আফ্রিকা
সুদান-দক্ষিণ সুদান সীমান্তে ভয়াবহ সহিংসতায় মৃত্যু ৫২
সুদান ও দক্ষিণ সুদান সীমান্তে ভয়াবহ সহিংসতায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। উভয় দেশের মধ্যে বিতর্কিত আবেই অঞ্চলে সহিংসতা ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে একটি বিতর্কিত অঞ্চলে হামলা ও সহিংসতায় কয়েক ডজন লোক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সামগ্রিকভাবে গত সপ্তাহান্তে আবেই অঞ্চলে নারী ও শিশুসহ ৫২ জন মারা গেছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা সোমবার জানিয়েছেন।
সুদান এবং দক্ষিণ সুদান উভয়ই তাদের যৌথ সীমান্ত বরাবর তেল সমৃদ্ধ এই অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে থাকে।
আবেইয়ের তথ্যমন্ত্রী বুলিস কোচ জানিয়েছেন, গত শনিবার দক্ষিণ সুদানের ওয়ারাপ রাজ্যের সশস্ত্র যুবকরা প্রতিবেশী আবেইতে হামলা চালায়। সীমানা নিয়ে বিরোধে ২০২১ সাল থেকে এই ধরনের হামলা চলছে এবং সর্বশেষ এই হামলাটি ছিল সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা। হামলায় নিহতদের পাশাপাশি আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া দক্ষিণ সুদানে সহিংসতায় জাতিসংঘের এক শান্তিরক্ষীও নিহত হয়েছেন। নিহত ওই শান্তিরক্ষী ঘানার সেনা সদস্য। ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবেই (ইউএনআইএসএফএ) এর বিবৃতি অনুসারে, গত শনিবার আবেই এলাকার তিনটি স্থানে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। এর ফলে বহু মানুষ হতাহত হয় এবং সহিংসতায় আটকে পড়াদের নিরাপত্তা দিতে বেসামরিক লোকদের ইউএনআইএসএফএ ঘাঁটিতে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সংঘর্ষের সময় ইউএনআইএসএফএ-এর একটি ঘাঁটিও আক্রমণের শিকার হয়। আক্রমণটি প্রতিহত করা হলেও ‘দুঃখজনকভাবে ঘানার একজন শান্তিরক্ষী ঘটনার সময় নিহত হয়’ বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বুলিস কোচ বলেছেন, ‘বর্তমান ভয়ানক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে ব্যাপক ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং আমরা কারফিউ জারি করেছি।’
দক্ষিণ সুদানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেশ সাধারণ ঘটনা। তবে শনিবারের এই সংঘর্ষে কোন উপজাতি জড়িত ছিল তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। এছাড়া তেল সম্পদে সমৃদ্ধ আবেই অঞ্চলে প্রায়ই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সেখানে ডিনকা জাতিগোষ্ঠীর প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো প্রশাসনিক সীমানার অবস্থান নিয়ে একে অপরের সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত।
কোচ বলেন, ওয়ারাপের ডিনকা যুবক এবং নুয়ের জাতিগোষ্ঠীর একজন বিদ্রোহী নেতার বাহিনী আবেইতে ডিনকাস এবং নুয়েরদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছিল। হামলা-সহিংসতার পর এখন শত শত বেসামরিক নাগরিক ইউএনআইএসএফএ-এর ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।
ওয়ারাপ রাজ্যের তথ্যমন্ত্রী উইলিয়াম ওল বলেছেন, তার সরকার মারাত্মক এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে আবেই প্রশাসনের সাথে যৌথ তদন্ত সমন্বয় করবে।
আল জাজিরা বলছে, ডিনকাস এবং নুয়েরদের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার কারণে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে দক্ষিণ সুদানে গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এতে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, আবেই অঞ্চলের মালিকানা নিয়ে সুদান এবং দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ২০১১ সালে সুদান থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে আলাদা রাষ্ট্র হয় দক্ষিণ সুদান।
পরে আফ্রিকান ইউনিয়নের একটি প্যানেল তেল সমৃদ্ধ এই অঞ্চলের মালিকানা নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য গণভোটের প্রস্তাব করে। কিন্তু কে ভোট দিতে পারবে তা নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
আফ্রিকা
মসজিদে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন, নিহত ১১
একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়ে আগুন ধরিয়েছে এক ব্যক্তি। এতে আগুনে পুড়ে ১১ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এ ঘটনাটি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায়। স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ মে) ফজরের নামাজের সময় দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের একটি মসজিদে এক ব্যক্তির হামলায় অন্তত ১১ জন মুসল্লি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে বলেছে, এক ব্যক্তি মসজিদে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর আগে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং এতে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি আটকা পড়েন।
স্থানীয়রা জানান, হামলার পর মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কানো শহরে বোমা বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারী দলগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে হামলায় বোমা ব্যবহার করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলেছে, সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে বিরোধের অংশ হিসেবে এই ঘটনা ঘটানোর কথা স্বীকার করেছে সন্দেহভাজন ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির দাবি, সে মসজিদের ভেতরে থাকা পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর স্থানীয় পুলিশ প্রধান উমর সান্দা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যা ঘটেছে তা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নয়, বরং এটি সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তি বর্তমানে আমাদের কাছে আছে এবং দরকারী তথ্য দিচ্ছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুসহ আরও অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেএইচ
আফ্রিকা
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরিডুবে ৫৮ জনের মৃত্যু
আফ্রিকার দেশ মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে ৩০০ আরোহী নিয়ে ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। তাদের প্রায় সবাই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। ধারণক্ষমতার অতিরিক্তি যাত্রী বহন করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরি ডুবে যাওয়ার পর কমপক্ষে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নৌযানটিতে থাকা ৩০০ জনের বেশিরভাগই গেলো শুক্রবার একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন এবং পথিমধ্যে এটি ডুবে যায়।
বিবিসি বলছে, রাজধানী বাঙ্গুইয়ের কাছে এমপোকো নদীতে ফেরিডুবি ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ফেরিডুবির পর লোকেরা নদীর তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন বা পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন।
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নৌকাডুবির জেরে এমন বিপর্যয়ের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়।
টিআর/
আফ্রিকা
কলেরা থেকে বাঁচতে গিয়ে নৌকা ডুবে ৯০ জনের মৃত্যু
মোজাম্বিকের উত্তর উপকূলে ফেরি ডুবে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। দেশটির নামপুলা প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজে থাকা ১৩০ জনের মধ্যে পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিরা নিখোঁজ রয়েছে।
সেক্রেটারি অফ স্টেট জেইম নেটো জানান, তারা কলেরা প্রাদুর্ভাব থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল। নামপুলা নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। বোটটি লুঙ্গা থেকে মোজাম্বিক দ্বীপে যাচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে নৌকাটি ডুবে যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে দেখা যায় একটি সৈকতে বেশ কজনের লাশ পড়ে আছে। তবে ওই ভিডিওর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গেলো বছরের জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে নামপুলা প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউনিসেফের হিসেবে, চলামন প্রাদুর্ভাব গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে মোজাম্বিকে অন্তত ১৩ হাজার ৭০০ জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩০ জন মারা গেছেন।
-
বাংলাদেশ4 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
-
ঢালিউড5 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
-
বলিউড5 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
-
বলিউড2 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
-
বলিউড5 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
-
অপরাধ7 days ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
আবহাওয়া4 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
-
বলিউড2 days ago
যে অভিনেত্রীর জন্য ‘নো কিসিং’ নীতি ভেঙেছিলেন সালমান!