রংপুর
ন্যায্য মূল্যের দাবিতে পঞ্চগড়ে চা চাষীদের মানববন্ধন
পঞ্চগড়ের চা চাষীরা কাঁচা চা পাতা উত্তোলনের ভরা মৌসুমে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছে । মৌসুমের শুরুর দিকে প্রতি কেজি চা পাতা ২০ থেকে ২২ টাকা দরে বিক্রি করলেও গেলো এক মাস ধরে মাত্র ১২ থেকে ১৩ টাকা দরে কাঁচা পাতা বিক্রি করছেন চা চাষীরা।
গেলো বুধবার ( ১১ মে) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলার-তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরের চৌরাস্তায় বাজার নামক স্থানে বিক্ষুব্ধ চা চাষীরা এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, প্রতি বছর কাঁচা চা পাতা উত্তোলনের ভরা মৌসুমে পঞ্চগড়ের চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলো সিন্ডিকেট করে কাঁচা চা পাতার দাম কমিয়ে দেন এবং নানা অজুহাত দেখিয়ে ওজন থেকে শতকরা ২০ থেকে ২২ ভাগ কর্তন করেন। প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতার উৎপাদন খরচ হয় ১৫ থেকে ১৬ টাকা। সরকারিভাবে প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতা ক্রয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ টাকা।
বর্তমানে কারখানা মালিকরা প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতা ক্রয় করছেন মাত্র ১২ থেকে ১৩ টাকায়। এর ফলে লাভ তো দুরের কথা উৎপাদন খরচই উঠছে না চা চাষীদের। একদিকে সিন্ডিকেট চক্রটি চাষীদের ঠকিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন অন্যদিকে সরকারকেও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছেন। চা চাষীরা উৎপাদিত কাঁচা চা পাতার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন চাষীরা।
জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত মূল্যে কাঁচা চা পাতা ক্রয় না করে পঞ্চগড়ের চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলো সিন্ডিকেট করে কম দামে কাঁচা চা পাতা ক্রয় করছেন। লাভ তো দুরের কথা উৎপাদন খরচই উঠছে না চা চাষীদের বলে জানান তারা। এর ফলে লোকসানের মুখে পড়েছেন পঞ্চগড়ের চা চাষীরা।
সমাবেশে কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ তারিন, পঞ্চগড় জেলা কৃষকলীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজিজার রহমান আজু, জেলা কৃষকলীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব মাসুদ করিম, চা চাষী আহসান হাবিব, আব্দুল হাকিম, সাদ্দাম হোসেন, আবু হানিফ, কবীর হোসেন, আব্দুল মতিন, আতাউর রহমান প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
মেঘ হাসান
অপরাধ
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক-স্টাফদের ওপর হামলার অভিযোগ
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা পুরুষ স্টাফ নার্সদের ওপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে আয়ান (১৪ মাস) নামে এক শিশু রোগীর সাথে আসা স্বজনদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৯ জুন) রাতে হামলার এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় সদর থানায় বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মহিউদ্দীন।
অভিযুক্তরা হলেন, পঞ্চগড় সদরের ধাক্কামারা ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামের হাছান তারেকের ছেলে রাব্বি (২৫), রাব্বির বাবা হাসান তারেক (৫২) ও সদরের কাসাতপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে মানিক মিয়া (৪২)।
জানা গেছে, জরুরি বিভাগে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করছিলেন দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম ভুঁইয়াসহ স্টাফ নার্সরা। এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যুর রিপোর্ট দেয়ার মাঝে গরম চা দিয়ে অসাবধানবসত বুক ও পেট ঝলসে যাওয়া আহত ওই শিশুকে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। এরপর অভিযুক্তরা উত্তেজনাপূর্ণ-উগ্র আচরণ শুরু করে জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা অন্যদের পাশাপাশি সিনিয়র স্টাফ নার্স মহিউদ্দীনের উপর চড়াও হয়ে কিল ঘুষি দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এসময় অন্য রোগীসহ স্টাফ ও চিকিৎসক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সকলকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মহিউদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগে আমাদের উপর হামলা চালায় তারা। এ ঘটনায় আহত হলে চিকিৎসক আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার দাবী করছি।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার তৌহিদুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, যখন অভিযুক্তরা আসেন তখন প্রচুর রোগীর চাপ। রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার মাঝে কারণ ছাড়াই অভিযুক্তরা হামলা চালায়, এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে। মূলত আমাকেই মারতে আসছিল তারা।
এদিকে শনিবার ভোর রাত সাড়ে চারটার সময় শহরের মসজিদ পাড়া এলাকার তৌহিদুজ্জামান তার স্ত্রী নাজনীন নাহার বৃষ্টি তলপেটের ব্যথা অনুভব করায় প্রথমে দেশ ক্লিনিক পরে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন বলে জানা গেছে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃষ্টি মৃত্যুবরণ করে। রোগীর স্বামী তৌহিদুজ্জামান ভূল চিকিৎসায় স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ নুরে আলমসহ সিনিয়র স্টাফ নার্স স্টাফদের ওপর অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ডাক্তারের চেম্বার ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ উঠে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রঞ্জু আহস্মেদ বলেন, শিশু আয়নকে নিয়ে চিকিৎসক ও কর্তব্যরতদের ওপর হামলার অভিযোগে একটি এজাহার পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এদিকে ভোর রাতে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে আবারও হামলার আরেক ঘটনায় অভিযুক্ত তৌহিদুজ্জামানকে তার পরিবারের লোকজন আসা পর্যন্ত থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএম/
দুর্ঘটনা
ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
বগুড়ার গাবতলীতে সান্তাহার থেকে বোনারপাড়াগামী লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
রোববার (৩০ জুন) রাত পৌনে ৯টার দিকে গাবতলী স্টেশনে প্রবেশের আগে ট্রেনটির পেছন থেকে তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। লালমনিরহাট থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি উদ্ধার করবে।
এএম/
রংপুর
নিজ মেয়েকে ধর্ষণ, বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড
পঞ্চগড়ে নিজের ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাবা সাইফুল ইসলামকে (৪৯) আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩০ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বি. এম তারিকুল কবির এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলামের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের সিপাইপাড়া গ্রামে। তিনি সেখানকার মৃত আখিম উদ্দীনের ছেলে।
এর আগে, ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর পঞ্চগড় সদর থানায় ভিকটিম তরুনীর মা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক শামছুজ্জোহা সরকার। তিনি গেলো ২৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। তাদের দাম্পত্যে ৫ জন সন্তান রয়েছে। সাইফুল দ্বিতীয় বিয়ে করায় গেলো বছরের আগষ্ট মাসের দিকে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন বাদীনি। তার সঙ্গে থাকে ভিকটিম মেয়ে ও ছোট দুই ছেলে।
এদিকে, গেলো বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাবার বাড়িতে যায় ভিকটিম মেয়ে। সেখানে বাবার ঘরেই আলাদা বিছানায় রাতযাপন করে সে। বিয়ে অনুষ্ঠানের তিনদিন পর (২৪ সেপ্টেম্বর) ভিকটিমের সৎ মা কোথাও বেড়াতে যায়। এই সুযোগে বাবা সাইফুল ইসলাম তার ঘুমন্ত মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মেয়েকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। এতে ভিকটিম মেয়ে অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে।
দণ্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব লাবু। উচ্চ আদালতে আপীল করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আজিজার রহমান আজুর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
-
পর্যটন3 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
-
ইসলাম3 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
-
অপরাধ3 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
-
আবহাওয়া5 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
-
বলিউড2 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
-
টুকিটাকি4 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
-
রংপুর4 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
-
জাতীয়4 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!