যবহার

চুল ছোট হোক বা লম্বা তা যেন স্ট্রেট থাকে, এই স্ট্রেট চুলই হল এখনকার ফ্যাশান। সকলেই চান লম্বা স্ট্রেট চুল। স্ট্রেট করা চুল দেখতে সুন্দর লাগে। সেই সঙ্গে চুলের একটা শাইনি ভাবও বজায় থাকে। বাইরে কোথাও যাওয়ার থাকলে আলাদা করে হেয়ার স্টাইল নিয়ে ভাবতে হয় না। আর এই স্ট্রেট চুলের সঙ্গে যে কোনও রকম পোশাকই মানানসই। শাড়ি, জিন্স, স্কার্ট, সবই ভাল লাগে দেখতে এই চুলের সঙ্গে। সেই সঙ্গে স্মার্ট লুকও বজায় থাকে।

আর তাই চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে, চুল সোজা রাখতে হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করে থাকেন কম-বেশি সবাই। কিন্তু এই যন্ত্রটি ব্যবহারের সময় অনেকেই কিছু ভুল করে থাকেন, যা চুলের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।

জেনে নিন সেই ভুলগুলো কী এবং কীভাবে সেগুলো এড়িয়ে চলবেন-

সঠিক তাপমাত্রা নির্বাচন

কেউ কেউ তাড়াতাড়ি করার জন্য বেশি তাপমাত্রায় হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করেন। কিন্তু কত তাপমাত্রায় চুলে হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করছেন তার ওপর চুলের সুরক্ষা অনেকাংশে নির্ভর করে। চুলের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা নির্বাচন করা খুব সহজ। এটি করার জন্য স্ট্রেইটনারটি চুলের নিচ পর্যন্ত টানুন। তারপর চুল স্পর্শ করে দেখুন তাপমাত্রা ত্বকের জন্য সহনশীল কি না। যদি অনেক গরম লাগে তবে বুঝবেন এই তাপমাত্রা চুলের জন্য ক্ষতিকর।

Advertisement

কতবার চুলে স্ট্রেইটনার টানবেন

সাধারণত যাদের চুল সোজা তাদের চুল মোটামুটি একবার টানলেই হয়ে যায়। যাদের চুল একটু কোঁকড়ানো, তাদের সর্বোচ্চ ২-৩ বার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করা ভালো। যদি দ্বিতীয়বার স্ট্রেইটনার টানার পরও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না আসে, সেক্ষেত্রে চুল ঠান্ডা হওয়ার জন্য সময় দিতে হবে। ঠান্ডা হলে আবার এর ওপর দিয়ে স্ট্রেইটনার টানতে পারেন।

হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহারে স্বাভাবিকভাবেই চুল গরম হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে, উষ্ণ চুলে যতবারই হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করা হোক না কেন, চুলের স্টাইল সুন্দর হবে না। এতে চুলের ঝলমলে ভাব নষ্ট হয়ে যায়।

চুল কতটুকু নেবেন

কতটুকু চুল স্ট্রেইট করার জন্য নিচ্ছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুলের ঘনত্বের ওপর এই পরিমাণ নির্ভর করবে। চু খুব ঘন হলে প্রতিবার অল্প অল্প করে চুল নিতে হবে, আর পাতলা হলে একটু বেশি চুল নিয়ে স্ট্রেইট করতে পারেন। হেয়ার স্ট্রেইটনারের দৈর্ঘ্য বুঝে চুলের পরিমাণ ঠিক করাও জরুরি। কারণ সব হেয়ার স্ট্রেইটনার একই সাইজের না।

Advertisement

বেশি চাপ দেওয়া

চুল সোজা করার সময় আরেকটি গুরুতর ভুল হলো আয়রনে জোরে জোরে চাপ দেওয়া। অনেকে মনে করেন, এতে করে চুল সোজা করা বা কোঁকড়া করা সহজ হবে, সময়ও লাগবে কম। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। এটি চুলের ক্ষতি করে, তাপমাত্রা বাড়তির দিকে থাকলে চুল পুড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। স্ট্রেইটনারে সঠিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে সময় নিয়ে চুলের স্টাইল করুন।

