শরীয়তপুরের চিতলিয়ায় ঈদের নামাজ শেষে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
মঙ্গলবার (৩ মে) সকাল ১০টার দিকে চিতলিয়ার মজুমদ্দার কান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের ২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি কুদ্দুস বেপারী (৬০) নামে স্থানীয় এক নেতা আহত হয় ।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, সকালে ঈদের নামাজের পর দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে ঘটনাস্থলে কুদ্দুস বেপারী নামের একজন মারা যান। এছাড়া ২০ জন আহত হন। যার মধ্যে দুইজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। চিতলিয়া এলাকায় থমথম অবস্থা বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষে এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানায় , দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার ও থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন হাওলাদারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সকালে মজুমদ্দার কান্দি গ্রামে ঈদের জামাত শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কুদ্দুস বেপারীসহ প্রায় ২০ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আহতদের মধ্যে কুদ্দুস বেপারীকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়াও দুইজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শাখাওয়াত হোসেন বলেন, চিতলিয়ায় আওয়ামী লীগ দুইটি গ্রুপ। ২০১৮ সালের পরে এটি বড় আকার ধারণ করে। একটির নেতৃত্বে দেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার, অপরটির নেতৃত্ব দেন থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন হাওলাদার। এবার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হতে গিয়েও বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েকদিন আগে আবার তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে দ্বন্দ্ব আরও তুঙ্গে উঠেছে। আজ সকালে হারুন হাওলাদারের সমর্থকরা পূর্ব পরিকল্পনার মাধ্যম আব্দুস সালাম হাওলাদারের সমর্থকদের ওপর হামলা করে।
এসআই/