Connect with us

বাংলাদেশ

হ্যাটট্রিক দিয়ে পিএসজিতে নতুনভাবে শুরু এমবাপ্পের

Published

on

লিগ শিরোপা আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় পিএসজির কাছে এই ম্যাচ ছিলো শুধু নিয়মরক্ষার। কিন্তু প্রতিপক্ষ মেটজের জন্য ছিল লিগে টিকে থাকার লড়াই। কিন্তু সদ্য চুক্তি বৃদ্ধি করা কিলিয়ান এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে উড়ে গেল মেটজ। সেই সঙ্গে অবনমন হল দলটির।

শনিবার (২১ মে) রাতে পার্ক দি প্রিন্সেসে মেটজকে ৫-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় পিএসজি। এমবাপ্পের হ্যাট্রিক এবং একটি করে গোল করেছেন নেইমার ও দি মারিয়া। পিএসজিকে বিদায় বলে দেওয়া মারিয়া শেষটা গোল করে রাঙালেন।

ম্যাচ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে ঘোষণা আসে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পিএসজিতেই থাকছেন এমবাপ্পে। নতুন করে তিন বছরের চুক্তি করেছে দুই পক্ষ। নতুন চুক্তির পর মাঠে যেন জ্বলে উঠলেন এমবাপ্পে। ২৪, ২৮ ও ৫০ মিনিটে তিন গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ২৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার। মাঝে ৩১ মিনিটে একবার বল জালে পাঠান নেইমার এবং ৬৭ মিনিটে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।

গেলো কয়েক দিন ধরে ইউরোপের ফুটবলে দলবদলের প্রধান শিরোনাম হয়ে আসছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। অবশেষে এমবাপ্পের দলবদলের নাটকের শেষ দৃশ্য মঞ্চস্থ হতে চলেছে। নতুন কোনো ঠিকানায় পড়ি জমাচ্ছেন না তিনি। পিএসজির হয়েই আবারও মাঠ কাঁপাবেন এমবাপ্পে। আজ রাতে পিএসজির মৌসুমের শেষ ম্যাচের পরপরই আসতে পারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।

চলতি মৌসুম শেষেই এমবাপ্পের সঙ্গে পিএসজির চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। তবে দীর্ঘ দিন ধরে তাকে দলে ভেড়াতে তোড়জোড় চালাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। এমবাপ্পে নিজেও বলেছে, সে রিয়ালের হয়ে খেলতে চায়। তবে শেষ পর্যন্ত ‘নাছোড়বান্দা’ পিএসজি তাকে প্যারিসেই রেখে দিচ্ছে।

Advertisement

পিএসজির কাছে এই হারে ৩৮ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে ১৯তম অবস্থানে থেকে অবনমন হল মেটজ। এই ম্যাচ জিতলেই অবনমন বাঁচাতে পারতো ক্লাবটি কিন্তু সে সুযোগ দেয়নি এমবাপ্পে-নেইমাররা।

হাসিব মোহাম্মদ

জাতীয়

মালয়েশিয়ায় কত কর্মী যেতে পারেননি জানালেন প্রতিমন্ত্রী, কারণ খুঁজতে কমিটি গঠন

Published

on

মালয়েশিয়া সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ে দেশটিতে ১৬ হাজার ৯৭০ জন কর্মী যেতে পারেনি। যেসব শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি তাদের না যেতে পারার কারণ খুঁজতে আমরা ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটা তদন্ত কমিটি করেছি। সেই কমিটি সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন এবং তাদের সুপারিশ জমা দেবে। যারা এটার জন্য দায়ী হবে তাতের বিরুদ্ধে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব। বললেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

রোববার (২ জুন) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে সৃষ্ট সংকট নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এসব তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গেলো (৩১ মে) পর্যন্ত ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ কর্মীকে মন্ত্রণালয় (প্রবাসী কল্যাণ) অনুমোদন দিয়েছে। বিএমইটির ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে। আর ৩১ মে পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন গেছেন মালয়েশিয়ায়। সে হিসেবে কমবেশি ১৬ হাজার ৯৭০ জন যেতে পারেননি। সংখ্যাটা কিছুটা কমবেশি হতে পারে।

শফিকুর রহমান রহমান বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবেন এবং প্রয়োজন হলে কর্মীদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হবে। মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার বারবার সিন্ডিকেট বা চক্রের কারণে বন্ধ হচ্ছে। সিন্ডিকেটে সরকারের প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের নামও এসেছে গণমাধ্যমে। যে বা যারা এই তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সিন্ডিকেটের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই, আমাদের আড়াই হাজার এজেন্ট আছে, তাদের মাধ্যমে কর্মীরা বিদেশ যাক।