কোঁকড়া করা

হেয়ার স্ট্রেইটনার অনেকে চুল কোঁকড়া করতেও ব্যবহার করে থাকেন। এক্ষেত্রে স্ট্রেইটনারের চারপাশে একবারের বেশি চুল পেচানো উচিত নয়। এছাড়া অত্যাধিক চাপ প্রয়োগ করে চুলের আগা পর্যন্ত নেওয়া ঠিক নয়। এতে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যায়।

সঠিকভাবে ধরা

Advertisement

আপনি কীভাবে হেয়ার স্ট্রেইটনার ধরছেন, তার ওপর এটির কার্যকারিতা অনেকাংশে নির্ভর করে। চুল কার্ল করতে চাইলে স্ট্রেইটনার লম্বালম্বিভাবে ধরতে হবে, আবার চুল সোজা করতে চাইলে আনুভূমিকভাবে ধরা উচিত। যে হাতটি দিয়ে স্ট্রেইটনার ধরবেন তা আয়রন থেকে কয়েক সেন্টিমিটার দূরে রাখতে হবে যাতে তাপ লেগে হাত পুড়ে না যায়। অন্য হাতটি চুলের মধ্যে দিয়ে চিরুনি হিসেবে ব্যবহার করবেন।

ভেজা চুলে হেয়ার স্ট্রেইটনার

আজকাল অনেক হেয়ার স্ট্রেইটনার রয়েছে যেগুলো ভেজা চুলে ব্যবহার করা যায়। তবে ভেজা চুল বেশি তাপ ধরে রাখে এবং চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়। তাই একদম ভেজা চুলে স্ট্রেইটনার ব্যবহার না করাই ভালো। স্যাঁতসেঁতে বা হালকা ভেজা চুলে হেয়ার স্ট্রেইটনার লাগানো যাবে কি না তা নির্ধারণ করবে এটির ইনফ্রারেড সিস্টেম। ভুলে গেলে চলবে না চুল শুকাতে চাইলে উচিত হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা, স্ট্রেইটনার নয়।

থার্মাল প্রোটেক্টর ব্যবহার

স্ট্রেইটনার ব্যবহারের আগে থার্মাল প্রোটেক্টর ব্যবহার না করা বা প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যবহার করা দুটোই চুলের জন্য ক্ষতিকর। গরমে চুলের অতিরিক্ত এক্সপোজার এড়াতে স্প্রে প্রটেক্টর ব্যবহার করা ভাল। তবে এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করলে চুল ভিজে যাবে, যা চুলের জন্য মোটেও ভালো নয়। সঠিক পরিমাপ হবে চুলকে ৫টি অংশে ভাগ করে সেভাবে প্রোটেক্টর প্রয়োগ করা।

Advertisement

আয়রন পরিষ্কার করা

হেয়ার স্ট্রেইটনারের যত্নেও মনযোগী হওয়া উচিত। ভালো ফল পেতে হেয়ার স্ট্রেইটনারের আয়রন পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই কাজে আপনার প্রয়োজন হবে মিথাইলেটেড স্পিরিট ও তুলা। এগুলোর সাহায্যে মাঝেমধ্যে আয়রনগুলো পরিষ্কার করবেন।

সংরক্ষণ

ব্যবহারের পর একটি থার্মাল ব্যাগে হেয়ার স্ট্রেইটনার রাখুন, যাতে এর তাপমাত্রা সুরক্ষিত থাকে।

Advertisement

রূপচর্চা

‘ড্রাই শ্যাম্পু’ তৈলাক্ত চুলে এক জাদুকরী সমাধান

Published

on

সারাদিনের ধুলো ময়লায় চেহারার সাথে সাথে চুলের অবস্থাও খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ করে, হুটহাট কোনো অনুষ্ঠান বা মিটিং-এ যেতে হবে, কিন্তু চুলের অবস্থা যাচ্ছে তাই! কিংবা হাতে যেটুকু সময় আছে তাতে শ্যাম্পু করে যাওয়াও সম্ভব না। এমন অবস্থায় সহজ সমাধান হতে পারে ড্রাই শ্যাম্পু। ঝটপট স্প্রে করে নিলেই মিলবে ঝলমলে চুল।

