বাংলাদেশ
প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত উন্নয়নই জাতির উন্নয়নের মূল বিষয় : প্রধানমন্ত্রী
দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন তৎপরতায় প্রকৌশলীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপুর্ণ। প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত উন্নয়নই একটি জাতির উন্নয়নের মূল বিষয়। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার (৭ মে) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’। এ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী লগ্নে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। এ অনন্য অর্জনে প্রকৌশলীদের অবদান রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও তার বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণে এবং খাদ্য জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে প্রকৌশলীদের আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীরা মূখ্য ভূমিকা রাখবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে দেশে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলি টানেল, এল এনজি টার্মিনাল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ১০০টি বিশেষ অঞ্চলসহ সড়ক, রেল, নৌ ও যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এ সব উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে প্রকৌশলীগণই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার সবসময়ই প্রকৌশলীদের পাশে রয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা আইইবি ভবন নির্মাণের জন্য রমনায় ১০ বিঘা জমি রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছি। এছাড়া ভবনের কাজ শুরু করার জন্য পাঁচ কোটি টাকা, দাউদকান্দিতে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ নির্মাণের জন্য ৭২ বিঘা জমি, স্টাফ কলেজের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য ৪৬ কোটি টাকা, খুলনা কেন্দ্রের জন্য কেডিএ এর জায়গা বরাদ্দ, পূর্বাচলে আইইবি’র জন্য ২ বিঘা জমি, রাঙ্গাদিয়া, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, দিনাজপুর কেন্দ্র এবং ফেনী ও কক্সবাজার উপকেন্দ্রের জন্য জমি প্রদান করেছি। আইইবি ভবনের জন্য সর্বমোট ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনেও প্রকৌশলীগণ অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত উন্নয়নের মাধ্যমে প্রকৌশলীরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
জাতীয়
রাতে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে এমভি আব্দুল্লাহ
সোমালি জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে সোমবার (১৩ মে) রাতে কুবুবদিয়াতে পৌঁছাতে পারে। সেখানে আংশিক পণ্য খালাস হবে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে বোট বা লাইটার জাহাজে নাবিকদের আনা হবে জেটিতে।
রোববার (১২ মে) জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, রোববার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জাহাজটি কুতুবদিয়া থেকে প্রায় ৩৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে আগামীকাল সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, কুতুবদিয়ায় কিছু চুনাপাথর আনলোড করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজটি। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা নাগাদ ২৩ নাবিক নিয়ে জাহাজটি কুতুবদিয়াতে পৌঁছার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি জাহাজে থাকা সব নাবিক সুস্থ রয়েছেন। তারা কুতুবদিয়াতে পৌঁছানোর পর পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে আমরা বলতে পারব।
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এমভি আব্দুল্লাহ আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে।
উল্লেখ্য, সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়।
মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি।
টিআর/
বাংলাদেশ
নিজের আসল পরিচয় জানালেন আলিয়া
২০২২ সালের এপ্রিলে গাঁটছড়া বাঁধার পর নভেম্বরে কন্যাসন্তানের মা-বাবা হয়েছেন আলিয়া ভাট ও রণবীর কাপূর। সন্তান জন্মের পর বিরতি নেননি। বরং কাজ দ্বিগুণ বেড়েছে আলিয়ার।
গেলো বছর হলিউডের ছবিতে অভিষেকও হয়েছে তার। কর্মজীবনে একের পর এক সাফল্য পেয়েছেন আলিয়া। সম্প্রতি মেটা গালায় আলিয়ার সাজ নজর কেড়েছে সকলের।
আলিয়া যে বিশ্বমানের অভিনেত্রী, তা ভালো ভাবেই জানেন রণবীর। তাই পেশাদার অভিনেত্রী হিসাবে আলিয়াকে আরও এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দেন। তবে তিনি ‘অভিনেত্রীকে’ কিংবা ‘রণবীরের স্ত্রীকে’ নয়, বরং যে ভূমিকায় নিজেকে সবার প্রথমে রাখতে চান, সেটাই সম্প্রতি জানালেন আলিয়া।
বয়স সবে দেড় বছর। মেয়ে রাহাকে এক মুহূর্তের জন্যেও কাছছাড়া করতে চান না তারা। নিজের ছবির প্রচার হোক কিংবা বিদেশ ভ্রমণ অথবা অম্বানীদের পার্টি, সর্বক্ষণ বাবার কোলে একরত্তি রাহা। তাই রণবীরের স্ত্রী নয়, বরং তিনি সবার আগে রাহার মা। মেয়েই অগ্রাধিকার পায় তার জীবনে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন আলিয়া।
আলিয়ার জানান, ‘আসলে আমরা দু’জনে আলাদা মানুষ। সাফল্য ও ব্যর্থতা, দু’টি গ্রহণ করার পদ্ধতিও আমাদের আলাদা-আলাদা। আমি বেশি ভাবি। ব্যর্থতা পেলে সেটা নিয়ে চিন্তা করি। কিন্তু রণবীর দুই ক্ষেত্রেই সবটা পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারে।’
মেয়ের জন্মের পর স্বামী-স্ত্রী একটি বিষয়ে এককাট্টা। আলিয়া বলেন, ‘মেয়ের জন্মের পরই আমরা একটি সিদ্ধান্তে আসি যে, মেয়েকে একা ছাড়ব না কখনও। রাহাকে কখনও আমি দেখব, কখনও রণবীর। যার যখন কাজ থাকবে, অন্য জন ছুটি নিয়ে আমরা সন্তানের কাছে থাকব। এভাবেই পরিকল্পনা করে রেখেছি। আমিও তো ভালো মা হতে চাই! তবে রাহার জন্মের পর থেকে সারাক্ষণ দুশ্চিন্তা হয়। যা-ই করি, মনে হয়, আমার সন্তানের এতে ভালো হবে তো! শেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, ওকে আমরা আমাদের সেরাটা দেব। বাকিটা ঈশ্বরের উপর।’
জেএইচ
জাতীয়
হজ করতে সৌদি পৌঁছেছেন ১২ হাজার ৬৪৯ হজযাত্রী
পবিত্র হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৬৪৯ যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।
রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
সৌদি পৌঁছানো এসব হজযাত্রীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮ হাজার ৯০২ জন সৌদি গেছেন।
মোট ৩২টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৭টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
গেলো ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করে। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট যাবে ১০ জুন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন। ২২ জুলাই শেষ ফিরতি ফ্লাইট দেশে আসবে।
টিআর/
-
এশিয়া2 days ago
দুর্ঘটনায় উল্টে গেলো গাড়ি, রাস্তায় ছড়িয়ে পড়লো কোটি কোটি টাকা
-
টুকিটাকি2 days ago
মাকে গুলি, স্ত্রীকে হাতুড়ি আর ৩ সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে খুন
-
জাতীয়7 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
আন্তর্জাতিক5 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
ঢাকা7 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
বলিউড7 days ago
ভাই-বোনেরা গাঁজা একদম ছুবে না: হানি সিং
-
বলিউড2 days ago
আরবাজ-সোহেলের পর বিয়ে ভাঙছে সালমানের বোন অর্পিতার?
-
ঢালিউড4 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি