আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে যা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দূর্জয় গতিতে জীবন বাজি রেখে এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলি পালন করছে। সরকারের রক্তচক্ষু, চোখ রাঙানি, গ্রেপ্তার অভিযান, নিষ্ঠুর দমন-পীড়নের মধ্যেও অকুতোভয়ে নেতা-কর্মীরা তাদের দুরন্ত মিছিল অব্যাহত রেখেছে। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, সারাদেশে চলছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে মাতম আর মর্সিয়া। কান্নার আহাজারিতে এক বিষন্ন গুমোট অবস্থা বিরাজ করছে জন-সমাজে। হাতির ঝিলের বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনকে বর্বোরচিত আক্রমণ করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। মারধরের পর রক্তাক্ত খোকনকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। আইন প্রয়োগকারীসংস্থা আর সশস্ত্র আওয়ামী ক্যাডাররা একই সেনাদলে পরিণত হয়েছে। এদের কাজ শুধুমাত্র শেখ হাসিনার আক্রোশ বাস্তবায়ন করা।
তিনি বলেন, দুইজন শিশু বর্ষা ও নুরী চিৎকার করে কাঁদছে তার মায়ের মুক্তির জন্য। গোয়েন্দা পুলিশ শিশুদের পিতাকে না পেয়ে তার মাকে ধরে নিয়ে গেছে। এমনিভাবে ছয় বছরের শিশু সিয়াম বুকফাটা আর্তনাদ করছে তার কারাবন্দী বাবা আবুল কালামের জন্য। পিতা আব্দুল হাইয়ের তিন সন্তানকে কারান্তরীন করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক ছেলের হয়েছে ১০ বছর সাজা। আরেক ছেলেকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
রিজভী বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা এক কঠিন সময় পার করছে। অনেকটা দেশ ছাড়া উদ্বাস্তুর মতো। সহায় সম্বলহীন নিঃস্ব তারা। বিগত ১৫ বছরে অনেককে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে, চাকুরি থাকলেও কোন পদোন্নতি পায়নি, ব্যাবসা বাণিজ্য কেড়ে নেয়া হয়েছে, দোকান-পাট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশের ৪ থেকে ৫ দিন পূর্ব থেকে আজ পর্যন্ত মোট ১৭৭১০ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। মামলা হয়েছে ৪৫৮ টিরও অধিক। আহত হয়েছে ৪৮২৩ জনের অধিক নেতাকর্মী। মারা গেছে ১৭ জনের সাংবাদিকসহ ১ জন।