বেশিরভাগ ড্রাই শ্যাম্পু’ই তৈরি হয় স্টার্চ উপাদান দিয়ে। এটি মাথার ত্বক শুষ্ক রাখে, ফলে দু-একদিন চুল না ধুলেও তৈলাক্ত দেখায় না। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ড্রাই শ্যাম্পু হতে পারে আপনার জন্য আলাদিনের চেরাগের মতো। যা সময় বাঁচিয়ে আপনাকে দেবে আত্মবিশ্বাস।  তবে,  ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারে কিছু সাধারণ ভুল অনেকেই করেন, যাতে করে মাথার ত্বকে খুশকির মতো ফ্লেক্স, নিস্তেজ ও শুষ্ক চুলের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারের নিয়মাবলী জেনে নিন।

যেভাবে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন:

১. ঠিক রঙ বেছে নিন:
বাদামি চুলে কালো শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলে ফ্লেক্স দেখা যাবে আর চুলও নিস্তেজ হয়ে পড়বে। যেকোনো রঙ নেওয়ার পরিবর্তে নিজস্ব চুলের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বা কাছাকাছি রঙের শ্যাম্পু বেছে নিন।

২. মাথার ত্বকের খুব কাছাকাছি স্প্রে করবেন না:
শুষ্ক চুলে ড্রাই শ্যাম্পু মাথা থেকে চার থেকে ছয় ইঞ্চি দূরে ধরে গোঁড়ায় স্প্রে করুন। ১২ ইঞ্চি দূরে রেখে স্প্রে করলেও ড্রাই শ্যাম্পু কাজ করবে। পাউডার বেসড শ্যাম্পু হলে স্কাল্পের কাছাকাছি ছড়িয়ে দিন। কিন্তু সরাসরি স্কাল্পে দেবেন না।

Advertisement

৩. ভালো মতো ঝাঁকিয়ে নিন:
শ্যাম্পু খোলার আগে অবশ্যই ভালো মতো বোতলটি ঝাঁকিয়ে নেবেন। স্টার্চ অনেক সময় বোতলের নিচের অংশে পড়ে থাকে। ভালো মতো ঝাঁকিয়ে নিলে মিশ্রণের সব উপাদান একই অনুপাতে থাকবে।

৪. ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করুন:
এক জায়গায় অনবরত স্প্রে না করাই ভালো। সম্পূর্ণ মাথায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে স্প্রে করুন। এক জায়গায় ক্রমাগত স্প্রে করতে থাকলে সেখানে স্পট বা সাদা হয়ে যায়।

৫. ড্রাই শ্যাম্পুর ব্যবহার শুধুমাত্র তেলতেলে স্থানে:
সারা মাথায় ড্রাই শ্যাম্পু স্প্রে করা’টা ঠিক না, শুধু উপরের দিকে দিন। আপনার চুলের নীচের অংশটি তেলতেলে হয় না, তাই নিচের দিকে স্প্রে করবেন না। এতে চুল দুর্বল হয়ে যায়।

৬. অত্যাধিক ব্যবহার না করা:
হাতে যখন পর্যাপ্ত সময় নেই, তখনই ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। কারণ, সবসময় ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে সেটা আপনার চুলের জন্য ক্ষতিকর। সাময়িকভাবে চুল ঝলমল করলেও অতিরিক্ত ব্যবহারে চুল হয়ে পড়বে শুষ্ক, নিস্তেজ। তাই যখন প্রয়োজন হবে তখন অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।

৭. সেট হওয়ার সময় দিন:
ড্রাই শ্যাম্পু দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল আঁচড়াবেন না। কিছুক্ষণ সময় দিতে হবে এটি কাজ করার জন্য।

Advertisement

৮. ম্যাসাজ করুন:
ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারের পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর হাত দিয়ে ম্যাসাজ করুন। তা না হলে এটি কেবল আপনার চুলের উপরে বসে থাকবে এবং স্কাল্পে গিয়ে কাজ করবে না। তারপর চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে ফেলুন। এতে সাদা সাদা হয়ে থাকার সম্ভাবনা থাকবে না।

