বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা হরতালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে র্যাবের ৪৪২টি টহল দল ও ১৬১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এবং বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তা প্রদানে দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে টহলের মাধ্যমে এস্কর্ট প্রদান করে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছে র্যাব। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে গোয়েন্দারা ছদ্মবেশে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
মো. শরীফুল ইসলাম বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ২২ প্লাটুনসহ সারাদেশে ১৬১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে গেলো ১ মাস ধরে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে আসছে বিএনপি-জামায়াত এবং সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।
সপ্তম দফায় তাদের ডাকা টানা ২৪ ঘণ্টার অবরোধের পর এদিন ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে হরতাল। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত যা চলবে। গেলো ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ২৯ অক্টোবর হরতাল ডাকে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।
পরে ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি-জামায়াত। এরপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। ১১ ও ১২ নভেম্বর চতুর্থ দফা এবং ১৫ ও ১৭ নভেম্বর পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডাকে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। সবশেষ ২৯ নভেম্বর অবরোধ এবং ৩০ নভেম্বর সারাদেশে সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় তারা।