Connect with us

বাংলাদেশ

এখনকার শিশুরা ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

ক্রীড়াক্ষেত্রে গৌরব উজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ দেশের গুণী ৮৫ ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে দেয়া হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। ২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৮৫ জন কৃতি ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠককে ‌এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। 

বুধবার (১১ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ভরপুর ছিলো ক্রীড়ার তারার মেলা! দেশের বিশিষ্ট খেলোয়াড়, সংগঠক, কোচরা এক ছাদের নিচে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত থেকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সময় স্বল্পতার জন্য শুধুমাত্র ২০২০ সালের পদকজয়ীদের মঞ্চে পদক দেয়া হয়। 

বিগত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এবার সশরীর উপস্থিত থাকতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘সশরীর উপস্থিত থাকতে পারলে খুব ভালো লাগত। আগামীতে অবশ্যই থাকব এবং এই পুরস্কার প্রতি বছর আয়োজন করতে হবে।’

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন খেলোয়াড়দের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারী খেলোয়াড়রা ভালো করছে। তাদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।’ 

তিনি প্রতি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুদের জন্য খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। গ্রামীণ খেলাগুলো আমাদের চালুর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে সহায়তা করছি। আমরা চাই, আমাদের এ খেলাগুলো আরো এগিয়ে যাক।’ 

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ঢাকা শহরে খেলার সুযোগ কম। শিশুরা ফ্ল্যাটে বাস করে ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে। বাবা-মায়েদের প্রতি অনুরোধ, কিছু সময়ের জন্য যেন শিশুরা খেলতে পারে, এমন ব্যবস্থা করতে।’

প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ২০২০ সালে নির্বাচিত ৮ জনকে মঞ্চে পদক পরিয়ে দেন। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকে পান একটি আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার চেক এবং একটি সনদপত্র।

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন :

(১) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (মরণোত্তর)

(২) বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজালুর রহমান সিনহা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট) (মরণোত্তর)

Advertisement

(৩) নাজমুল আবেদীন (ফাহিম), ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট কোচ)

(৪) মোঃ মহসীন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৫) মোঃ মাহাবুবুল এহছান রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(৬) গ্র্যান্ডমাস্টার মোল্লা আব্দুল্লাহ আল রাকিব, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (দাবা)

(৭) বেগম নিলুফা ইয়াসমিন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৮) আব্দুল কাদের স্মরণ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৯

(৯) তানভীর মাজহার তান্না, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(১০) অরুন চন্দ্র চাকমা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস) (মরণোত্তর)

(১১) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (আর্চারি)

Advertisement

(১২) দিপু রায় চৌধুরী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)

(১৩) কাজী নাবিল আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(১৪) ইন্তেখাবুল হামিদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (শুটিং)

(১৫) মাহফুজা রহমান তানিয়া, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(১৬) ফারহানা সুলতানা (শীলা), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাইক্লিং)

Advertisement

(১৭) টুটুল কুমার নাগ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(১৮) মাহবুবুর রব, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)

(১৯) সাদিয়া আক্তার উর্মি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (টেবিল টেনিস, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৮

(২০) ফরিদা আক্তার বেগম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(২১) জ্যোৎস্না আফরোজ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(২২) রফিক উল্যা আখতার (মিলন), ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)

(২৩) কাজী আনোয়ার হোসেন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল) 

(২৪) শওকত আলী খান (জাহাঙ্গীর), ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(২৫) মীর রবিউজ্জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (জিমন্যাস্টিকস)

Advertisement

(২৬) মোহাম্মদ আলমগীর আলম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(২৭) তৈয়েব হাসান সামছুজ্জামান, ক্যাটাগরি- সংগঠক (রেফারি)

(২৮) নিবেদিতা দাস, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(২৯) মাহমুদুল ইসলাম রানা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (তায়কোয়ান্দো)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৭

Advertisement

(৩০) শাহরিয়া সুলতানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন)

(৩১) আওলাদ হোসেন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (জুডো, কারাতে ও মার্শাল আর্ট)

(৩২) ওয়াসিফ আলী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (বাস্কেটবল)

(৩৩) শেখ বশির আহমেদ (মামুন), ক্যাটাগরি- সংগঠক (জিমন্যাস্টিকস)

(৩৪) সেলিম মিয়া, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

Advertisement

(৩৫) খোরশেদ আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (রোইং)

(৩৬) আবু ইউসুফ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৩৭) এ. টি. এম. শামসুল আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (টেবিল টেনিস)

(৩৮) রহিমা খানম যুথী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৩৯) আসাদুজ্জামান কোহিনুর, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)

Advertisement

(৪০) মাহবুব হারুন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৬

(৪১) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৪২) লে. কমান্ডার এ কে সরকার (অবঃ), ক্যাটাগরি- সংগঠক (বাস্কেটবল)

(৪৩) বেগম সুলতানা পারভীন লাভলী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৪৪) বীর মুক্তিযোদ্ধা শামীম-আল-মামুন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ভলিবল)

