Connect with us

বাংলাদেশ

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে বিএনপি

Published

on

স্থায়ী কমিটির সভায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই আলোচনা আমরা শুরু করব। আমরা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলব। তাদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের যে রূপরেখা, সেই রূপরেখা তৈরি করা হবে। বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।

আজ মঙ্গলবার (২৪মে ) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব বলেন। গত ২৩ মে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো আজ সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

 প্রথম দিন আজ মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর তোপখানা রোডের কার্যালয়ে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে বিএনপি সংলাপে বসবে বলে জানিয়েছেন ফখরুল।
এই সংলাপ শুধু ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে হবে, না কি অন্যান্য দলের সঙ্গেও হবে- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সবার সঙ্গেই হবে, অল দ্য পলিটিক্যাল পার্টিসের সঙ্গে।’

জামায়াতের সঙ্গে সংলাপ হবে কি না এ বিষয়ে তিনি বলেন, কথা তো বলতে হবে। অবশ্যই। তাদের সঙ্গে কথা না বললে কেমন করে হবে! সবার সঙ্গেই তো কথা বলতে হবে। ২০ দলীয় জোট তো আমরা এখন পর্যন্ত বিলুপ্ত করিনি। এই জোটের কী হবে, সেটা এই আলোচনার মধ্য দিয়ে ফাইনালাইজড করব।

এ ছাড়াও ফখরুল বলেন, মূল উদ্দেশ্য হলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। এই ফ্যাসিবাদী সরকার, যারা সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে এগুলো ফিরিয়ে নিয়ে এসে জনগণ ও ভোটের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করাই মূল লক্ষ্য। এ জন্য আন্দোলন তৈরি করা। এই আন্দোলন সৃষ্টি করার জন্য এই ঐক্যের আলোচনা শুরু করা হচ্ছে।

Advertisement

দলের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে প্রথম দাবি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি।

দ্বিতীয় হচ্ছে,এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং পদত্যাগ করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তৃতীয় হচ্ছে সংসদ বাতিল করতে হবে।

‘তার পর পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি অবাধ-সুষ্ঠু এবং সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদ গঠিত হবে। এর পর সরকার গঠিত হবে। এই দাবিগুলোই প্রধান দাবি। এখন অন্যান্য দলের সঙ্গে আমরা এই আলোচনাগুলো করব। আর তাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করে আমাদের একটা একক দাবি তৈরি করা হবে। তার ভিত্তিতে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করব।

তিনি বলেন, আলোচনা সবার সঙ্গেই হবে। আর ২০ দলীয় জোটে তো এখন পর্যন্ত আমরা বিলুপ্ত করি নাই। এই জোটের কি হবে, সেটি ওই আলোচনার মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত করা হবে। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিষয়েও একই কথা এবং আলোচনার মাধ্যমেই সেগুলো নির্ধারিত হবে।

 

Advertisement

এসআই/

জাতীয়

এমপি আজিমের শরীর থেকে মাংস আলাদা করে জিহাদ : ভারতীয় পুলিশ

Published

on

এমপি আনোয়ারুল আজিমকে আনারকে কলকাতার নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে, পুরো শরীর থেকে সমস্ত মাংস আলাদা করে এবং মাংসের কিমা করে তারপর তারা সমস্ত কিছু পলিথিনের প্যাকেট রেখে দেয়। পাশাপাশি হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে প্যাকেট করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে ভারতের পুলিশের হাতে আটক বাংলাদেশি নাগরিক জিহাদ।

গেলো বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি।

বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের ২ মাস আগে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীন। এই শাহিনই এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছেন, আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ ৪ জন ওই এমপিকে তার নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন।

পুলিশ জানায়, নিহত সাংসদের শরীর থেকে মাংস ও হাড় আলাদা করে ছোট ছোট টুকরো করে প্যাকেট করা হয়। এরপরে সেই প্যাকেটগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে, বিভিন্ন ধরনের পরিবহন ব্যবহার করে এবং কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় ফেলে দেয় জিহাদ।

সিআইডি জানায়, তাঁদের বিভ্রান্ত করতে অভিযুক্ত তাঁর নাম জিহাদের বদলে সিয়াম বলে জানিয়েছিলো। পরবর্তীতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিজের সঠিক নাম এবং বাংলাদেশের ঠিকানা জানান এই জিহাদ ওরফে সিয়াম। দুই বছর আগে সে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে মুম্বাইতে বসবাস করে আসছিলো। জিহাদ হাওলাদারের (২৪) বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার বারাকপুর গ্রামে। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আজ ২৪ মে জিহাদকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত জেলা ও দায়রা আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

