Connect with us

জাতীয়

সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে প্রধানমন্ত্রীকে কানাডার ৮ এম‌পির চিঠি

Published

on

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখার বিষয়ে গভীর ইচ্ছা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখেছেন কানাডার আট সংসদ সদস্য। চিঠিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া পক্ষপাতহীনভাবে পরিচালনা করার বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) কানাডার পার্লামেন্টের সদস্য ব্র্যাড রেডেকপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) চিঠিটি প্রকাশ করেছে। যিনি ‘কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ’ সভাপতি।

বুধবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সদস্য হিসেবে আমরা আপনাকে (প্রধানমন্ত্রীকে) বলতে চাই, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে হতে যাওয়া নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ দেখার বিষয়ে গভীর ইচ্ছে প্রকাশ করছি। আমরা আশা করি, এ নির্বাচনে বাংলাদেশি নাগরিকরা তাদের শাসন করার জন্য রাজনৈতিক দলের পছন্দ প্রকাশ করার সুযোগ পাবে।

কয়েকটি প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা আশা করি, আপনার সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করবে এবং ভিন্নমতের মতামতকে সম্মান করবে। ভোটের অনিয়ম যেমন-ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোট কারচুপি এবং ব্যালট বাক্স ভর্তি করার মতো ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করা হবে। আমরা আশা করি, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আপনার সরকার সহিংসতা প্রতিরোধে এবং সমস্ত বাংলাদেশিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সচেষ্ট থাকবে। এছাড়া সকল যোগ্য বাংলাদেশি নাগরিরা নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের অংশগ্রহণ এবং নাগরিকদের পছন্দের ন্যায্য প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে বিকাশ লাভ করে। সব রাজনৈতিক দলকে অবাধে অংশগ্রহণের অনুমতি এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া পক্ষপাতহীনভাবে পরিচালিত করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নিশ্চিত করতে পারে। এটি করা গেলে জাতির গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শুধু শক্তিশালী করবে না, বরং বিশ্বের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ স্থাপিত হবে।

Advertisement

চিঠিতে বাংলাদেশ-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, কানাডা এবং বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উপভোগ করছে। ভবিষ্যতে দুই দেশের জনগণ এবং পণ্য বিনিময় আরও বৃদ্ধি পাবে। আর এটি শুধুমাত্র দুই দেশের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমেই ঘটতে পারে।

চিঠির শেষাংশে আসন্ন নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলকে স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করতে সরকারপ্রধানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী কানাডার আট এমপিদের মধ্যে রয়েছে— ব্র্যাড রেডেকপ, সালমা আতাউল্লাহজান, সালমা জাহিদ, লুক দেসিলেতস, কেন হার্ডি, ল্যারি ব্রোক, রবার্ট কিচেন ও কেভিন ওয়েগ।

জাতীয়

সিইসি, ইসিদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ, আইনের খসড়ার অনুমোদন

Published

on

প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে প্রতিমাসে এক লাখ ৫ হাজার টাকা এবং  নির্বাচন কমিশনারদের  ৯৫ হাজার টাকা বেতন ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে ‌‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

রোববার (২০ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগে যে আইনটি ছিল সেখানে বলা ছিলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন এবং নির্বাচন কমিশনার হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন। বর্তমান আইনে, ওই রকম না লিখে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

মাহবুব হোসেন জানান, বিশেষ ভাতা হিসেবে সিইসি ও ইসি উভয়ে তাদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হিসেবে পাবেন। এছাড়া উৎসব ভাতা পাবেন, বাংলা নববর্ষের ভাতা পাবেন, আবাসন সুবিধা পাবেন, যানবাহন সুবিধা পাবেন, টেলিফোন সুবিধা, কুক ভাতা, সিকিউরিটি ভাতা পাবেন। নিয়ামক ভাতা পাবেন ৮ হাজার টাকা করে। চিকিৎসা সুবিধা আগে যেভাবে আছে সেটাই থাকবে।

সিইসি ও ইসিদের পদমর্যাদার বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেটি মূল আইনে রয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতিরাও এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা বেতন পান। বেতন আগের মতোই রয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এতদিন ১৯৮৩ সালের আইনে বেতন ভাতাসহ অন্য সুবিধা পেয়ে আসছিলেন সিইসি ও ইসিরা। কিন্তু  উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সামরিক শাসনামলের যেসব আইন ছিলো সেগুলো পরিবর্তনের যে নির্দেশনা আছে তার আলোকে এই আইনটি করা হয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুখবর

Published

on

অ্যাপোস্টাইল কনভেনশনে যুক্ত হলে কাগজপত্র সত্যায়িত করতে ভোগান্তি কমবে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের। বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২০ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অ্যাপোস্টাইল কনভেনশনে যুক্ত হলে, বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস থেকে আর কাগজপত্র সত্যায়িত করা লাগবে না। এ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৬১ সালে স্বাক্ষরিত হেগ অ্যাপোস্টাইল কনভেনশন চুক্তি হয়। এই চুক্তির অধীনে থাকা দেশগুলোর একটিতে জারি করা নথি, অন্য দেশগুলোতে আইনি উদ্দেশ্যে প্রত্যয়িত হয়।

বাংলাদেশ এই চুক্তির অধীনে না থাকায় এতদিন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস থেকে আর কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হতো।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

অটোরিকশা চলাচলে নীতিমালা করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

Published

on

আন্দোলনরত চালকদের জীবিকার কথা চিন্তা করে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এর একটি নীতিমালা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রাজধানীসহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী জানতেন না। বিকল্প ব্যবস্থা না করে তাদের জীবিকায় হাত দেয়া উচিত হয়নি বলেও মনে করেন সরকারপ্রধান।

মন্ত্রিপরিষদ সভায় অটোরিকশা চালকদের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি বিধিমালার মাধ্যমে অটোরিকশা চালকদের নিয়মের মধ্যে আনা হবে। নির্দিষ্ট রাস্তায় চলতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। কী গতিতে চলবে তা নির্দিষ্ট করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উল্লেখ করে সচিব আরও বলেন, অটোরিকশা চলাচলে একটি নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা (রেগুলেটরি বডি) গঠন করে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেই সঙ্গে চালকদের প্রশিক্ষণ ও অটোরিকশার ডিজাইন করে দিতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

উল্লেখ্য, সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা। দাবি আদায়ে গতকাল রোববার মিরপুরে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তারা। আজও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version