Connect with us

বাংলাদেশ

কলকাতার চ্যালেঞ্জের বিপরিতে হায়দরাবাদের চাপ

Published

on

ভালো শুরু করেও গত ম্যাচে ছন্দপতন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। চলতি টুর্নামেন্টের শুরু থেকে যেই ম্যাচটা খেলেছিলো, দিল্লির বিপক্ষে তার উল্টোটা হয়েছে। অন্যদিকে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ খারাপ শুরু করেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে পরপর দুটো ম্যাচ জিতে। নতুন বছরের প্রথম দিনে মুখোমুখি হচ্ছে লকাতা-হায়দরাবাদ। মুম্বইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল।

এবার আইপিএলে মাত্র একজন স্পিনার নিয়ে নামছে সানরাইজার্স। ওয়াশিংটন সুন্দরের উপর ভরসা রাখছে তারা স্পিন বিভাগে। চার পেসারের সঙ্গে তিনি খেলছেন। বোলিংয়ের পাশাপাশি ৭ নম্বর ব্যাটিংয়েও তিনি ছাপ রাখছেন। দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু তার চোট একটা বড় ধাক্কা। রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচে তার না নামার সম্ভবনা বেশি। দলে শ্রেয়স গোপাল ও জগদীশ সুচিত থাকলেও সাত নম্বরে কতটা ভালো ব্যাট করতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। এই ম্যাচে পঞ্চম বোলার হিসেবে এইডেন মারক্রামকে বসিয়ে আব্দুল সামাদকে সুযোগ দিতে পারেন কেন উইলিয়ামসন।

অন্যদিকে গত ম্যাচ হারার পর সবকিছু স্বাভাবিক করতে কলকাতার সময় লাগবে। প্রথম চারটের মধ্যে তিনটে ম্যাচ জিতেছিলো দাপটের সঙ্গে। কিন্তু পঞ্চম ম্যাচে সেই দাপট চলে গেছে। সেখানে দলের বোলিংটা চিন্তার ছিলো। প্যাট কামিন্স অতিরিক্ত রান দিয়েছেন। ব্যাট হাতেও তিনি রান পাননি। বরুন চক্রবর্তীর খারাপ ফর্ম অব্যাহত। তাঁর বোলিংয়ে আর কোনও রহস্য নেই যেটা আগে ছিল। সহজেই তাঁকে পড়ে ফেলছেন বিপক্ষ। উমেশ যাদব ও সুনীল নারিন লড়াই দিলেও পর্যাপ্ত সমর্থন পাচ্ছেন না বাকি বোলারদের থেকে।

ব্যাটিং বিভাগে নীতিশ রানা, অজিঙ্কা রাহানে পুরোপুরি ব্যর্থ। তাও তাদের উপর ভরসা রেখে যাচ্ছেন শ্রেয়স। যেখানে হাতে একাধিক বিকল্প আছে। সেক্ষেত্রে অফ ফর্মের ব্যাটারদের বসায় কি না সেটা দেখার। কারণ বিপক্ষের স্পিন আক্রমণ মোটেই ভালো নয়, সেটাই কাজে লাগাতে হবে কলকাতাকে। পাশাপাশি নতুন বলে ভুবনেশ্বর কুমারের স্পেল সামলাতে হবে ওপেনারদের।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ : 
অভিষেক শর্মা, কেন উইলিয়ামসন, রাহুল ত্রিপাঠি, এইডেন মারক্রাম, নিকোলাস পুরান, শশাঙ্ক সিং, আব্দুল সামাদ, ভুবনেশ্বর কুমার, মার্কো জেনসন, উমরান মালিক, টি নটরাজন। 

Advertisement

কলকাতা নাইট রাইডার্স : 
ভেঙ্কটেশ আইয়ার, অ্যারন ফিঞ্চ, শ্রেয়স আইয়ার, নীতিশ রানা, আন্দ্রে রাসেল, স্যাম বিলিংস, রিঙ্কু সিং, প্যাট কামিন্স, সুনীল নারিন, উমেশ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী। 