ডিএমপির আয়োজনে “ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট” এর পোস্টার প্রতিযোগিতা শুরু

Published

on

রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিআরএসপি প্রজেক্ট এর আওতায় “সড়ক নিরাপত্তা পোস্টার প্রতিযোগিতা ২০২৪” ও ট্রাফিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ও কলেজ অডিটোরিয়ামে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার  আব্দুল মোমেন, পিপিএম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোঃ মসিউর রহমান এবং ডিআরএসপি প্রজেক্টের জাইকা এক্সপার্ট ইরিয়ে টেটসুশি।

ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আয়োজনটিতে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ও কলেজের প্রায় এক হাজার  শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্রাফিক সেফটি গেম, ট্রাফিক সাইন, রাস্তা পারাপারে করণীয়-বর্জনীয় সহ ট্রাফিক  সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করা হয়। এতে ছাত্ররা বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।

এসময় শিক্ষার্থীদের  বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মঞ্চে উপস্থিত অতিথিরা। এছাড়াও ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ “সড়ক নিরাপত্তা পোস্টার প্রতিযোগিতা ২০২৪” এর নিয়মাবলি উপস্থাপন করেন ডিআরএসপি এর কমিউনিকেশন ম্যানেজার সামনুম সুলতানা।

এই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এডিসি (ট্রাফিক গুলশান-দক্ষিণ) এ.এস.এম হাফিজুর রহমান, এসি ট্রাফিক গুলশান আবু সায়েম নয়ন, প্রজেক্ট, কো-অর্ডিনেটর (ডিআরএসপি) এ এইচ এম শহীদুল ইসলাম।

ঢাকা মহানগরীর মোট ১৬ টি স্কুলে ডিআরএসপি প্রজেক্ট এর আয়োজনে “সড়ক নিরাপত্তা পোস্টার প্রতিযোগিতা ২০২৪” অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আজিমের খুনের ঘটনায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে: শাহীন

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন। ছবি-সংগৃহীত

ভারতের কলকাতায় পরিকল্পিতভাবে খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।এ হত্যাকাণ্ডে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আক্তারুজ্জামান শাহীনের উঠে  এসেছে।  তবে  বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি জানিয়ছেন, আজিমের হত্যাকাণ্ডে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে শাহীন জানান, আনোয়ারুল আজিম আনার  হত্যার সময় তিনি ভঅরতে ছিলেন না, বাংলাদেশে ছিলেন।এছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো ৫ কোটি টাকায় কিলিং মিশন চুক্তির খবরও অস্বীকার করেন তিনি।

বেসরকারি ওই টেলিভিশনকে আক্তারুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘এই ঘটনায় আমাকে ফাঁসানো হয়ে। এই ঘটনার সময় আমি ভারতে ছিলাম না। আমার আইনজীবী বলেছে এ বিষয়ে কারও সঙ্গে কথা না বলতে। মানুষ দেশে অনেক কথাই বলে। যদি কোনো প্রমাণ থাকে তাহলে দেখাক।’

ফ্লাটের ভাড়ার বিষয়ে উপস্থাপকের এক প্রশ্নের জবাবে  শাহীন বলেন, ‘আমি যদি ফ্লাট ভাড়া নেই। আমি কি আমার ফ্লাটে এই ধরণের কাজ করব? আমার পাসপোর্ট রেকর্ড দেখলে দেখা যাবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এখন বলা হচ্ছে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কিভাবে আমি ৫ কোটি টাকা দিয়েছি। কোথার থেকে পেলাম আমি এত টাকা। এখন এগুলো মানুষ বললে আমার কি করার আছে। ঘটনা কবে ঘটেছে সেগুলো আমি পত্রিকায় দেখেছি। সে সময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম।’

আক্তারুজ্জামান শাহীন আরও বলেন, ‘এছাড়া আমার ড্রাইভার তো কিছু করেনি। আমার গাড়ি, আমার সব কিছু নিয়ে চলে গেছে। এটা কোন ধরণের বিচার। আমি যদি অন্যায় করে থাকি তাহলে আমাকে ধরুক। আমি তো এই দেশে বিচার পাব না। আমি আমেরিকার নাগরিক, এখানে চলে এসেছি। কি করব?’

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। সেখানে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা ও তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন।

মূলত ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি। পরে ১৩ মে দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বের হলেও আর ফিরে আসেননি।ওইদিনই ঘাতকরা তাকে হত্যা করে।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version