Connect with us

এশিয়া

হামাসের ৮০ ভাগ টানেল অক্ষত, ঘুম হারাম ইসরায়েলের!

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চার মাস হতে চললো ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ। সেখানে ইসরায়েল বাহিনী এখনও চালিয়ে যাচ্ছে বর্বরতম হামলা। তবে হামলা চালিয়ে  গাজা উপত্যকায় জালের মতো বিস্তৃত হামাসের টানেলের মাত্র ২০ শতাংশ ধ্বংস করতে পেরেছে তারা। এখনো হামাসের ৮০ ভাগ টানেল অক্ষত রয়েছে। আর এতেই ইসরায়েলি সরকারের চক্ষু  চড়াকগাছ!

মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের প্রথম দিকে গাজায় শুধু বিমান হামলা চালায়। তবে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অক্টোবরের শেষের দিকে শুরু করে স্থল অভিযান। ইসরায়েল  বাহিনীর মনে করছে, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও অন্যান্য কমান্ডার এসব টানেলের ভেতরে লুকিয়ে আছেন। ইসরায়েলি বন্দিদেরও সেখানে লুকিয়ে রেখেছেন তারা। এসব কারণে ইসরায়েল সেনাবাহিনী টানেল ধ্বংস করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। টানেল নিয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়ে নেতানিয়াহু বাহিনী।

ইসরায়েলের টার্গেট হামাসের এসব টানেলকে ধ্বংস করতে কী করেনি তারা। শক্তিশালী ও ভারী বোমা বর্ষণ, টানেল উড়িয়ে দেওয়া বা পানি দিয়ে  টানেল ভাসিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করেছে। তবে পুরো সফল হতে পারেনি। অগ্রগতি সামন্যই হয়েছে। কারণ টানেলগুলো অনেক গভীরে ও বন্যা প্রতিরোধী করেই তৈরি করা হয়েছে। তাই কয়েকজন সেনা খতমসহ বেশ বেকায়দায় পড়ে যায় ইসরায়েল।

চারদিক থেকে কঠিনভাবে অবরুদ্ধ থাকার পরও হামাস কীভাবে এতটা শক্তিশালী হলো তা নিয়ে হচ্ছে চর্চা। বিশ্লেষকদের ধারণা, গাজার মাটির নিচে রয়েছে হামাসের অন্য এক জগত। শত শত কিলোমিটার সুড়ঙ্গ রয়েছে তাদের। এসব সুড়ঙ্গ দিয়েই সামরিক সরঞ্জাম গাজায় নিয়ে আসে তারা। মাটির নিচে হামাসের টানেল কতটা বিস্তৃত, কী পরিমাণ টানেল আছে, তা নিয়ে কারও কাছে স্পষ্ট তথ্য নেই। একেক সময় একেক দাবি করা হয়।

ইসরায়েলি বাহিনী এ পর্যন্ত ৮০০টি টানেল চিহ্নিত করেছে। যদিও তারা বলছে যে, হামাসের টানেল নেটওয়ার্ক এর চেয়েও অনেক বড়। মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, গাজায় ৩৫০ থেকে ৪৫০ মাইল দীর্ঘ টানেল রয়েছে। যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, এর পরিমাণ ২৫০ মাইল। অন্যদিকে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মতে, গাজার টানেল নেটওয়ার্ক ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ, যা গাজার দৈর্ঘ্যের চেয়েও ১০ গুণ বড়।

Advertisement

২০২১ সালেও ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধের পরে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছিল যে এয়ারস্ট্রাইকে ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি টানেল ধ্বংস করা হয়েছে। হামাস তখন বলেছিল যে তাদের টানেল ৫০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এবং এর মাত্র পাঁচ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে।

এশিয়া

মার্কিন শিক্ষার্থীদের প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার চিঠি

Published

on

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনরত ফিলস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের অবস্থান সঠিক বলে উল্ল্যেখ করে একটি চিঠি লিখেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি । গাজায় নির্যাতিত নারী ও শিশুদের রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্যই এ চিঠি লিখেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ছাত্রদের উদ্দেশ্যে নিজের টুইটার (এক্স) একাউন্টে  এ চিঠি লিখেন খামেনি।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা চিঠিতে বলেন,

 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

Advertisement

আমি এই চিঠিটি সেই তরুণদের উদ্দেশে লিখছি যাদের জাগ্রত বিবেক তাদেরকে গাজার নির্যাতিত নারী ও শিশুদের রক্ষায় এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রিয় তরুণ শিক্ষার্থীরা! এটি তোমাদের প্রতি আমার সহানুভূতি এবং সংহতির বার্তা। বর্তমানে যে ইতিহাস রচিত হচ্ছে তাতে তোমরা সঠিক পক্ষে অবস্থান নিয়েছ।

তোমরা প্রতিরোধ ফ্রন্টের একটা অংশ গড়ে তুলেছ এবং দখলদার ও নির্দয় ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রকাশ্য সমর্থক মার্কিন সরকারের নিষ্ঠুর চাপের মধ্যে থেকেও একটা সম্মানজনক সংগ্রাম শুরু করেছ।

