Connect with us

বরিশাল

পানির রিজার্ভ ট্যাংকির কাজ করতে গিয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু

Published

on

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় নির্মানাধীন স্কুল ভবনের পানির রিজার্ভ ট্যাংকির কাজ করতে গিয়ে তিন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, মো. আলাউদ্দিন (৪৮), একই উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাকিব (২৩) ও শামিম (৩০)।

তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব কুমার হাজরা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানান, রোববার উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের দক্ষিন পশ্চিম চাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন ভবনের নিচে পানির রিজার্ভ ট্যাংকির কাজ চলছিলো। এ সময় আলাউদ্দিন নামে এক শ্রমিক ট্যাংকির সেন্টারিংয়ের খুলতে ভিতরে গিয়ে আর ফিরে না আসায় অন্য দুই শ্রমিক ভেতরে গিয়ে তারাও ফিরে আসেনি।

Advertisement

পরে তজুমদ্দিন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এসে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই তিন শ্রমিককে মৃত ঘোষণা করেন।

মুনিয়া

বরিশাল

শ্বশুরবাড়ি না যাওয়ায় মা বাবার নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রী

Published

on

 

বরিশালে শ্বশুরবাড়িতে না যাওয়ায় চতুর্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রী হাবিবাকে (১৩) শিকলে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে নিজ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরে পলাতক রয়েছে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার।

গেলো শনিবার (১ জুন) জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, দুই মাস আগে স্কুলছাত্রী হাবিবার পরিবারের সদস্যরা জোর করে সাজিদ মোল্লার সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর স্বামী ও তার পরিবারের নির্যাতন সইতে না পেরে শনিবার সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে ওই স্কুলছাত্রী বাবার বাড়িতে আসে। তখন মা মারুফা বেগম, বাবা জামাল হাওলাদার ও দুলাভাই আল আমিন আকনসহ কয়েকজন মিলে হাবিবাকে শিকল ও রশি দিয়ে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করে।

পরে এ ঘটনা টের পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। এরপর শনিবার রাতে আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ হোসেন ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে বাসায় যান। পুলিশ আসার খবরে হাবিবার পরিবারের সদস্যরা ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।

Advertisement

হাবিবার মা মারুফা বেগম জানান,তাঁরা দরিদ্র হওয়ায় হাবিবার লেখাপড়া খরচ বহন করতে পারছিলেন না। তাই তাকে বিয়ে দেন। স্বামীর বাড়িতে ফিরে না যাওয়ার কারণে শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছে।

১৩ বছরের স্কুলছাত্রীর বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুল সরদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম জানান, ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী হাবিবা আক্তার (১৩) ওই গ্রামের জামাল হাওলাদার ও মারুফা বেগম দম্পত্তির মেয়ে। তিনি দক্ষিণ চাঁদত্রিশিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বরিশাল

ধর্ষণের শিকার ১১ বছরের শিশু এখন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা!

Published

on

ধর্ষণের শিকার ১১ বছরের এক শিশু বর্তমানে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর দশমিনায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সিজান মৃধা ও তার বাবা-মাকে আসামি করে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়।

শনিবার (১ জুন) আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দশমিনা থানা পুলিশকে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত সিজান মৃধা দশমিনা উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর গ্রামের নজরুল মৃধার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ১১ বছরের ওই শিশুটি দশমিনা আলীপুরা ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। আসামি সিজান ভুক্তভোগী শিশুটিকে বিদ্যালয়ে এবং প্রাইভেট পড়তে যাওয়া-আসার পথে মাঝেমধ্যেই উত্ত্যক্ত করতো।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর বিকেলে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সিজান মৃধা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ছাদে ধর্ষণ করে। এরপর ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না বলতে প্রাণের ভয় দেখায় এবং বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে বেশ কয়েববার ধর্ষণ করে। পরে ওই শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

Advertisement

শিশুর শারিরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলে পরিবার বিষয়টি জানতে আরে এবং অভিযুক্ত সিজানের পরিবারের কাছে বিচার দিয়েও কোনো প্রতিকার পায় না। প্রভাবশালী সিজানের পরিবার উল্টো শিশুটিকে নিয়ে তার পরিবারকে এলাকা থেকে চলে যেতে বলে।

এ ঘটনার প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী ওই শিশুর মা বাদী হয়ে গেলো ২৬ মে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।

দশমিনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এ ঘটনায় আমরা সরাসরি কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে দশমিনা থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় সব ধরনের আইনগত সহায়তা প্রদান করবে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বরিশাল

স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে গৃহবধূর অনশন

Published

on

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি নিয়ে স্বামীর বাড়িতে উঠেছেন এক গৃহবধূ। শুক্রবার (৩১ মে) বিকেল থেকে তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান করছেন। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের চাঁদপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ চম্পা বেগম উপজেলার ভবানীপুর এলাকার মৃত আব্দুল মন্নান ফরাজির মেয়ে। তার স্বামী রিপন খান চাঁদপুরা এলাকার দেলোয়ার খানের ছেলে।

ওই গৃহবধূর অভিযোগ, মোবাইলফোনে প্রেমের সম্পর্কের জেরে ২০২১ সালে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের বিষয়টি তখন তার স্বামী পরিবারের অন্য সদস্যদের জানায়নি। কিছুদিন সংসার করার পরে তার স্বামী ওমানে চলে যায়। প্রবাসে গিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় রিপন। এরপর বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) নান্নু মিয়াকে অবহিত করেন তিনি। পরে রিপনের পরিবারের সঙ্গে মেম্বারের মধ্যস্ততায় একাধিক সালিশ-বৈঠক হলেও কোনো প্রকার সমঝোতা হয়নি। গেলো ২৩মে রিপন দেশে ফেরেন। এরপর শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে রিপনের বাড়িতে যান তিনি। তাকে দেখে রিপন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। আর তার শ্বাশুড়ি ও দেবররা তাকে মারধর করার হুমকি দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ওই বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

গৃহবধূর বড় বোন রেহানা বেগম জানান, রিপন বিদেশে যাওয়ার সময় আড়াই লাখ টাকা নিয়েছে। এরপরও কয়েক দফা আমার বোনের টাকা চেয়েছে সে। যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় সে আমার বোনের সঙ্গে এমন করতেছে। রিপনের মা ও ভাইয়েরা আমার বোনকে মারধরের হুমকি দিতেছে।

এ বিষয়ে গৃহবধূ চম্পা বেগমের স্বামী রিপন খান বলেন, মেম্বারকে দায়িত্ব দেও হয়েছে। সালিশি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

Advertisement

স্থানীয় নাচনমহল ইউনিয়নের পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) নান্নু মিয়া বলেন, চম্পা বেগম স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে শুক্রবার বিকেল থেকে রিপনের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। বিষয়টি আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version