হাসিব মোহাম্মদ 

জাতীয়

ঐতিহাসিক চা শ্রমিক দিবস আজ

Published

on

রক্তে ভেজা ঐতিহাসিক চা শ্রমিক দিবস বা মুল্লুকে চলো দিবস আজ মঙ্গলবার (২১ মে) ।

১৯২১ সালের ২০ মে ব্রিটিশদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হতে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা-শ্রমিক নিজেদের জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় চাঁদপুরের মেঘনাঘাটে গুলি চালিয়ে নির্বিচারে হত্যা করা হয় চা শ্রমিকদের। এরপর থেকে চা-শ্রমিকেরা ‘চা-শ্রমিক দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন এই দিবসটি।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চানপুর চা বাগানর শ্রমিক নিপেন পাল জানান- দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকালে জেলার চুনারুঘাট উপজেলার লস্করপুর চা বাগানে সমাবেশ করবে লস্করপুর ভ্যালির চা শ্রমিকরা।

চা শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে চীন ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও চায়ের প্রচলন ছিল না। ১৮৫৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সিলেটের মালিনীছড়া বাগানে চা চাষ শুরু করে ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি। সে সময় বৃহত্তর সিলেটে চা বাগান তৈরির জন্য ভারতের আসাম, উড়িষ্যা, বিহার, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আসা হয়।

‘গাছ হিলেগা, রুপিয়া মিলেগা’ গাছ নাড়ালেই টাকা মিলবে এমন প্রলোভনে শ্রমিকরা বাংলাদেশে এলেও তাদের ভুল ভাঙ্গতে বেশি সময় লাগেনি। বিশাল পাহাড় পরিষ্কার করে চা বাগান করতে গিয়ে হিংস্র পশুর কবলে পড়ে কত শ্রমিকের জীবন গেছে তার কোনো হিসেব নেই। এছাড়া ব্রিটিশদের অত্যাচারতো ছিলই। তাদের অব্যাহত নির্যাতনের প্রতিবাদে তৎকালীন চা শ্রমিক নেতা পন্ডিত গঙ্গাচরণ দীক্ষিত ও পন্ডিত দেওসরন ‘মুল্লুকে চল’ (দেশে চল) আন্দোলনের ডাক দেন।

এরপর ১৯২১ সালের ২০ মে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা শ্রমিক সিলেট থেকে পায়ে হেঁটে চাঁদপুর মেঘনা স্টিমার ঘাটে পৌঁছান। তারা জাহাজে চড়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইলে, ব্রিটিশ সৈনিকরা গুলি চালিয়ে শত-শত চা শ্রমিককে হত্যা করে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। যারা পালিয়ে এসেছিলেন তাদেরকেও আন্দোলন করার অপরাধে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। চা শ্রমিকদেরকে পরানো হয় একটি বিশেষ ট্যাগ। তারা ভূমির অধিকারও পায়নি। এরপর থেকেই প্রতি বছর ২০ মে চা শ্রমিক দিবস হিসেবে দিনটি পালন করছেন চা শ্রমিকরা।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সৌদি পৌঁছেছেন ৩২,৭১৯ জন হজযাত্রী

Published

on

চলতি বছর পবিত্র হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ৮২টি ফ্লাইটে সৌদিতে পৌঁছেছেন ৩২ হাজার ৭১৯ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৮ হাজার ৯৭২ জন।

মঙ্গলবার (২১ মে) হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।

হেল্পডেস্কে তথ্যমতে, ৮২টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৩৬টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এ ছড়া হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত দুই বাংলাদেশি মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, গেল ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৩২৩ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসেবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন, আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

বাণিজ্য-বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা এবং মানবপাচারের মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জে দিপক্ষীয় সহযোগিতা গভীর করতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুদিনের সফরে ঢাকায় আসবেন তিনি। বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরও পরিদর্শন করতে যাবেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সোমবার (২০ মে) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থ এগিয়ে নিতে আমি এ সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করব। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর এই সময়ে বাংলাদেশে আমার প্রথম সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত।

Advertisement

বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা গভীরের কাজ করছে অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি কাজ করছে জলবায়ু পরিবর্তন, আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা এবং মানবপাচারের মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জের কার্যকর সমাধান খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রেও।

পেনি ওং বলেন, অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের জনগণের বেশ ভালো সখ্যতা রয়েছে। বাংলাদেশের ৫০ হাজারে বেশি মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেন। অস্ট্রেলিয়ার মানবিক সহায়তা কীভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বাস্তবিক সহযোগিতা করছে সেখানে আমি তা দেখব।

পেনি ওংয়ের সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক বিষয়াবলীর মধ্যে, বিশেষত বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ, বাংলাদেশিদের অভিবাসন, মৌসুমি কর্মসংস্থান, সেখানে প্রবাসীদের কল্যাণ, জ্বালানি ও পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতার বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version