Advertisement

শেষ সময়ে কর্মীদের ছাড়পত্র দেয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছাড়পত্র তারা যখন চেয়েছে, রিক্রুটিং এজেন্সি যখন চেয়েছে আমরা প্রয়োজনীয়তা দেখে দ্রুতই তা দিয়েছি। না হলে সবাই বলবে মন্ত্রণালয় দেয়নি। সে কারণে যে সময় যেটার প্রয়োজন হয় সেটার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কর্মীদের না যেতে পারার কোনো গাফিলতি ছিল না দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ে গাফিলতি হয়নি। এখনও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা এক সপ্তাহ আগে চিঠি দিয়েছিলাম মালয়েশিয়া সরকারকে আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর জন্য। মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে আলাপ করছি। তিনি ৫ তারিখে মন্ত্রণালয়ে আসবেন। তখন তার সঙ্গে আবারও এ বিষয়ে কথা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,বন্ধ হয়ে যাওয়া মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলবে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সরকার মালয়েশিয়ান সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ফের খুলবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

বেনজীর কত টাকা সরিয়েছেন,খোঁজ চলছে : দুদক আইনজীবী

Published

on

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ গত ৬ মাসে তার অ্যাকাউন্ট থেকে কত টাকা তুলেছেন, সেই টাকা কোথায় নিয়েছেন,সে বিষয়ে খোঁজ চলছে। বললেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম।

রোববার (২ জুন) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান দুদকের এ আইনজীবী।

বেনজীর আহমেদ বিদেশে পালিয়েছেন কি না এমন প্রসঙ্গে মো. খুরশীদ আলম বলেন, এরইমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ বেরিয়েছে বেনজীর আহমেদ ৪ মে, কেউ বলছেন, ১২ মে, কেউ বলছেন তারও আগে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। প্রকৃত অবস্থা কী, তা জানতে ৬ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এ আইনজীবী বলেন, দুদক তাকে সুযোগ দিয়েছে,এখন তার বিষয়; তিনি তা গ্রহণ করবেন কি না।

সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীরা চাইলে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ এবং থানায় মামলা করতে পারবেন।

Advertisement

এর আগে গত ২৬ মে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির আংশিক শেয়ারসহ ১১৯টি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বিমানবন্দরে লাগেজের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিলেই জরিমানা

Published

on

নতুন কাস্টমস আইন-২০২৩ অনুসারে বিদেশ থেকে আসা কোনো যাত্রী নিজের লাগেজ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলে বা ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আনলে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে। আর তার লাগেজে থাকা পণ্য রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। এছাড়া, নিষিদ্ধ পণ্য নিয়ে এলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।কাস্টমসের নতুন আইন-২০২৩ অনুসারে এমন বিধান রাখা হয়েছে। আগামী ৬ জুন থেকে কার্যকর হচ্ছে ওই আইন।

গেলো বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কাস্টমস আইনের ১৫৪ ধারায় বলা আছে, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাস্টমসের কাছে তার লাগেজ সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। যাত্রী বা ক্রু লাগেজে রক্ষিত পণ্য সম্পর্কে কাস্টমস কর্মকর্তার কাছে লিখিত বা মৌখিক ঘোষণা দিতে পারবেন এবং কাস্টমস কর্মকর্তার প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। লাগেজ তল্লাশির আগে যাত্রী যদি রক্ষিত পণ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হন এবং তল্লাশিকালে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কাস্টমস কর্মকর্তা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। তাছাড়া, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হবে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর জাতীয় সংসদে কাস্টমস আইন-২০২৩ পাস হয়। পুরোনো আইনে ২২৩টি ধারা ছিল। নতুন আইনে ২৬৯টি ধারা রয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহ ও বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার (ডব্লিউসিও) অনুমোদিত আন্তর্জাতিক চুক্তি ও কনভেনশন অনুযায়ী এবং আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা, যেমন- অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর (এইও), পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি (এমআরএ), ইলেকট্রনিক ঘোষণা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট (পিসিএ) ইত্যাদি নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কাস্টমস আইন ১৯৬৯ অনুসারে, পণ্যের ক্ষেত্রে অসত্য ঘোষণা প্রদান করা হলে বা কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার অথবা ব্যর্থ হলে, সেক্ষেত্রে যাত্রীকে ওই পণ্য-মূল্যের অনধিক তিনগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডের বিধান ছিল। নতুন কাস্টমস আইনে কনটেইনার জট এড়াতে শুল্কায়নের ১০ দিনের মধ্যে শুল্ক-কর পরিশোধ করে বন্দর থেকে পণ্য খালাসের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পণ্য খালাসে ব্যর্থ হলে ১০ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করতে হবে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version