(৪৫) আরিফ খান জয়, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৪৬) খন্দকার রকিবুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৪৭) জালাল ইউনুস, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)

(৪৮) তোফাজ্জল হোসেন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৪৯) কাজল দত্ত, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভরোত্তোলন)

(৫০) তাবিউর রহমান পালোয়ান, ক্যাটাগরি- সংগঠক (কুস্তি)

(৫১) জেড. আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল) (মরণোত্তর)

(৫২) আবদুর রাজ্জাক (সোনা মিয়া), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি) (মরণোত্তর)

(৫৩) হাবিবুল বাশার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)

Advertisement

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৫

(৫৪) ড. শেখ আবদুস সালাম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্যারম)

(৫৫) আহমেদুর রহমান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (জিমন্যাস্টিকস)

(৫৬) আহমেদ সাজ্জাদুল আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)

(৫৭) খাজা রহমতউল্লাহ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি) (মরণোত্তর)

Advertisement

(৫৮) মাহ্তাবুর রহমান বুলবুল, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (বাস্কেটবল)

(৫৯) ফারহাদ জেসমিন লিটি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৬০) বরুন বিকাশ দেওয়ান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৬১) রেহানা জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৬২) জুয়েল রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

Advertisement

(৬৩) জেসমিন আক্তার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন, কারাতে ও তায়কোয়ান্দো)

(৬৪) শিউলী আক্তার সাথী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৪

(৬৫) শামসুল বারী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (হকি) (মরণোত্তর)

(৬৬) এনায়েত হোসেন সিরাজ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)

Advertisement

(৬৭) ফজলুর রহমান বাবুল, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(৬৮) সৈয়দ শাহেদ রেজা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)

(৬৯) ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৭০) এহসান নামিম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)

(৭১) কামরুন নেছা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৭২) সামছুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৭৩) মিউরেল গোমেজ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৭৪) জোবায়েদুর রহমান রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৩

(৭৫) মুজাফফর হোসেন পল্টু, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (ক্রিকেট)

Advertisement

(৭৬) কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)

(৭৭) উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ভারোত্তোলন)

(৭৮) শামসুল হক চৌধুরী, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)

(৭৯) বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্জাহান মিজি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)

(৮০) রোকেয়া বেগম খুকী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

Advertisement

(৮১) মুনিরা মোর্শেদ খান (হেলেন), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (টেবিল টেনিস)

(৮২) ইলিয়াস হোসেন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)

(৮৩) জ্যোৎস্না আক্তার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)

(৮৪) ভোলা লাল চৌহান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (স্কোয়াশ)

(৮৫) খালেদ মাহমুদ সুজন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)

Advertisement

হাসিব মোহাম্মদ 

বাংলাদেশ

ফুটবলকে টনি ক্রুসের বিদায়

Published

on

ফুটবলকে অবশেষে বিদায় বলার সময় জানালেন টনি ক্রুস। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলেই শেষ জানাবেন ক্রুস। আর জার্মানির হয়ে আসন্ন ইউরো ২০২৪ পর্যন্ত খেলবেন তিনি। এমন সিদ্ধান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সট্রাগ্রামে জানিয়েছেন এই তারকা ফুটবলার।

আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা একবার দিয়েছিলেন ক্রুস। তবে ঠিকই ফেব্রুয়ারিতে ফিরে এসেছিলেন দলের প্রয়োজন ও কোচের ডাকে। এরপর জার্মানির হয়ে ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

বিশ্বকাপের জন্য প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছে জার্মানি। সেই দলে আছেন ক্রুস। আর মাদ্রিদের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ তিনি। চলতি মৌসুম দিয়ে তার মেয়াদ শেষ হতো। এরপর চুক্তি বাড়ানো নিয়ে হতে পারতো আলোচনা, তবে তেমন আর সুযোগ দিলেননা এই মিডফিল্ডার।

রিয়ালের হয়ে ক্যারিয়ারে ইতি টানার ইচ্ছা ছিল ক্রুসের। সেই আশাও পূরণ হচ্ছে তার। তিনি বলেন, “এই গ্রীষ্মে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পর একজন সক্রিয় ফুটবলার হিসেবে আমার ক্যারিয়ার শেষ হবে। যেমনটা আমি সবসময় বলতাম। রিয়াল মাদ্রিদ আমার বর্তমান ও ক্যারিয়ারের শেষ ক্লাব হবে।”

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের জন্মদিন আজ

Published

on

সংগৃহীত ছবি

আজ (২১ মে)। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির জন্মদিন। ১৯৮০ সালের এই দিনে যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন তারুণ্যের শক্তিকে সংঘবদ্ধ করা রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকের সন্তান ববি আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি দেখভাল করছে। সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘ইয়ং বাংলা’র মাধ্যমে কাজ করছেন  তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণের।

তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় ববি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে গভর্ন্যান্স অ্যান্ড হিস্ট্রি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরে একই প্রতিষ্ঠান থেকে কমপেরেটিভ পলিটিকস বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। ববির দুই বছরের ছোট বোন টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নেয়া ছিলো নিষিদ্ধ। বঙ্গবন্ধুকে এভাবে বাংলাদেশের বুক থেকে মুছে ফেলার স্বাক্ষী হয়ে আছেন আশির দশকে ঢাকায় শৈশব পার করা বঙ্গবন্ধুরই দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ তৎকালীন প্রজন্ম।

নিজের শৈশবের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে এক অনুষ্ঠানে ববি বলেন, “স্কুলে অনেকেই তখন নানার নামই শোনেনি। আমার বন্ধুরা বলতো, ‘কে তোমার এই বঙ্গবন্ধু নানা?’ স্কুলে আমার শিক্ষকরা ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটা শুনলে অনেক ঘাবড়ে যেতেন। আমাকে বলতো, ‘বঙ্গবন্ধু বলতে হয়না স্কুলে’।” শিশু রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক সে সময় বুঝতে পারতেন না কেনো তার নানাকে কেউ চেনেন না, যিনি বাংলাদেশের জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছেন তাকে কেনো চিনবে না বন্ধুরা!

Advertisement

আর এ কারণেই বর্তমান প্রজন্মের তরুণদের জন্য বঙ্গবন্ধুকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের স্বপ্ন দেখতেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।  তাঁর পরিকল্পনায় শিশু-কিশোরদের জন্য প্রকাশিত হয় গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’। ১০ পর্বের গ্রাফিক নভেলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থটিকে যেনো বাস্তবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

বাংলাদেশে নির্মিত ডকুড্রামা ‘হাসিনা: এ ডটারর্স টেল’ এর নির্মাণের পেছনেও বড় ভূমিকা রেখেছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। মূলত ১৯৭৫ সালের নিজ পরিবারের সকল সদস্যকে হারিয়ে যেভাবে জাতির পিতার দুই কন্যা বেঁচে ছিলেন এবং সেখান থেকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফিরে এসেছিলেন দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে, সেই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে এই ডকুড্রামার মাধ্যমে। এটি নির্মাণের পেছনেও মূল কারণ ছিলো তরুণদের আকৃষ্ট করা।

পর্দার আড়ালে থেকে তরুণদের জন্য কাজ করে যাওয়া রাদওয়ান মুজিব গণমাধ্যমের সামনেও খুব একটা আসেন না। কিন্তু তার দুর্দান্ত সব কার্যক্রমের কল্যাণে দেশ গঠনে উদ্বুদ্ধ হয়ে এগিয়ে এসেছে তরুণ প্রজন্ম। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছেন। সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘ইয়াং বাংলার’ মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করছেন তিনি। ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও ৩১৫টি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চলা ইয়াং বাংলার সদস্য সংখ্যা ৩ লাখেরও বেশি।

২০১৪ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে তার নেতৃত্বে ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ও জয় বাংলা কনসার্ট সহ আরও নানা আয়োজন। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে বারবার জানিয়েছেন, তরুণদের দেশের ইতিহাসের সঙ্গে সহজে পরিচিতি ঘটাতে এবং দেশ গঠনে তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগাতেই এই উদ্যোগগুলো গ্রহণ করা হয়।

২০২১ সালে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আসলে আমাদের শুধু বললেই হবে না। এখন সময় এসেছে তরুণদের হাতে আরও দায়িত্ব তুলে দেয়ার। সকল সেক্টরে তরুণদের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে, সেটা ব্যবসা, রাজনীতি, এনজিও থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে।

Advertisement

বাস্তবতা হলো, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক শুধু তরুণদের দায়িত্ব দিতে বলেননি। তিনি তরুণদের কাধেই সকল দায়িত্ব অর্পন করেছেন।  আর তাদের পাশে সর্বদা ইয়াং বাংলার মাধ্যমে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

সিআরআই থেকে প্রকাশিত নীতি-নির্ধারণী ম্যাগাজিন হোয়াইটবোর্ডের প্রধান সম্পাদক রাদওয়ান মুজিব। তার হাত ধরে গড়ে ওঠা তরুণদের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলার সদস্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।  তার হাত ধরেই দেশের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনায় বসে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারছে তরুণ প্রজন্ম।

২০০৮ সালের জুন মাসে শেখ হাসিনাকে সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কারাগার থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০০৭ সালে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ‘ফ্রস্ট অব দ্য ওয়ার্ল্ড’-খ্যাত স্যার ডেভিডকে যে সাক্ষাৎকার দেন, যা বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরিতেও বড় ভূমিকা রাখে।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, জানালেন সিইসি

Published

on

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এতে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।  বললেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে  এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপেও সহিংসতার তেমন ঘটনা ঘটেনি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এই পর্যন্ত ভোটের হার ৩০ শতাংশের বেশি। বুধবার (২২ মে) পুরো বিষয় জানা যাবে।

সিইসি বলেন, ভোটের সময় বিভিন্ন অপরাধে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাল ভোটের অপরাধে ১০ জনকে তাৎক্ষণিক কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এর আগে দুপুরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, ১৫৬টি উপজেলায় ১৩ হাজার ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০ হাজার কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version