Connect with us

বাংলাদেশ

ক্রিস রককে চড়কাণ্ড : অস্কার একাডেমি থেকে পদত্যাগ করলেন উইল স্মিথ

Published

on

অস্কার অনুষ্ঠান চলার সময় উপস্থাপক ও কৌতুকাভিনেতা ক্রিস রককে চড় মারার ঘটনার জের ধরে অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স (অস্কার একাডেমি ) থেকে পদত্যাগ করেছেন অভিনেতা উইল স্মিথ।

অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, তারা পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে। সেই সঙ্গে উইল স্মিথের ওই আচরণের শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে যে কার্যক্রম শুরু করেছে, তা চালিয়ে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ম্যাগাজিন ফোর্বস জানিয়েছে, পদত্যাগ করলেও উইল স্মিথকে তার প্রাপ্ত পুরস্কার ফেরত দিতে হবে না। তিনি ভবিষ্যতে পুরস্কারের জন্য মনোয়ন পাবেন, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণও পেতে পারেন। কিন্তু অস্কারের কোনও আয়োজনে ভোট দিতে পারবেন না।

স্ত্রীর কামানো মাথা নিয়ে রসিকতা করার কারণে গেলো রোববার (২৭ মার্চ) অস্কার পুরস্কার অনুষ্ঠান চলার সময় কৌতুকাভিনেতা ও উপস্থাপক ক্রিস রককে মঞ্চে উঠে চড় মেরেছিলেন উইল স্মিথ।

ওই ঘটনার এক ঘণ্টা পরেই কিং রিচার্ড চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জয় করেন উইল স্মিথ। ওই চলচ্চিত্রে তিনি টেনিস তারকা ভেনাস ও সেরেনা উইলিয়ামসের পিতার চরিত্রে অভিনয় করেন।

Advertisement

শুক্রবার উইল স্মিথ বলেন, (ওই আচরণের মাধ্যমে) যাদের আমি আহত করেছি, তাদের তালিকা অনেক লম্বা। যাদের মধ্যে আছে, ক্রিস, তার পরিবার, আমাদের অনেক বন্ধু ও ভালোবাসার মানুষ, অনুষ্ঠানে অংশ প্রতিটি মানুষ ও বিশ্বের অসংখ্য দর্শক। আমি অ্যাকাডেমির বিশ্বাস ভঙ্গ করেছি। সেই সঙ্গে অন্যান্য নমিনি ও বিজয়ীদের আনন্দ উদযাপন করা থেকে তাদের বঞ্চিত করেছি। আমি সত্যিই দুঃখিত।

অ্যাকাডেমি প্রেসিডেন্ট ডেভিড রুবিন বলেছেন, তারা উইল স্মিথের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে।

বোস্টনে একটি স্ট্যান্ড-আপ অনুষ্ঠানে ক্রিস রক বলেছেন, সেদিন যা ঘটেছে, এখনো তিনি তার মধ্য থেকে বের হতে পারেননি। এর আগে চড় মারায় উইল স্মিথের বিরুদ্ধে কোনও মামলা না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রক।

দুর্ঘটনা

মোটরসাইকেল থেকে পড়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু

Published

on

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে নিজ মোটরসাইকেল থেকে পড়ে বিএনপির এক নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। আহত ওই ব্যক্তির নাম আবুল কালাম আজাদ (৪৭)। তিনি উপজেলার কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের আব্দুল জব্বার মুন্সির ছেলে।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে মোটরসাইকেলে চেপে ওই নেতা তার বোনের বাড়ি নাগেশ্বরীতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

তিনি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ভূরুঙ্গামারী বাজারের বাকালী ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায় , বুধবার সকালে মোটরসাইকেলে চেপে সে তার বোনের বাড়ি নাগেশ্বরীতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে উপজেলার আন্ধারীঝাড় বাজারে পৌঁছলে মোটরসাইকেল থেকে পরে যায় এবং সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। চলন্ত মোটর সাইকেলে হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ওই বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের ধারণা। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনা শোনার পর পর আমরা মরহুমের বাড়িতে যাচ্ছি। নিজ হোন্ডা থেকে পরে ওই বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

 

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

এমপি আজীম হত্যা: খাগড়াছড়ি থেকে অন্যতম দুই আসামি গ্রেপ্তার

Published

on

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার অন্যতম দুই পলাতক আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। হেলিকপ্টারে তাদের ঢাকায় আনা হচ্ছে।

বুধবার (২৬ জুন) খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পর ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হচ্ছে। এর আগে তাদেরকে ধরতে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে ডিবির একাধিক টিম দুপুর থেকে অভিযান চালায়।

