এ আর রহমানের বদলে ফেলা সুরের প্রতিবাদে প্রশংসা তসলিমার
সমালোচনার ঝড়ে ভিড়ে এবার প্রশংসায় ভাসলেন সংগীত পরিচালক এ আর রহমান। আর প্রশংসা করলেন জনপ্রিয় সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন।
সম্প্রতি বলিউডের চলচ্চিত্র ‘পিপ্পা’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমান। ছবিতে এ আর রহমানের কম্পোজ করা ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গান ব্যবহৃত করা হয়েছে, যেটি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ও সুর করা। তবে গানের যে সুর, তা বদলে ফেলা হয়েছে। এতে প্রতিবাদ জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশের বহু ব্যক্তিত্ব। এই প্রতিবাদ দেখে বেশ প্রশংসা করেছেন নার্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিন। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ নিয়ে লিখেছেন একটি স্ট্যাটাস।
তসলিমা নাসরিন লেখেন, বাঙালি হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান আজ অন্তত একটি কারণে একযোগে প্রতিবাদ করছে। দেখে ভাল লাগছে। কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটির সুর বিকৃত করেছেন বলে সবাই তিরস্কার করছে এ আর রহমানকে। আমি ভাবছি দোষটা কি এ আর রহমানের? নাকি দোষটা পিপ্পা সিনেমার পরিচালক বা প্রযোজকের যারা এ আর রহমানকে কারার ওই লৌহ কপাট গানের লিরিক্স দিয়ে নিজের মনের মাধুরি মিশিয়ে সুর দেয়ার জন্য বলেছেন? তাহলে দোষটা তাদের দেয়াই ভালো। তামিল ছেলে এ আর রহমান হয়তো জানেনই না কাজী নজরুল ইসলাম কে ছিলেন, গানটির অর্থ হয়তো তাকে ব্রিফ করা হয়েছে, সেই অর্থ অনুযায়ী এ আর রহমানের যে সুর পছন্দ হয়েছে সেই সুরই তিনি ফাইনাল করেছেন।
তিনি লেখেন, আমার মনে হয় না, গানটির আসল সুর শুনে সেটি কিচ্ছু হয়নি বলে ছুড়ে ফেলে তিনি নতুন সুর দিয়েছেন। যদি দিয়ে থাকেন, তাহলে সেটা বাতিল করার দায়িত্ব পরিচালক এবং প্রযোজকের ছিল। দোষ হয়তো কারও একার নয়, দোষ টিমের। এই টিমের কেউ কেউ হয়তো ইনোসেন্ট। এ আর রহমান ইনোসেন্ট হলে, যে গালিগুলো তার ওপর বর্ষিত হলো আজ, তার কী হবে? যে যার গালি গুণে গুণে ফেরত নেবেন তো?
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনএ | আর | রহমানের | বদলে | ফেলা | সুরের | প্রতিবাদে | প্রশংসা | তসলিমার