বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। শাকিব খানের প্রাক্তন, না কি বর্তমান স্ত্রী সেই নিয়েও হাজারো প্রশ্ন। সিনেমার সংখ্যা কমলেও, অপু বিশ্বাস গেলো এক বছরে নিজের আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। বিজ্ঞাপন থেকে ফোটোশুট, কোনো কিছু বাদ রাখছেন না তিনি। যদিও গেলো কয়েক মাসে বেশ কিছু বিতর্কেও জড়িয়েছেন তিনি। কেন্দ্রে রয়েছেন অন্য এক নায়িকা বুবলি। বেশ কিছু দিন আগেই বুবলি প্রসঙ্গে অপু নিজের মতামত ব্যক্ত করে জানান, তিনি বুবলিকে ঘৃণা করেন। দিন দিন সাহসী হয়ে উঠছেন অপু। রাখঢাক নয়, সোজা কথা সোজাসুজি বলতে পারছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে দেয়া সাক্ষাৎকারে অপু বলেন..
তিনি বলেন, তিনি একজন তারকা এবং পাবলিক ফিগার। একজন হিন্দু বাড়ির মেয়ে। তার মা নেই। তবে, কিছু জিনিস শিখিয়ে গেছেন তাকে। কিছু সীমারেখা থাকে। সেটাকে অতিক্রম করা উচিত নয়। আর যে মানুষকে নিয়ে কথা উঠল। কলকাতায় আমার কাজের জায়গা। সেখানে বসে এসব নিয়ে মন্তব্য করলে অলক্ষ্মী হতে পারে। তাই তিনি বুবলির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না।
তিনি আরও বলেন, তিনি চান না তার সন্তান ভাঙা পরিবারে বেড়ে উঠুক। যে কোনো সন্তানের কাছে পরিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাবা-মা হিসাবে সন্তানকে একটা সুনিশ্চিত জীবন দেয়া তাদের কর্তব্য। সন্তানকে যাতে কোনও অশান্তি ছুঁতে না পারে। এই জিনিসটা জয় কখনও বুঝতেই পারে না। কারণ আমি, আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, শাকিব সকলেই ভীষণ সচেতন। আমার ছেলের কাছে বিষয়টা— আমার মা কাজ করে, আমার বাবা কাজ করে। ব্যস্ত বলে দূরত্ব রয়েছে। কিন্তু ‘ব্রোকেন’ শব্দটার সঙ্গে ও পরিচিত নয়।
অপু বলেন, ‘বাংলাদেশে এই অপু বিশ্বাসই প্রথম, যে বুঝিয়ে দিয়েছে নায়িকাদের সন্তান হওয়ার পরও ভাল কেরিয়ার হওয়া সম্ভব। একটা সময় বাংলাদেশে নায়িকাদের এমন ধারণা ছিল, মা হয়েছি বলব না, আমার সন্তান আছে বলব না, আমি বিবাহিত বলব না। কিন্তু আমার মনে হয়, সত্যিটা লুকিয়ে রাখা যায় না। অপু বিশ্বাস সেই চলতি ধারণা ভেঙেছে। মা হয়েছি, সকলকে জানিয়েছি। সন্তান হওয়ার পর অনেক ধরনের শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে চিন্তা থাকে। আমি অবশ্য নিজেকে বদলেছি। মাতৃত্বকে উদ্যাপন করেছি।’
দ্বিতীয় বিয়ের কথা ভেবেছেন কী না জিজ্ঞেস করলে অপু বলেন, ‘না, কখনও ভাবিনি। দ্বিতীয় বিয়ের দরকারটা কি? বাংলাদেশে আমার এমন একটা জায়গা রয়েছে, যেখানে সকলে ভাবেন অপু যাই করবেন তার মধ্যে একটা বার্তা থাকবে। সেই দিক থেকে দর্শকের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। একটা মেয়ে, যার সন্তান আছে সে কেন দ্বিতীয় বিয়ে করবে? দ্বিতীয় বিয়েতে সে হয়তো স্বামী পাবে, তাঁর সামাজিক পরিচিতি পাবে। কিন্তু সন্তানটা? সে কি এক জন সৎবাবা পাবে! সন্তানের প্রতি ওই বাবা যে সমান ভালবাসা দেবে, তা তো নয়। তাই আমি মনে করি, দ্বিতীয় বিয়েই করব না! তা হলে সন্তান তাঁর নিজের বাবাকেই পাবে, অন্য কাউকে বাবা বলতে হবে না। তাই যে কোনও এক জনকে আত্মত্যাগ করতেই হয়, তাতে ভুল কিছু নেই। মা হিসাবে আত্মত্যাগ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
কাজের কথায় অপু বলেন, কাজের সূত্রে কলকাতা আসা-যাওয়া হচ্ছে তার। বেশ কিছু প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গেও তার কথা হয়েছে। কিন্তু এখনই কিছু বলতে পারছেন না। কাজে গোপনীয়তা রাখতে চান তিনি।
তিনি বলেন, সব কিছুই যে উত্তর দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে তেমনটা নয়। কিছু জিনিসের উত্তর সময় দেয়।