আমদানি-রপ্তানি
পেঁয়াজ রপ্তানি ফের নিষিদ্ধ করলো ভারত
দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ভারত সরকার আসছে বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পেঁয়াজের রপ্তানি নীতি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ডিজিএফটি আরও জানিয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নিম্নলিখিত তিনটি শর্তের যে কোনও একটি পূরণ করে পেঁয়াজের চালান রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রথমত, এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগেই রপ্তানির জন্য যেসব পেঁয়াজ লোড করা শুরু হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, যেখানে শিপিং বিল জমা দেওয়া করা হয়েছে এবং পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজগুলো ইতোমধ্যে বার্থ করেছে বা পৌঁছে গেছে ও ভারতীয় বন্দরে নোঙর করেছে এবং এই বিজ্ঞপ্তির আগে তাদের রোটেশন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজ লোড করার জন্য জাহাজের নোঙর/বার্থিং সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের নিশ্চিতকরণের পরেই এই ধরনের জাহাজে লোড করার অনুমোদন জারি করা হবে।
তৃতীয়ত, যেখানে এই বিজ্ঞপ্তির আগে পেঁয়াজের চালান কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে / যেখানে পেঁয়াজের চালান এই বিজ্ঞপ্তির আগে রপ্তানির জন্য কাস্টমস স্টেশনে প্রবেশ করেছে এবং কাস্টমস স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কাস্টোডিয়ানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে এই প্রজ্ঞাপন জারি করার আগে শুল্ক স্টেশনে প্রবেশের তারিখ এবং সময় স্ট্যাম্পিংয়ের যাচাইযোগ্য প্রমাণ থাকতে হবে।
এর আগে গেলো অক্টোবর মাসের শেষের দিকে দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছিল ভারত।
তারও আগে গেলো আগস্টে বাজার স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল দেশটি। সেই নীতিও চলতি মাসের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকার কথা বলা হয়েছিল।
আর এর মাঝেই এবার আসছে বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজের রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
আমদানি-রপ্তানি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
লোকসভার নির্বাচনের কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভ্রমণে তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। তবে মেডিকেল ভিসা ও পচনশীল পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
শনিবার (১৮ মে) সকালে ভারতীয় ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভারতীয় ইমিগ্রেশন জানায়, ১৮ মে সকাল থেকে লোকসভা নির্বাচনের দিন ২০ মে পর্যন্ত ভ্রমণ ভিসার পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারতে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে জরুরি চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী রোগীরা মেডিকেল ভিসায় ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে পচনশীল পণ্যবাহী যানবাহনকে এ বিধিনিষেধের বাইরে রাখা হয়েছে। তবে ২১ মে সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার আবারও স্বাভাবিক হবে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
আই/এ
আমদানি-রপ্তানি
হিলি বন্দর হয়ে এলো ভারতীয় পেঁয়াজ
দীর্ঘ সাড়ে পাঁচমাস পর হিলি বন্দর দিয়ে আবারও শুরু হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। প্রথমদিন এসেছে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। ভারতীয় এ পেঁয়াজে টনপ্রতি খরচ পড়েছে ৫৫০ ডলার।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় ভারতীয় পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশে করে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন স্থলবন্দরের (উদ্ভিদ সংগনিরোধ) উপ-সহকারী ইউসুফ আলী।
ইউসুফ আলী জানান, আর এসবি নামের একটি প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে।
এর আগে, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর গেলো ৫ মে কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়িতে ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) জন্য আবেদন করেন ব্যবসায়ীরা। আবেদনের পর ২৫ আমদানিকারককে প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
আই/এ
অর্থনীতি
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশি পোশাকের রপ্তানি বাড়ায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আপত্তি
ইউরোপসহ নানা দেশে রপ্তানির জন্য দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশ থেকে আসা তৈরি পোশাকের পরিমাণ এতটাই বেড়ে গেছে যে, ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা বাড়তি মূল্য দিয়ে তাঁদের রপ্তানি পণ্যের জন্য জায়গা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতে ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা চাইছেন তাদের পণ্যকে অগ্রাধিকার দেয়া হোক।
রোববার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বৃটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রীর সঙ্গে ইতোমধ্যেই দুদফায় আলোচনা করেছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠনগুলি।
এদিকে বাংলাদেশে পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমই এ জানায়, ভারতীয় রপ্তানিকারকদের দাবি খুবই অযৌক্তিক। কারণ বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানির সামান্য একটা অংশই ভারতের মাধ্যমে যায়। ফলে তাদের পণ্যের কারণে দিল্লি বিমানবন্দরে ‘মালামালের জট’ লাগার কথা না।
প্রসঙ্গত, গেলো ২০২৩ সাল থেকে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি গার্মেন্টস রপ্তানি বন্ধ হয়ে এটি দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।
আই/এ
-
অপরাধ7 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
-
টুকিটাকি6 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
-
বলিউড2 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
-
ঢালিউড2 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
-
বাংলাদেশ1 day ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
-
জাতীয়5 days ago
পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে
-
অপরাধ4 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
আবহাওয়া1 day ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস