বাংলাদেশ
গণতান্ত্রিক জোটে ভাঙনের সুর বেজে উঠেছে
বাম জোটের নেতারা বলছেন, একসঙ্গে দুটি জোটে থাকার সুযোগ নেই। এটি হবে অনৈতিক কাজ। ফলে, ওই দুই দলকে হয় বাম গণতান্ত্রিক জোটে থাকতে হবে, না হয় জোট ছেড়ে তাদের নতুন জোটে যেতে হবে।
গত ৯ মে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বৈঠকে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির কাছে নতুন জোট গঠনের বিষয়ে ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।
তাদের বলা হয়েছে, কেন বাম জোট থাকতে নতুন জোট গঠন হচ্ছে? তারা বলছেন, এটি বাম জোটের কোনো বিকল্প জোট নয়। এটি একটি রাজনৈতিক উদ্যোগ। এ উদ্যোগে চাইলে বাম জোটের অন্য শরিকরাও যুক্ত হতে পারে।
জোটের নেতারা বলছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে বাম জোটের দুই শরিক বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি ও তাদের মিত্র জোটের শরিকদের একটি সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আসছে দল দুটি। সেটি নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু তারা এখন বাম জোটের চাইতে নতুন এ জোটকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। এখানে বাম জোটের অন্য শরিকদের আপত্তি।
গত ৯ মে’র বৈঠকে সাইফুল হক ও জোনায়েদ সাকির বক্তব্য আর মনোভাবে বোঝা গেছে যে তারা বাম জোট ছেড়ে নতুন ওই রাজনৈতিক মঞ্চ বা জোট যেটাই হোক না কেন, সেখানে চলে যাবে জানান জোটনেতারা।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এ প্রসঙ্গে বলেন, একসঙ্গে দুটি জোটে থাকা তো সম্ভব না। এটি অনৈতিক কাজও বটে। এখন কেউ যদি মনে করে তারা বাম জোটে থাকবে না, সেই সুযোগও আছে। তিনি আরও বলেন, আমরা বর্তমান দুঃশাসনের বিপরীতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আছি। সেই লক্ষ্যে বাম গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর আন্দোলন আরও জোরদারের চেষ্টা চলছে। এখন তারা যদি এ জোটে না থেকে নতুন জোটে যায় তাহলে আমাদের কিছুই করার নাই। কিন্তু একসঙ্গে দুই জোটে থাকার সুযোগ নাই।
নাম প্রকাশ না করে বাম গণতান্ত্রিক জোটের একটি শরিক দলের শীর্ষ নেতা বলেন, আগামী ২৩ মে নতুন এ রাজনৈতিক মঞ্চের বৈঠক আছে। ওই বৈঠকের পর আবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের বৈঠক ডাকা হবে। তখন ওই দুই দলকে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে বলা হবে। তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আসলে তারা কোন জোটে থাকবে। আমরা তাদের জানিয়ে দেব একসঙ্গে দুই জোটে থাকা যাবে না।
একই সঙ্গে তিনি জানান, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে একমত হয়েছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে সাত দলের যে রাজনৈতিক মঞ্চ হয়েছে, সেটি বাম জোটের বিকল্প কোনো শক্তি নয়। এটি একটি রাজনৈতিক উদ্যোগ। এখন সেটি যদি কোনো রাজনৈতিক জোটে রূপ নেয়, তাহলে আমরা নিজেরাই বাম জোটের সদস্যপদ স্থগিত বা বাতিল করে দেব। এটি নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নাই।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে একসঙ্গে দুটি রাজনৈতিক মঞ্চে থাকা যাবে না। এটি যেমন সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী, তেমনি অনৈতিকও। ওই দুটি দল বিষয়টি জানে। এখন দেখার বিষয়, তারা নতুন রাজনৈতিক মঞ্চে যায় কি না। যদি তারা সেখানে যায় তাহলে পরবর্তীতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার, নেওয়া হবে।
এসআই/
জাতীয়
আশুলিয়া নয়, নতুন পরিকল্পনায় টঙ্গী যাবে মেট্রোরেল
রাজধানী সবচেয়ে দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেল বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী আনা নেয়া করছে। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া যাওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আপাতত টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের ওই লাইন। এ পথ চালু হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রা পথ হবে ৪৮ মিনিটের।
শুক্রবার (১০ মে) মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এম এ এন ছিদ্দিক গণমাধ্যমে বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এই যুক্ত করা হবে বলে জানান মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তিনি বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে সংযুক্ত করতে পারলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে।
এএম/
জাতীয়
আজও করোনা শনাক্ত ২২ জন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ১৩৪ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।
শুক্রবার (১০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৬০৭ জন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৫৯৬ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ।
এএম/
জাতীয়
প্রত্যেক মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করতে কাজ করছি : প্রধানমন্ত্রী
সরকার সকল দেশবাসীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে বহুমাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। আমরা বহুমাত্রিক কর্মসূচি হাতে নিয়ে প্রত্যেক মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার (১০ মে) টুঙ্গিপাড়ায় ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ কর্মসূচির আওতায় দাঁড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে, খাদ্যের নিশ্চয়তা ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। সরকারে আসার পর থেকেই প্রচেষ্টা ছিল দেশের মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে। আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের নেয়া কর্মসূচিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশে কেউ গরীব থাকবে না। প্রতিটি এলাকায় সমবায় সমিতি গঠন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে আওয়ামী লীগ নেতাদের আন্তরিক হতে হবে। সবাই যাতে নিজের পাঁয়ে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করছি।
পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় চত্বরে দরিদ্রদের মাঝে রিপার মেশিন, সার, ল্যাপটপ, ১০টি সাইকেল, ১০টি রিকশা ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন এবং ৩৮ জনকে ৪০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান, ১০ জোড়া কবুতর এবং ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা।
তিনি বলেন, সমবায় ব্যবস্থায় জমির মালিকানা পরিবর্তন হবে না এবং ফসলকে তিন ভাগে ভাগ করা হবে। প্রতিটি ফসলের একটি অংশ মালিক, কৃষকরা একটি অংশ এবং সমবায়ের কাছে একটি অংশ যায়।
সরকার প্রধান বলেন, আমরা শুধুমাত্র বর্তমানের জন্য নয়, ভবিষ্যতের জন্যও কাজ করছি। সর্বজনীন পেনশন স্কীমের সুবিধাভোগীদের ভবিষ্যত জীবন সুরক্ষিত করবে।
জেএইচ
-
জাতীয়4 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড5 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক2 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ6 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা4 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়6 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
চট্টগ্রাম1 day ago
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত
-
ঢালিউড22 hours ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি