Connect with us

বাংলাদেশ

খেলোয়াড়দের সাথে সংগঠকদেরও উৎসাহিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে গৌরবময় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠককে ‘জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী এখানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শহীদ লে. শেখ জামালকে ২০২০ সালের খেলোয়াড় ও সংগঠক হিসেবে (মরণোত্তর) পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।  দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অগ্রগামী শেখ জামালের পক্ষে শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড়দের পাশাপাশি সংগঠকদের উৎসাহিত করতে এবং খেলাধুলার সার্বিক অগ্রগতির জন্য প্রতি বছর পুরস্কার প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি, প্রাপকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব উপস্থিত ছিলেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে খেলাধুলার উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

Advertisement

এর আগে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তি ও সংগঠককে মনোনীত করেছে।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ২৫ গ্রাম ওজনের ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার চেক এবং একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। 

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০২০

(১) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (মরণোত্তর)

(২) বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজালুর রহমান সিনহা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট) (মরণোত্তর)

Advertisement

(৩) নাজমুল আবেদীন (ফাহিম), ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট কোচ)

(৪) মোঃ মহসীন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৫) মোঃ মাহাবুবুল এহছান রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(৬) গ্র্যান্ডমাস্টার মোল্লা আব্দুল্লাহ আল রাকিব, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (দাবা)

(৭) বেগম নিলুফা ইয়াসমিন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৮) আব্দুল কাদের স্মরণ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৯

(৯) তানভীর মাজহার তান্না, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(১০) অরুন চন্দ্র চাকমা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস) (মরণোত্তর)

(১১) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (আর্চারি)

Advertisement

(১২) দিপু রায় চৌধুরী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)

(১৩) কাজী নাবিল আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(১৪) ইন্তেখাবুল হামিদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (শুটিং)

(১৫) মাহফুজা রহমান তানিয়া, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(১৬) ফারহানা সুলতানা (শীলা), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাইক্লিং)

Advertisement

(১৭) টুটুল কুমার নাগ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(১৮) মাহবুবুর রব, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)

(১৯) সাদিয়া আক্তার উর্মি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (টেবিল টেনিস, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৮

(২০) ফরিদা আক্তার বেগম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(২১) জ্যোৎস্না আফরোজ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(২২) রফিক উল্যা আখতার (মিলন), ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)

(২৩) কাজী আনোয়ার হোসেন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল) 

(২৪) শওকত আলী খান (জাহাঙ্গীর), ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(২৫) মীর রবিউজ্জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (জিমন্যাস্টিকস)

Advertisement

(২৬) মোহাম্মদ আলমগীর আলম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(২৭) তৈয়েব হাসান সামছুজ্জামান, ক্যাটাগরি- সংগঠক (রেফারি)

(২৮) নিবেদিতা দাস, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(২৯) মাহমুদুল ইসলাম রানা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (তায়কোয়ান্দো)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৭

Advertisement

(৩০) শাহরিয়া সুলতানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন)

(৩১) আওলাদ হোসেন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (জুডো, কারাতে ও মার্শাল আর্ট)

(৩২) ওয়াসিফ আলী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (বাস্কেটবল)

(৩৩) শেখ বশির আহমেদ (মামুন), ক্যাটাগরি- সংগঠক (জিমন্যাস্টিকস)

(৩৪) সেলিম মিয়া, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

Advertisement

(৩৫) খোরশেদ আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (রোইং)

(৩৬) আবু ইউসুফ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৩৭) এ. টি. এম. শামসুল আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (টেবিল টেনিস)

(৩৮) রহিমা খানম যুথী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৩৯) আসাদুজ্জামান কোহিনুর, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)

Advertisement

(৪০) মাহবুব হারুন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৬

(৪১) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৪২) লে. কমান্ডার এ কে সরকার (অবঃ), ক্যাটাগরি- সংগঠক (বাস্কেটবল)

(৪৩) বেগম সুলতানা পারভীন লাভলী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৪৪) বীর মুক্তিযোদ্ধা শামীম-আল-মামুন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ভলিবল)

(৪৫) আরিফ খান জয়, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৪৬) খন্দকার রকিবুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৪৭) জালাল ইউনুস, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)

(৪৮) তোফাজ্জল হোসেন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৪৯) কাজল দত্ত, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভরোত্তোলন)

(৫০) তাবিউর রহমান পালোয়ান, ক্যাটাগরি- সংগঠক (কুস্তি)

(৫১) জেড. আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল) (মরণোত্তর)

(৫২) আবদুর রাজ্জাক (সোনা মিয়া), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি) (মরণোত্তর)

(৫৩) হাবিবুল বাশার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)

Advertisement

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৫

(৫৪) ড. শেখ আবদুস সালাম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্যারম)

(৫৫) আহমেদুর রহমান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (জিমন্যাস্টিকস)

(৫৬) আহমেদ সাজ্জাদুল আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)

(৫৭) খাজা রহমতউল্লাহ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি) (মরণোত্তর)

Advertisement

(৫৮) মাহ্তাবুর রহমান বুলবুল, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (বাস্কেটবল)

(৫৯) ফারহাদ জেসমিন লিটি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৬০) বরুন বিকাশ দেওয়ান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৬১) রেহানা জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৬২) জুয়েল রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

Advertisement

(৬৩) জেসমিন আক্তার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন, কারাতে ও তায়কোয়ান্দো)

(৬৪) শিউলী আক্তার সাথী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৪

(৬৫) শামসুল বারী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (হকি) (মরণোত্তর)

(৬৬) এনায়েত হোসেন সিরাজ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)

Advertisement

(৬৭) ফজলুর রহমান বাবুল, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(৬৮) সৈয়দ শাহেদ রেজা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)

(৬৯) ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৭০) এহসান নামিম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(৭১) কামরুন নেছা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৭২) সামছুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৭৩) মিউরেল গোমেজ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৭৪) জোবায়েদুর রহমান রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৩

(৭৫) মুজাফফর হোসেন পল্টু, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (ক্রিকেট)

Advertisement

(৭৬) কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)

(৭৭) উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ভারোত্তোলন)

(৭৮) শামসুল হক চৌধুরী, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(৭৯) বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্জাহান মিজি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৮০) রোকেয়া বেগম খুকী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৮১) মুনিরা মোর্শেদ খান (হেলেন), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (টেবিল টেনিস)

(৮২) ইলিয়াস হোসেন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৮৩) জ্যোৎস্না আক্তার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৮৪) ভোলা লাল চৌহান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (স্কোয়াশ)

(৮৫) খালেদ মাহমুদ সুজন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)

Advertisement

হাসিব মোহাম্মদ

জাতীয়

বিদ্রোহী কবির ১২৫তম জন্মদিন আজ

Published

on

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক বিস্ময়কর প্রতিভার নাম। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ। যার গান কবিতায় ফুটে ওঠে `সাম্যের গান। বাঙালির আবেগ, অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকা চির বিদ্রোহী এ কবির ১২৫তম জন্মদিন আজ।

বাংলা ১৩০৬ সনের ১১ জ্যৈষ্ঠ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম নেন কাজী নজরুল ইসলাম। ডাকনাম তাঁর `দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন। পিতা ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। অভাব অনটন ছিল শৈশব থেকেই তাঁর নিত্যসঙ্গী। শৈশব থেকেই লেটো দলের বাদক, রুটির দোকানের শ্রমিক এভাবেই পেরিয়ে গেছে তাঁর শৈশব-কৈশোর। পরে কাজ করেছেন সৈনিক হিসেবে। সাংবাদিকতা করেছেন। কাজ করছেন এইচএমভি ও কলকাতা বেতারে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে পথে নেমেছেন। পাশাপাশি সাহিত্যসাধনা তো ছিলই। শাসকের কোপানলে পড়েছেন, কারারুদ্ধ হয়েছেন কিন্তু নত হয়নি নজরুলের উচ্চ শির।

নজরুল ছিলেন সাম্য, সম্প্রীতি, দ্রোহ, প্রেম ও গণমানুষের কবি। দুখু মিয়া ছিলেন নিপীড়িত মানবতার কবি। যৌবনে শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে চালিয়েছেন সংগ্রাম। নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েও বঞ্চিত মানুষের পক্ষে চালিয়েছেন লেখনী। নির্ভীক চিত্তে কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা ও কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষুরধার রচনা অব্যাহত রেখেছেন। থেকেছেন আপসহীন। সংগীতে সৃষ্টি করেছেন স্বতন্ত্র ধারা।লোভ খ্যাতির মোহের কাছে মাথা নত করেননি। কারা নির্যাতনেও বিচ্যুত হননি লালিত আদর্শ থেকে।
অন্যদিকে তিনি মানুষের হৃদয়ের কোমল অনুভূতির প্রতিও সমান আবেগে সাড়া দিয়েছেন। অজস্র গানে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন বাংলার সংগীত ভুবন। প্রবর্তন করেছিলেন বাংলা গজল।

