এশিয়া
আবারও আলোচনায় লাদেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যেই তার চিঠি!
![লাদেন](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/11/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%A8.jpg)
আবারো বিশ্ববাসীর সামনে ওসামা বিন লাদেন। ১২ বছর আগে নিহত হলেও নতুন করে কোটি কোটি মানুষের আলোচনায় এসেছেন আল কায়েদার এই প্রতিষ্ঠাতা।মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশ্যে ২১ বছর আগে লেখা একটি চিঠি ফের ভাইরাল হওয়ায় তিনি এখন টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড। কি আছে লাদেনের চিঠিতে,কেন এটি ফের ভাইরাল হলো,কেনই বা তাকে নিয়ে এত আলোচনা—এসব প্রশ্ন এখন নেটিজেনদের আলোচনার টেবিলে।
২০১১ সালের ২ মে। পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে রাতের অন্ধকারে অভিযান চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করেছিল মার্কিন সেনাবাহিনী।তারপর, ১২ বছর কেটে গিয়েছে।তবে লাদেনের যেনো মৃত্যু হয়নি।ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ যেনো ফের কবর খুঁড়ে তুলে এনেছে ওসামা বিন লাদেনকে।আর মার্কিন-ইসরায়েলিদের সম্পর্কে নতুন করে জানতে পেরেছে নতুন প্রজন্মসহ বিশ্ববাসী-এমনটাই ধা্রণা নেটজেনদের অনেকের।
একুশ বছর আগে চিঠিটি লিখেছিলেন ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের তকমা পাওয়া আলকায়েদার এই প্রতিষ্ঠাতা।কি আছে লাদেনের এই চিঠিতে, যার জন্য এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলো। কি বার্তা দিয়েছিলেন যার জন্য এখন নেটিজেনদের অনেকেই নিহত আল কায়েদা নেতার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন!
ভাইারাল হওয়া চিঠিতে নাইন-ইলেভেন হামলার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন লাদেন। ২০০২ সালে সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে এই চিঠিটি প্রকাশিত হয়।চিঠিটি ভাইরাল হওয়ার পর,দ্য গার্ডিয়ান কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইট থেকে এটি সরিয়ে ফেলে।
‘লেটার টু আমেরিকা’ শিরোনামে ওই চিঠিতে ২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা ও হত্যাযজ্ঞকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন লাদেন।ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন কেন ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা চালানা হলো।অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন ‘ফিলিস্তিন দখলকারী ইসরায়েলিদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন’ই হামলার কারণ।
চিঠিতে নইন-ইলেভেন হামলার ব্যাখ্যায় লাদেনের বক্তব্য ছিলো, ‘ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র লক্ষাধিক সৈন্য নামিয়েছে। তাদের উপর অত্যাচার করেছে।জমি দখলের জন্য ইসরায়েলিদের সঙ্গে জোট গঠন করেছে। এটাই নাইন-ইলেভেন হামলার পেছনে মূল কারণ। কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের দখলে রয়েছে ফিলিস্তিন।১১ সেপ্টেম্বরের আগে পর্যন্ত কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই বিষয়ে কথা বলেননি।’
চিঠিতে আল কায়েদা নেতা আরও লিখেছিলেন, ফিলিস্তিনকে আর বন্দি রাখা যাবে না। তারা এই শিকল ভাঙবেই। খ্রিস্টানদের রক্ত দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তার ঔদ্ধত্যের মূল্য চোকাতে হবে।
চিঠিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের উল্লেখই ওসামার চিঠিটি ফের ভাইরাল হওয়ার মূল কারণ বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। লাদেনের পক্ষে-বিপক্ষে মত দিয়েছেন অনেকে।
তারা বলছেন,চিঠিতে বেসামিরিক নাগরিকদের হত্যাকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বিন লাদেন। এই চিঠিকে কেউ কীভাবে সমর্থন করতে পারে? এর জবাবে অন্যজন লিখেছেন,গাজাতেও সন্ত্রাসবাদীদের খতম করার নামে,ফিলিস্তিনের হাজারো নিরপরাধ বেসামরিক জনগণকে হত্যা করছে ইসরায়েল।একইভাবে,মিথ্যা বলে ইরাকে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।ওসামার কাজ সন্ত্রাসবাদ হলে,এই হামলাগুলিকে কী বলা হবে?
গত ৭ অক্টোবর নিজের দেশে হামলা চালানো হামাসকে নির্মূল করতে গিয়ে বিমান ও স্থলপথে হামলা চালিয়ে ১২ হাজারের বেশি-সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলেছে ইসরায়েল।এই নির্লজ্জ হত্যালীলাকে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।এই প্রেক্ষিতেই ওসামা বিন লাদেনের চিঠিকে প্রাসঙ্গিক এবং সমর্থনযোগ্য মনে করছে নতুন প্রজন্ম।আর চিঠিটি ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসে এবং ভাইরাল হয়।এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এশিয়া
ছয় মাস যেতে না যেতেই রাম মন্দিরে ফাটল
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি অযোধ্যার রাম মন্দিরে উদ্বোধন করা হয়েছে। এর ছয় মাস পার হতে না হতেই ছাদ ফেটে অঝোরে পানি পড়ছে। অটল সেতুর ফাটলের পর অযোধ্যার রাম মন্দিরের ছাদে এমন ফাটল সবার মনে প্রশ্ন তৈরি করেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এ মন্দির তৈরিতে ব্যবহার করা হয়নি কোনো ইস্পাত। শুধুমাত্র নির্মাণ শৈলীর উপরে ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রায় কুতুব মিনারের কাছাকাছি উচ্চতার রাম মন্দির। এটি তৈরির পিছনে রয়েছেন ভারতের নামিদামী বিজ্ঞানীরা। সাহায্য নেয়া হয়েছে ইসরোর। কিন্তু প্রথম বর্ষাতেই বেহাল অবস্থা রামমন্দিরের। ফুটো ছাদ এবং জলাবদ্ধ প্রাঙ্গন নির্মাণের গুণমান নিয়ে ব্যাপক বির্তর্কের জন্ম দিয়েছে।
রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেন, চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্রের নেতৃত্বে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটি এখনও বিভিন্ন চেম্বারে কাজ করছে। যেখানে আরও দেবতাদের স্থাপন করা হবে। এই ইনস্টলেশনগুলো ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
তিনি আরও বলেন, কেন নবনির্মিত মন্দিরটি ফুটো হচ্ছে তা সমাধানের দিকে অবিলম্বে মনোযোগ দেয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে অটল সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সেতুটিই ভারতের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু। এর জন্য খরচ পড়েছিল প্রায় ১৭ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। কিন্তু ৫ মাস যেতে না যেতেই সেই সেতুতে দেখা গেল ফাটল।
টিআর/
এশিয়া
বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয় : মমতা
বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের মানুষের সেচ ও পানীয়র জন্য পানির প্রয়োজন।গত কয়েক বছর ধরে তিস্তায় পানির প্রবাহ কমে গেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে— যদি বাংলাদেশের সাথে পানি ভাগাভাগি করা হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ সেচের পানির অপ্রতুলতার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বললেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার (২৪ জুন) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এক চিঠিতে এসব কথা বলেন মমতা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
মমতা বলেছেন,এছাড়া উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতেও তিস্তার পানির প্রয়োজন।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার পর এ চিঠিতে এ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, রাজ্য সরকারের পরামর্শ এবং মতামত ছাড়া এই ধরনের একতরফা আলোচনা ও পরামর্শ গ্রহণযোগ্য কিংবা কাম্য নয়। তিনি বুঝতে পেরেছেন ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ ফারাক্কা চুক্তি (১৯৯৬) পুনর্নবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে; যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হতে চলেছে।
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়,ভারত-বাংলাদেশ রেলপথ ও বাস পরিষেবা চালুসহ অতীতে বাংলাদেশের সাথে কয়েকটি বিষয়ে সহযোগিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য।
তিনি আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারত সরকার বাংলাদেশে তিস্তাকে পুনরুজ্জীবিত করার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি অবাক হয়েছেন যে, জলশক্তি মন্ত্রণালয় ভারতে নদীটিকে তার আসল রূপে ফেরানোর জন্য কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়নি।
উল্লেখ্য, গেলো ২২ জুন নয়াদিল্লিতে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নসহ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
আই/এ
এশিয়া
এবার হজে গিয়ে ১৩’শ জনের মৃত্যু
চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে হাজিদের প্রাণহানির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩’শ। এবার পুরো হজ মৌসুম জুড়েই দাবদাহ ছিল মক্কায়। প্রায় দিনই তাপমাত্রা ছিলে ৪৫ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এজন্য বেশিরভাগ হাজির মৃত্যু হয়েছে হিটস্ট্রোকসহ গরমজনিত অসুস্থতায়।
রোববার (২৩ জুন) এ তথ্য জানায় সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দেশটির মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৃত হাজিদের ৮৩ শতাংশের হজে যাওয়ার সরকারি অনুমোদন ছিল না। ফলে অনুমোদন নিয়ে যাওয়া অন্যান্য হাজিদের মতো প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে কুলিং সিস্টেম, ঠান্ডা পানি ও ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার মতো সেবা গ্রহণ করতে পারেননি তারা। তীব্র তাপদাহে কোনরকম আশ্রয় ছাড়াই তাদের হাঁটতে হয়েছে দীর্ঘপথ। এতে পথের মাঝেই প্রাণ হারান অনেকেই।
টিআর/
-
বাংলাদেশ6 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
-
বলিউড5 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
-
আন্তর্জাতিক6 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
-
বাংলাদেশ4 days ago
রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ছাগলকাণ্ড নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য
-
টুকিটাকি2 days ago
নারী সহকর্মীর সঙ্গে হোটেলে ধরা, পুলিশের ডিএসপি থেকে কনস্টেবলে পদাবনতি
-
বাংলাদেশ1 day ago
টাক মাথায় দেশ ছাড়ার গুঞ্জন ছাগলকাণ্ডের মতিউরের
-
বাংলাদেশ2 days ago
জমিকাণ্ডে আলোচিত ডিআইজি জামিলকে বদলি
-
বাংলাদেশ2 days ago
৫৩০ হজযাত্রীর মৃত্যু, ১৬ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল