সিলেটে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ৩১০ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ড।
তবে ওয়নডাউনে খেলতে নামা কেইন উইলিয়ামসন নিজের উইকেট আগলে রেখে তুলে নেন সেঞ্চুরি। কিন্তু শতক ছুঁয়ে ক্রিজে টিকতে পারেননি তিনি। ২০৫ বলে ১১টি চারে ১০৪ রান করে ফিরে যান উইলিয়ামসন। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ড ৪৪ রান পিছিয়ে থেকে সংগ্রহ করেছে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। তাই বাংলাদেশ লিডের আশা করতেই পারে।
বুধবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে মাত্র ৪৪ রানেই ফিরে যান কিউই দুই ওপেনার। এরপর হেনরি নিকোলসকে নিয়ে দ্রুত দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলাতে থাকেন কেন উইলিয়ামসন। তবে লাঞ্চ বিরতির পর শরিফুলের বলে কট বিহাইন্ড হন হেনরি নিকোলস। তার আগে ৪২ বলে ১৯ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এরপর ক্রিজে আসা ড্যারিল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন উইলিয়ামসন। তবে দলীয় ১৬৫ রানে ৫৪ বলে ৪১ রান করে আউট হন মিচেল। মিচেলের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে টম বান্ডেলও টিকতে পারেননি। চা পান বিরতির পরেই মাত্র ৬ রান করে ফিরে যান তিনি।
এরপর সাদা বলের ক্রিকেটে নিয়মিত ফিলিপস ক্রিজে এসেই সাদা বলের সহজাত ব্যাটিং করতে থাকেন। পুরোনো বলে তখন স্পিনাররাও বেশি কিছু করতে পারছিলেন না। বাধ্য হয়ে ফিলিপসকে থামাতে মুমিনুল হককে বোলিংয়ে আনেন নাজমুল। ইনিংসের ৭৫তম ওভারে ৬২ বলে ৪২ রান করা ফিলিপস মুমিনুলের বাঁহাতি স্পিনে ক্যাচ তোলেন স্লিপে। নিচু হয়ে তা লুফে নেন নাজমুল নিজেই।
নিউজিল্যান্ডের রান তখন ৬ উইকেটে ২৫৩। তখন বাংলাদেশ নতুন বলের অপেক্ষায়। ৮০তম ওভারে নতুন বল পাওয়ার প্রথম ওভারেই দিনের সেরা উপহারটা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। তাইজুলের আর্ম বলে সামনে এসে খেলার চেষ্টা করেও বল খুঁজে পাননি উইলিয়ামসন। ব্যাট-প্যাডের মাঝে জায়গা খুঁজে নিয়ে উইলিয়ামসনকে বোল্ড করেন তাইজুল।
দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে নতুন বলের সুবিধাটা আরও একবার নিতে পেরেছেন বাংলাদেশ দলের এই বাঁহাতি স্পিনার। নিজের পরের ওভারেই সদ্য ক্রিজে আসা ইশ সোধিকে ০ রানে শর্ট লেগের ক্যাচ বানান তাইজুল। বাকি সময়টা নিউজিল্যান্ড ইনিংসে আর কোনো ক্ষতি হতে দেননি কাইল জেমিসন (৭) ও টিম সাউদি (০)।