তোমরা যে উপলব্ধি ও অনুভূতি নিয়ে সংগ্রাম করছ ঠিক সেই উপলব্ধি ও অনুভূতি নিয়েই তোমাদের থেকে অনেক দূরবর্তী অঞ্চলে বিশাল এক প্রতিরোধ ফ্রন্ট বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করছে। এই সংগ্রামের লক্ষ্য হলো- প্রকাশ্য জুলুম বন্ধ করা যা ‘জায়নবাদী’ (ইহুদিবাদী) নামক সন্ত্রাসী ও নির্দয় নেটওয়ার্ক ফিলিস্তিনি জাতির উপর বহু বছর ধরে চালিয়ে আসছে এবং তাদের দেশ দখল করার পর তাদের ওপরই চরম নির্যাতন ও নিপীড়ন চালাচ্ছে। বর্ণবাদী ইসরাইল আজ যে গণহত্যা চালাচ্ছে তা গত কয়েক দশক ধরে চলমান চরম জুলুম ও নিষ্ঠুরতারই ধারাবাহিকতা।

মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের নিয়ে গঠিত একটি জাতির স্বাধীন ভূখণ্ড হলো ফিলিস্তিন এবং এর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বিশ্বযুদ্ধের পর জায়নবাদী নেটওয়ার্কের পুঁজিপতিরা ব্রিটিশ সরকারের সহায়তায় ধীরে ধীরে কয়েক হাজার সন্ত্রাসীকে এই ভূখণ্ডে নিয়ে আসে; তারা শহর ও গ্রামে হামলা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা অথবা তাদেরকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে চলে যেতে বাধ্য করে। তারা সেখানকার মানুষের কাছ থেকে তাদের বাড়িঘর, বাজার ও ক্ষেত-খামার কেড়ে নেয় এবং দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘ইসরাইল’ নামে একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করে।

Advertisement

প্রথম ব্রিটিশ সাহায্যের পরে এই দখলদার সরকারের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যারা দখলদারদেরকে নিরবচ্ছিন্নভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে, এমনকি ক্ষমার অযোগ্য অসাবধানতার সাথে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ খুলে দিয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে সাহায্য করে যাচ্ছে।

প্রথম দিন থেকেই জায়নবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনের অসহায় জনগণের বিরুদ্ধে ‘লৌহ মুষ্টি’ নীতি অবলম্বন করেছে। তারা সব ধরণের বিবেক-বিবেচনা এবং মানবীয় ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে দিন দিন বর্বরতা, সন্ত্রাস ও নিপীড়ন বৃদ্ধি করেছে। মার্কিন সরকার ও অন্য সহযোগীরা এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও জুলুমের বিরুদ্ধে ন্যূনতম ভ্রুকুটিও প্রদর্শন করেনি। এখনও গাজায় চলমান ভয়াবহ অপরাধ সম্পর্কে মার্কিন সরকারের কিছু বক্তব্য অবাস্তব এবং ভণ্ডামিপূর্ণ।

এমনি এক অন্ধকারাচ্ছন্ন ও হতাশাজনক পরিবেশ থেকে প্রতিরোধ ফ্রন্টের উদ্ভব হয় এবং ইরানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র গঠিত হওয়ার পর তা এই ফ্রন্টকে বিস্তৃত ও শক্তিশালী করে তোলে। আন্তর্জাতিক জায়নবাদের নেতারা এই মানবিক ও সাহসী প্রতিরোধকে সন্ত্রাসবাদ বলে ঘোষণা করেছে। আর এই জায়নবাদী নেতারাই আমেরিকা ও ইউরোপের বেশিরভাগ মিডিয়া কোম্পানির মালিক অথবা এসব কোম্পানিতে তাদের অর্থ ও ঘুষের প্রভাব রয়েছে। যে জাতি ইহুদিবাদী হানাদারদের অপরাধের মোকাবেলায় নিজ ভূমিতে আত্মরক্ষা করে সে কি সন্ত্রাসী?! আর এমন জাতিকে মানবিক সাহায্য দেওয়া এবং তাদের হাতকে শক্তিশালী করা কি সন্ত্রাসবাদের প্রতি সাহায্য বলে বিবেচিত হতে পারে?

