অনাস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগ করেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। শনিবার মধ্যরাতে তারা পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের তারা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
পদত্যাগের আগে স্পিকার আসাদ কায়সার বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারবো না। মন্ত্রিসভার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছি। এ নথি বিরোধীদলীয় নেতা এবং পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতিকে দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাই।
আসাদ কায়সার বলেন, আমাদের আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং আমাদের দেশের পক্ষে দাঁড়ানোর প্রয়োজনে, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমি স্পিকার পদে থাকতে পারব না, পদত্যাগ করব। যেহেতু এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব এবং এটি সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত, আমি প্যানেল চেয়ারম্যান আয়াজ সাদিককে অধিবেশন পরিচালনা করতে বলব।
পরে পার্লামেন্টে প্যানেল চেয়ারম্যান পিএমএল-এন নেতা ও সাবেক স্পিকার আয়াজ সাদিক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি প্রক্রিয়া শুরু করেন।
শনিবার সারাদিন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন তিন-চার দফা মুলতুবি হবার পর পাকিস্তানে মধ্যরাতের পর অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে হেরে যান ইমরান খান।
জাতীয় পরিষদের ৩৪২জন সদস্যের মধ্যে ১৭৪ জন সদস্য ইমরান খানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ভোট দেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম একজন প্রধানমন্ত্রীকে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা ছাড়তে হল।