৯. প্রতিদিন ব্যবহার করবেন না:
প্রতিদিন ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহারে মাথার লোমকূপ বন্ধ হয়ে স্কাল্পের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি চুলের গোঁড়া দুর্বল করে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে এবং ত্বকের সমস্যা, যেমন: ডার্মাটাইটিস ও ব্রণ হতে পারে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

ফল ও ফুলের টোটকায় কনুইয়ের কালচে দাগ দূর করুন

Published

on

কমবেশি সবাই চেহারার যত্ন নিয়ে সচেতন হলেও হাত-পায়ের যত্নের ক্ষেত্রে কেমন যেন উদাসীনতা দেখাই। যার ফলে কনুইয়ে কালো দাগের সমস্যা দেখা দেয়। এই কালো দাগ স্বাস্থ্যের জন্য তেমন ক্ষতিকর না হলেও, এটি দেখতে বেশ খারাপ লাগে। বিশেষ করে স্লিভলেস কোনো ড্রেস পরতে গেলে, কনুইয়ের কালো দাগের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।

কনুইয়ের কালো দাগ তোলার বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো জেনে নিলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেই যত্ন নেওয়া যায়। মধু, লেবুসহ নানা রকম ফল–মূল, ফুল এবং দুধের সাহায্যে কনুইয়ের যত্ন নিতে দেখে নিন ঘরোয়া কিছু টোটকা।

১. লেবু রসের সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের সবজি মিশিয়ে ব্যবহার করুন:
লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ খুব ভালো স্ক্রাবিংয়ের কাজ করে, আবার কালচে ভাব দূর করতেও সাহায্য করে। সুজির সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে কনুইয়ে স্ক্রাব করা যেতে পারে। এছাড়া তুলসী পাতা, লেবু ও মধুর মিশ্রণ ত্বকে হালকা ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট রেখে তুলে ফেলতে পারেন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহারে বেশ ভালো ফল পাবেন। আলুর রস ও মধুর মিশ্রণের ব্যবহারেও কালচে ভাব কমে। এভাবে কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করুন। কনুয়ের কালো দাগ দূরের আরেকটি ভালো টোটকা হলো টমেটো পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করা, এটি ব্লিচের কাজ করবে। এছাড়া চন্দন ও লেবুর খোসাবাটা একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে কনুইতে কালচে ভাব কমে যাবে।

২. দুধের সাহায্যে:
একটি বাটিতে দুধের সর, কয়েক ফোঁটা বাদামের তেল ও সামান্য পরিমাণ গ্লিসারিন মিশিয়ে কনুইয়ে লাগিয়ে কিছু সময় পর মালিশ করে তুলে ফেলুন। এতে ত্বক কোমল হবে। মধু , লেবু ও দুধের মিশ্রণও ত্বক উজ্জ্বল করে, কনুইতে দিলে কালচে ভাব কমবে। এছাড়া ওটমিল ও দুধ মিশিয়ে কনুই ও হাঁটুতে স্ক্রাব করা যেতে পারে। এতে খসখসে ভাব কমে ত্বক কোমল হবে।

৩. ফলমূল ও ফুলের টোটকা:
গোলাপ ফুলের নির্যাস, ময়দা ও টক দই মিশিয়ে কনুইতে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই টোটকাও কনুইয়ের কালচে ভাব দূর করে। এছাড়া গাঁদা ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়া করে ফেসওয়াশের সঙ্গে মিশিয়ে হাঁটু ও কনুই পরিষ্কার করতে পারেন। ফলের মধ্যে পাকা পেঁপের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন, মধু ও বেসনের মিশ্রণ ব্যবহার করলে কনুইতে কালো রং হালকা হয়ে যাবে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

