সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফদের সঙ্গে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বৈঠক করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ইসি সূত্রে জানানো হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বে সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে সাড়ে ৭ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটের মাঠে কাজ করবেন। এছাড়া আনসার সদস্য ৫ লাখ ১৬ হাজার জন, পুলিশ ও র্যাবের এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ডের দুই হাজার ৩৫০ জন, বিজিবির ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন নিয়োজিত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, 'নির্বাচনে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। অতীতের মতো সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন। আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। অতীতের জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। এবার সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি।’
গেলো মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহ জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের একই কথা জানান ইসি আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে।’
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, সারা দেশে ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে ২ হাজার ৭১৬টি। তার মধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র, যা দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ। বর্তমিানে কমিশনে বাদ পড়া প্রার্থীদের আপিল শুনানি চলছে।
এদিকে গেলো মাসের ১৫ তারিখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর করা হয়, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। গেলো ১ নভেম্বর থেকে এবারের নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। সে অনুসারে ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।