Connect with us

বাংলাদেশ

সুন্দরবনে কতটি বাঘ-হরিণ আছে জানালেন মন্ত্রী

Published

on

সুন্দরবন হলো বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলির অন্যতম। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতে কিছু অংশে বিম্তৃত এ বনাঞ্চল। সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি।

প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ রয়েছে ভারতের মধ্যে।

ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি বনভূমিটিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরনের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণী রয়েছে।

আজ সোমবার (৪ এপ্রিল) সংসদে সরকারী দলেয় সদস্য দিদারুল আলমের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, সবশেষ জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি।

মন্ত্রী বলেন, ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতিতে গণনা করে ২০১৫ সালে সুন্দরবনে ১০৬টি বাঘ পাওয়া যায়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী এ বনে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। এ ছাড়া সুন্দরবনে এক থেকে দেড় লাখ হরিণ, ১৬৫ থেকে ২০০টি কুমির এবং ৪০ থেকে ৫০ হাজার বানর রয়েছে।

Advertisement

সরকারি দলের অপর সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমানে বনের পরিমাণ মোট ভূমির ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ এবং বৃক্ষাচ্ছাদনের পরিমাণ মোট আয়তনের ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

সরকারি দলের সদস্য আ কা ম সরওয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সামাজিক বনায়নে আওতায় ১৯৮০-৮১ অর্থ বছর থেকে ২০২০-২১ অর্থ বছর পর্যন্ত ১ লাখ ২ হাজার ৩৩৯ দশমিক ২৮ হেক্টর উডলট ও ব্লক বাগান সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭৬ হাজার ৭৫২ দশমিক ৩৬৬ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে করে ৭ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৪ জন উপকারভোগীকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

জাতীয়

মোদির ভোজসভায় যেসব খাবার দিয়ে আপ্যায়িত হলেন শেখ হাসিনা

Published

on

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আয়োজিত ভোজসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কলকাতার বিরিয়ানি, সুগন্ধি বাসমতি চাল এবং কলকাতার স্টাইলে রান্না করা ও স্বাদযুক্ত শাকসবজি এবং অন্যান্য স্থানীয় খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে ভারতের হায়দরাবাদ হাউসে ভোজসভার আয়োজন করা হয়।

জানা যায় স্থানীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে

দই ফুচকা (ভারতীয় রাস্তার খাবারের সুস্বাদু-ক্রিস্পি পাফড বল যা দই এবং রাস্তার খাবারের মশলা দিয়ে স্টাফ করা হয়, মিষ্টি এবং টক স্বাদযুক্ত পানি দিয়ে পরিবেশন করা হয়); মাতর অর বাজরে কা শোরবা (একটি বিদেশি সবুজমটর এবং মুক্তার বাজরার ঝোল পুদিনার স্বাদযুক্ত, বাদামের দুধ দিয়ে তৈরি); ছানার পাথুরি (বাঙালি উপাদেয় কুটির পনির দিয়ে তৈরি এবং নারকেল, সবুজ আম, মরিচ এবং সরিষার পেস্ট দিয়ে কলা পাতায় মোড়ানো, ভাপানো চালের বিছানায় পরিবেশন করা হয়); এবং সুবজ কিমা এবং থাইম সিঙ্গারা (চূর্ণ করা আলু, ফেটা, ফুলকপি, চিনাবাদাম এবং থাইম “সামোসা” প্যাস্ট্রিতে ভরা)।

এছাড়া আরও ছিল আমরান্থ কোফতা গুলবদন (ভারতীয় কোফতা তরকারিতে সিদ্ধ করা আমরান্থ ভেজিটেবল ডাম্পলিং) অন্তর্ভুক্ত ছিল; পাঁচমেল নি সবজি (জিরা, পেঁয়াজ এবং টমেটো স্লিভারসহ মৌসুমি সবজি, একটি গুজরাটি উপাদেয়); দই পনির (ট্যাঞ্জি দই এবং ভারতীয় মশলা দিয়ে রান্না করা ম্যারিনেট করা কুটির পনির স্টেকস); শুকতো (বাঙালি মিক্স ভেজিটেবল কারি); এবং বাঙালি মসুর ডাল (বাঙালি মসুর ডাল)।

Advertisement

খাবার শেষে মিষ্টি আইটেমের মধ্যে, পান রসমালাই কুলিস (পান কুটির পনির ডাম্পলিং পান, পান এবং গুলকন্দ, জাফরান ক্রিম দিয়ে পরিবেশন করা হয়); গুদ জালেবি অর আম কুলফি (গুড়ের শরবতে ভেজানো ক্রিস্পি প্রিটজেল এবং আমের স্বাদযুক্ত বাড়িতে তৈরি ভারতীয় আইসক্রিম মিষ্টি ভার্মিসেলি এবং টুকমালাঙ্গা বীজ দিয়ে পরিবেশন করা হয়); ঋতুর খোদাই করা ফল; এবং রোস্টেড কফি / মাসালা চা / কেহওয়া।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

Published

on

ভারতে দুই দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাত ৮টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শনিবার (২২ জুন)সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে সন্ধ্যায়, ভারতের নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে দেশটির পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে ঢাকা ও নয়াদিল্লির  মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সাতটি নতুন ও তিনটি নবায়নকৃতসহ মোট ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

তিন শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা স্থগিত, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

Published

on

বন্যায় সিলেট মহানগরের ২৩টি ওয়ার্ডসহ জেলার ১৩টি উপজেলার ১ হাজার ৫৪৮টি গ্রাম প্লাবিত

বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের এইচএসসি, মাদ্রাসা ও কারিগরী পরীক্ষা আসছে ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় কমিটি।

শনিবার (২২ জুন) কমিটির চেয়ারম্যান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকারের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় সিলেট বিভাগের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট; বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন আগামী ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী ৯ জুলাই থেকে সিলেট বিভাগে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল সেগুলো যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সিলেট বিভাগ ছাড়া বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং অন্য আটটি (সিলেট শিক্ষা বোর্ড ছাড়া) সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আলাদা হয়। তবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড একটি করে হওয়ায় এই দুই বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সারা দেশে অভিন্ন হয়।

এই পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট বিভাগের কারিগরি ও মাদ্রাসার (আলিম) পরীক্ষা স্থগিত করায় এই বিভাগের প্রশ্নপত্র কী হবে, সে বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তাঁদের একাধিক প্রশ্নপত্র তৈরি করা থাকে। সিলেট বিভাগের স্থগিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এসব সেট থেকে ছাপিয়ে নতুন সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। অনুরূপ ব্যবস্থা হবে মাদ্রাসার পরীক্ষার ক্ষেত্রেও।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত ৮ জুনের পর বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসলেও  সোমবার(১৭ জুন) থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে আবার সিলেটে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে নগরের ২৩টি ওয়ার্ডসহ জেলার ১৩টি উপজেলার ১ হাজার ৫৪৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রায় সোয়া আট লাখ মানুষ হয়েছেন বন্যাকবলিত।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version