বিশ্ব আধিপত্যবাদের বিদ্বেষী নেতারা সবচেয়ে মৌলিক মানবিক ধারণাগুলোকেও বিকৃত করছে। তারা এমন ভান করে যে, নিষ্ঠুর ও সন্ত্রাসী ইসরাইল আত্মরক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে; আর স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলা ফিলিস্তিনিরা সন্ত্রাস করছে। তাদেরকে সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে। আমি তোমাদেরকে এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। পশ্চিম এশিয়ার সংবেদনশীল অঞ্চলের জন্য ভিন্ন রকমের ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। বিশ্বব্যাপী অনেক বিবেক জাগ্রত হয়েছে এবং সত্য প্রকাশ পাচ্ছে।প্রতিরোধ ফ্রন্ট শক্তিশালী হয়েছে এবং আরও শক্তিশালী হবে। নতুন ইতিহাস রচিত হচ্ছে।

তোমরা অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও জনগণ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে। তোমাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সহযোগিতা ও সমর্থন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী ঘটনা যা সরকারের পুলিশি পদক্ষেপের তীব্রতা ও চাপের মোকাবেলায় কিছুটা স্বস্তিদায়ক। আমি তোমাদের প্রতি অর্থাৎ তরুণদের প্রতি সহানুভূতি জানাই এবং তোমাদের দৃঢ়তাকে সম্মান করি। আমাদের অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য এবং বিশ্বের সকল মানুষের জন্য কুরআনের শিক্ষা হলো সত্যের পথে অবিচল থাকা: ‘কাজেই আপনি যেভাবে আদিষ্ট হয়েছেন তাতে অবিচল থাকুন’ (সূরা হুদ, আয়াত ১১২ একাংশ)। আর মানব সম্পর্কের বিষয়ে কোরানের শিক্ষা হলো-‘অত্যাচার করো না এবং অত্যাচারিত হয়ো না’ (সূরা বাকারা, আয়াত ২৭৯ একাংশ)। এই আদেশসহ এ ধরণের আরও শত শত আদেশ রপ্ত করার পাশাপাশি সেগুলো অনুসরণের মাধ্যমে প্রতিরোধ ফ্রন্ট এগিয়ে যাচ্ছে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় বিজয় অর্জন করবে।

Advertisement

আমি তোমাদেরকে কুরআনের সাথে পরিচিত হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

গাজায় বাস্তুচ্যুতদের তাঁবু ক্যাম্পে হামলা, নারীসহ নিহত ২১

Published

on

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের কাছে বাস্তুচ্যুতদের তাঁবু ক্যাম্পে ইসরায়েল ফের হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২ জন নারী। হামলায় আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক মানুষ।

বুধবার (২৯ মে) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের কাছে আল-মাওয়াসিতে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর একটি তাঁবু ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মকর্তারা এবং ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে।

এর আগে রোববার রাতে গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে বাস্তুচ্যুত লোকদের শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন। সর্বশেষ এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন আগের ওই হামলার কারণে ইসরায়েল বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও সমালোচনার মুখে পড়েছে।

গাজার চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাফা গভর্নরেটে হওয়া এই হামলায় নিহতদের মধ্যে ১২ জন নারী।

Advertisement

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে দেয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, হামলায় আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়ফফা জানিয়েছে, ওই এলাকাটিতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে।

তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফার আল-মাওয়াসিতে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।

আগ্রাসন পরিচালনাকারী এই সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গত কয়েক ঘণ্টার প্রতিবেদনের বিপরীতে (আমরা বলতে চাই), আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) আল-মাওয়াসির ওই মানবিক এলাকায় হামলা করেনি।’

ইসরায়েল এর আগে পশ্চিম রাফাতে আল-মাওয়াসিকে মানবিক এলাকা হিসাবে ঘোষণা করেছিল এবং সেসময় ফিলিস্তিনিদের তাদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে সরে যাওয়া উচিত বলে জানিয়েছিল।

উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

Advertisement

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং আরও ৮১ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

মদপানে রাজি না হওয়ায় বন্ধুকে ছাদ থেকে ধাক্কা

Published

on

ভারতে মদপানে রাজি না হওয়ায় বন্ধুকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে আর এক বন্ধু। ছাদ থেকে ফেলে দেয়ার পরে তাকে মারধরও করে নিচে থাকা বাকি ৩ বন্ধু।

মঙ্গলবার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে  ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌয়ের রূপপুর খাদরা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমটাইমস অব ইন্ডিয়া। তবে ঘটনাটি কবের সেটি নিশ্চিত করে নি ভারতীয় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী যুবকের নাম রণজিৎ সিং। সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তার আরও চার বন্ধু। একপর্যায়ে তারা সবাই মিলে রণজিতের বাড়ির ছাদে আড্ডা দিতে শুরু করেন। সেখানেই মদপান করার বিষয়টি বন্ধুদের সঙ্গে মতবিরোধ হয় রণজিতের। পরে বন্ধুরা তাকে ছাদ থেকে রাস্তায় ফেলে দেন। এতে আহত হন রণজিৎ। তবে বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রণজিতের বাড়ির বিপরীত পাশে লাগানো একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় তাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার ভিডিওটি ধরা পড়ে। সেখানে দেখা গেছে, রণজিৎকে একজন ছাদ থেকে ফেলে দিচ্ছে। অপর তিনজন নিচে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি তিন বন্ধু মিলে রণজিৎকে মারধর করতে থাকে।

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত চারজনের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version