প্রশাসনে সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ২৪০ জন কর্মকর্তা। পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাস ও মিশনে থাকা ৯ জন সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাও রয়েছেন।
শনিবার (১১ নভেম্বর) এ পদোন্নতি দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরেই শুরু হবে নির্বাচনকালীন সরকার। এরমধ্যে প্রশাসনে এ পদোন্নতি দেয়া হলো।
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। তবে নতুন উপ-সচিবদের পদায়ন করে আদেশ জারি করা হয়নি।
এবার প্রশাসন ক্যাডারের ১৭৮ জন কর্মকর্তা এ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য ক্যাডার থেকে উপসচিব হয়েছেন ৬২ জন কর্মকর্তা।
পদোন্নতির তালিকায় রয়েছেন সচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একান্ত সচিবরা (পিএস)।
সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে মূল বিবেচ্য ছিল বিবিএস ২৯তম ব্যাচ। এছাড়া এর আগের পদোন্নতি বঞ্চিত বিভিন্ন ব্যাচের কর্মকর্তারাও উপ-সচিব পদে পদোন্নতির তালিকায় এসেছেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
প্রশাসনে উপসচিব পদে এমনিতেই নিয়মিত পদের চেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মকর্তা রয়েছেন। পদোন্নতিপ্রাপ্তদের অনেককেই আগের পদে (ইনসিটু) কাজ করতে হবে। পদোন্নতির পর উপসচিব পদে মোট কর্মকর্তার সংখ্যা হলো এক হাজার ৭১৮ জন।
এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর ২৫৯ জন কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছিল সরকার।
‘সরকারের উপসচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’ অনুযায়ী উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ২৫ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নিতে হবে।
বিধিমালা অনুযায়ী, উপ-সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ৫ বছর চাকরিসহ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সদস্য হিসেবে কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। মূল্যায়ন নম্বরের (বেঞ্চমার্ক) অন্তত ৮৩ পেতে হবে।