নজরুল ইসলাম ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কবি “জগত্তারিনী” পুরষ্কার পেয়েছেন। ১৯৬০ সালে ভারত সরকার কর্তৃক “পদ্মভূষন” উপাধিতে ভূষিত হন। ১০৭০ সালে বিশ্বভারতী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে “ডিলিট” উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “ডিলিট” উপাধি লাভ করেন। নজরুল ইসলামকে ১৯৭৫ সালে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
সবশেষে ১৯৭৬ সালে কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশ সরকার নাগরিকত্ব প্রদান করে এবং বাংলাদশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেন।
অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছিল তার সাহিত্যের আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপজীব্য। আর তাই ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নজরুল’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে এবার। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে নজরুলের কবিতা ও গান।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কবি নজরুল তার প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপ্ত করেছেন। নজরুল সাহিত্যের বিচিত্রমুখী সৃষ্টিশীলতা আমাদের জাতীয় জীবনে এখনো প্রাসঙ্গিক।’

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী (২৫ থেকে ২৭ মে) অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। শনিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হবে। এছাড়া সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খানের নেতৃত্বে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কবির সমাধিতে অর্পণ করা হবে পুষ্পস্তবক।

এছাড়া ময়মনসিংহ ও জাতীয় কবির স্মৃতি বিজড়িত কুমিল্লার দৌলতপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানমালা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি বেতার ও টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ সম্প্রচার করবে। কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

শনিবার সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে। এ ছাড়া বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে স্থাপিত নজরুল প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে।

Advertisement

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কবির মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল সোয়া ৬টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমবেত হয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা শোভাযাত্রা নিয়ে সকাল সাড়ে ৬টায় কবির সমাধিতে যাবেন। পরে তারা জাতীয় কবির মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন ও রুহের মাগফেরাত কামনায় ফাতেহা পাঠ করবেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

টিআর/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মাইন বিস্ফোরণে ২ বাংলাদেশি আহত, একজনের পা বিচ্ছিন্ন

Published

on

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুমে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২ বাংলাদেশি নাগরিক উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ মে) রাত ৮টার দিকে সীমান্তের ঘুমধুমে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন-নবী হোসেন প্রকাশ সোনা মিয়ার পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। অন্য একজনের নাম আবু তাহের। তারা দুইজনই ঘুমধুম এলাকার বাসিন্দা।

আহতদের স্বজনরা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সীমান্তের পশ্চিমকূল নামক জায়গায় এ বিস্ফোরণ হয়। এতে আরও ৩ জন নিখোঁজের তথ্য দেন তারা। তবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুইজন আহত হয়েছেন, তবে তার কাছে কারও নিখোঁজের তথ্য নেই।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজার আসছে নতুনরূপে

Published

on

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া রাজধানীর পোশাকের অন্যতম পাইকারি মার্কেট বঙ্গবাজারে নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। সু-বিশাল নতুন এই ভবন নির্মাণ হলে ভিন্ন চেহারায় দেখা যাবে বঙ্গবাজার। ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনের সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এই বিপণিবিতানের নির্মাণকাজ ২০২৮ সালে শেষ হতে পারে।

‘বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণী বিতান’ নির্মাণকাজের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামীকাল ২৫ মে (শনিবার)। ওইদিন বেলা ১১টায় নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

সিটি করপোরেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একইদিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গৃহীত পোস্তগোলা থেকে রায়েরবাজার স্লুইস গেট পর্যন্ত ‘৮ সারির ইনার সার্কুলার রোড’ এবং ধানমন্ডি হ্রদের পাড়ে ‘নজরুল সরোবর’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন।

এছাড়াও পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলা এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলা থেকে আনা উত্তরবঙ্গগামী বাসগুলোকে যেন আর ঢাকা শহরের ভেতরে প্রবেশ করতে না হয়, সেজন্য পোস্তাগোলা ব্রিজ থেকে রায়ের বাজার স্লুইচ গেট পর্যন্ত আট সারির ইনার সার্কুলার রোড প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে কামরাঙ্গীরচরের লোহারপুল থেকে রায়ের বাজার স্লুইচ গেট পর্যন্ত আট সারির সড়ক নির্মাণ করা হবে।

পাশাপাশি নগরীতে পর্যাপ্ত গণপরিসর সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার রোড নম্বর ১৩/এ ও ৮/এ সংলগ্ন ধানমন্ডি হ্রদের পাড়ে নজরুল সরোবর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, গেলো বছরের ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নতুন করে বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপণী বিতান নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version