সূত্র জানায়, ফয়সাল ও মোস্তাফিজের কাছে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের অনেক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। তাদের থেকে অনেক কিছু জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ডিবির তদন্ত কর্মকর্তারা।

ডিবি সূত্র বলছে, সন্দেহভাজন আসামিদের মধ্যে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল সংসদ সদস্য খুন হওয়ার আগে গত ২ মে কলকাতায় যান। তারা দেশে ফিরে আসেন ১৯ মে। এই দুজনকে হন্য হয়ে খুঁজছিল ডিবি। দুজনের বাড়ি খুলনার ফুলতলায়। খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে চিহ্নিত শিমুল ভূঁইয়ার বাড়িও একই এলাকায়।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

গঙ্গা-তিস্তা প্রসঙ্গে ভারত সরকারকে প্রশ্ন করার পরামর্শ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

Published

on

গঙ্গা ও তিস্তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের আপত্তির প্রশ্নে বিষয়টি ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ’ আখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এ প্রশ্ন ভারত সরকারকে করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ প্রশ্নটা ভারত সরকারকে করলে ভালো হয়। তারাই এটার সঠিক উত্তর দিতে পারবে।

বুধবার (২৬ জুন) ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডের সঙ্গে সাক্ষাতের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গা ও তিস্তায় বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিমতের কথা বলেছেন। রাজ্য সরকারের কারণে কিন্তু বাংলাদেশ তিস্তার পানি পায়নি। এখন আবার বাঁধা হয়ে সামনে আসছে রাজ্য সরকার। এমন পরিস্থিতি কোনো আশা দেখেন কি না?

জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিষয় তাদের আভ্যন্তরীণ। আমাদের সরকার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতা স্মারক করে বা চুক্তি করে। ঐকমত্য হয়, দ্বিমত হয়; সেটা তাদের একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মনে করি, এ প্রশ্নটা ভারত সরকারকে করলে ভালো হয়। তারাই এটার সঠিক উত্তর দিতে পারবে। কারণ, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

Advertisement

গঙ্গা চুক্তি নবায়ন নিয়ে তিনি বলেন, গঙ্গা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চুক্তি না হলেও এটি অটোমেটিক চলবে। চুক্তিতে সেভাবে বলা আছে, আগে চুক্তিটি সেভাবে করা আছে। তবে আমরা নবায়ন নিয়ে আলোচনা করছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের জন্য দ্রুত একটি কারিগরি দল বাংলাদেশে যাবে। কবে নাগাদ কারিগরি দল আসতে পারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেকনিক্যাল কমিটি আসতে তো একটু সময় লাগবে। মাত্র আমরা ঘুরে এলাম। টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করতে হবে।

ভারতের সঙ্গে পুনরায় বন্ধ রেল যোগাযোগ চালুর বিষয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে তার জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ তো আছে। ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ। তারপর উত্তরবঙ্গ-শিলিগুড়ি রেল যোগাযোগ। ১৯৬৫ সালের আগে অনেক বেশি রেল যোগাযোগ ছিল এবং ৬৫ সালে যুদ্ধের পর এ রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। যেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, আমরা সেগুলো ধীরে ধীরে চালু করার কাজ করছি।

তিনি বলেন, শুধু ভারতের সঙ্গে হচ্ছে তা নয়, আমরা নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও রেলে এবং গাড়িতে করে যেতে পারি সে নিয়েও আলোচনা করছি। আমরা আঞ্চলিকভাবে যেন যোগাযোগ বাড়াতে পারি, সে নিয়ে আলোচনা করছি।

আজ ভোরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নুরুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, আপনার কাছে খবরটি শুনলাম। আমাকে এটা যাচাই করতে হবে। তবে একটুকু বলতে পারি আমরা এবারও আলোচনা করেছি (দিল্লি সফরে) যাতে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নেমে আসে। সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আশা করি আস্তে আস্তে সীমান্ত হত্যা কমে আসবে এবং এক সময় শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।

Advertisement

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ দলটির অন্য নেতারা চুক্তি আর এমওইউর মধ্যে কোনো পার্থক্য বোঝেন না বলে অভিযোগ করেন ড. হাছান। তিনি বলেন, যারা চুক্তি আর সমঝোতার বিষয়টি বোঝে না তাদের বিষয়ে কি জবাব দেব, সেটি আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি, সমঝোতা হয়েছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সঠিকভাবে রাখতে পারেনি। বিএনপি কারণে-অকারণে সরকারের বিরোধিতা করে। যে সমঝোতা স্মারকগুলো হয়েছে, সেগুলোর সবগুলো বাংলাদেশের স্বার্থে হয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version