অপরিণত বয়সে ত্বকের দাগ ছোপ এড়াতে যে ৫টি ভুল করা যাবে না

Published

on

অপরিণত বয়সেই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করেছে? ঠোঁটের কাছে কিংবা কপালে ভাঁজ চোখে পড়ছে? ত্বককে সুন্দর ও কোমল রাখার চেষ্টা সবার মধ্যেই থাকে। বিশেষ করে, অল্পবয়সীদের মধ্যে নিজেকে সুন্দরভাবে তুলে ধরার একটা প্রবণতা থাকেই। ত্বকের যত্ন নেওয়া খারাপ কিছু নয়। তবে বয়স যখন কম থাকে, তখন ত্বক এমনিই বেশ ভালো থাকে। অতিরিক্ত যত্ন নিতে গিয়ে অনেকেই ত্বকের বারোটা বাজিয়ে ফেলেন। এ বিষয় মাথায় রেখে রসায়নবিদ, সৌন্দর্যবিদ এবং স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড মেরি ভেরোনিকের প্রতিষ্ঠাতা মেরি ভেরোনিক নাদেউ অল্প বয়সীদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ত্বকের যত্ন নিতে গিয়ে অল্প বয়সে যে ভুলগুলো একদমই করা যাবে না।

১. অপরিণত বয়সে কোলাজেন বুস্টিং চিকিৎসা না নেওয়া:

কোলাজেন কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে একটি বিশাল ভুল ধারণা রয়েছে। ত্রিশ বছর বয়স পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সব ধরনের কোলাজেন আমাদের ত্বক নিজেই তৈরি করতে পারে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি তৈরি হলে প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। বয়সের সঙ্গে ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রা কমতে থাকে, যা মূলত ত্রিশের পর থেকেই শুরু হয়। তাই এর আগে কোনো ধরনের কোলাজেন বুস্টিং চিকিৎসা নেওয়া ঠিক নয়।

২. ঘন ঘন এক্সফোলিয়েট করা যাবে না:
ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করা মোটেও খারাপ কিছু নয়। তবে যাঁদের বয়স বেশি নয়, তাঁদের মাসে একবার ভালোভাবে এক্সফোলিয়েশনের পরামর্শ দেন নাদেউ। বারবার এক্সফোলিয়েশনের ফলে ত্বকের নতুন তৈরি হওয়া কোষের ওপর প্রভাব পড়ে, যাতে করে ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই সঙ্গে ত্বকে পড়তে পারে বয়সের ছাপ। তাই বারবার এক্সফোলিয়েট করা থেকে বিরত থাকুন।

৩. খাদ্য তালিকায় স্নেহজাতীয় খাবার রাখতে হবে:
আজকাল সবাই ডায়েট নিয়ে সচেতন। কিন্তু খাদ্য তালিকায় স্নেহজাতীয় খাবার একেবারেই না রাখা ত্বকের জন্য ভয়ংকর। খাবারের তালিকায় অবশ্যই স্নেহজাতীয় খাবার রাখতে হবে। শুধু উদ্ভিজ্জ তেল রাখলে চলবে না, প্রাণীজ চর্বিগুলোও খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। এসব খাবার আপনার ত্বককে রাখবে লাবণ্যময় ও উজ্জ্বল।

Advertisement

৪. চিনি খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে:
অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে কোলাজেন ও ইলাস্টিন জাতীয় ফাইবারগুলো ভঙ্গুর ও দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যার ফলে ত্বকে দেখা দিতে পারে বলিরেখাসহ বয়সের নানা ধরনের ছাপ। তাই অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে নাদেউ চিনির বদলে মধু খাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় ফলের রস গ্রহণে ত্বক সতেজ থাকে।

৫. যথেষ্ট ময়েশ্চারাইজ ব্যবহার করা:
ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ত্বককে ভালোমতো ময়েশ্চারাইজিং করেই ত্বকের বয়স কমিয়ে ফেলা সম্ভব।  অন্যদিকে, ময়েশ্চারাইজিং না করলে ত্বকে অল্প বয়সেই পড়তে পারে বয়সের ছাপ। তাই চেষ্টা করুন, ত্বকের সঠিক ময়েশ্চারাইজেশন নিশ্চিত করতে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত রাসায়নিক সামগ্রী ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকুন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version