Connect with us

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ের নেগেটিভিটিকে ব্রান্ড করতেছি, পজিটিভিটিকে না ; কুবি উপাচার্য

Published

on

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কলা ও মানবিক অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত 'সমকালীন সাহিত্য প্রসঙ্গ' সেমিনার  অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ৩০মে (সোমবার) কলা ও মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের হল রুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

কলা ও মানবিক অনুষদের সেমিনারে মন্তব্য করে উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ.এফ.এম.আবদুল মঈন বলেন, আমি পজিটিভিটির পক্ষে, নেগেটিভের পক্ষে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেগেটিভিটিকে ব্রান্ড করতেছি, পজিটিভিটিকে না। উপাচার্য সমালোচিত হওয়া মানে বিশ্ববিদ্যালয় সমালোচিত হওয়া। সমালোচনাকে বাদ দিয়ে একাডেমিক এক্সারসাইজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে আরো উপরে নিয়ে যেতে পারব।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ  গোলাম মাওলা বলেন,  কলা ও মানবিক অনুষদের বিষয়গুলো এদেশে অনেকটা হাসি ঠাট্টার বিষয় হয়ে গেছে। বিজ্ঞান আমাদের মারণাস্ত্র উপহার দিয়েছে। কিন্তু মানবিকতার বিষয় ও সাহিত্য আমাদের মানবিক মানুষ হতে সহায়তা করে। কিন্তু এগুলো চর্চা ব্যতিত মানবিক মানুষ হওয়া সম্ভব না।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ বিদ্যমান। তিনি আরো জানান, নালন্দার মতো বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের উপমহাদেশেই। পৃথিবীতে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রমের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করেছিল। এমনকি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের বিহারগুলোও এক সময় সূদুর চীন পর্যন্ত শিক্ষা বিস্তারে সক্ষম হয়েছিল।

Advertisement

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোকাদ্দেস-উল- ইসলামের সঞ্চালনায় কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মাওলার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম শরিফুল করীম।

শিক্ষা

পদোন্নতি পেয়েছেন হিজাবকাণ্ডে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেই রাবি শিক্ষক

Published

on

ছাত্রীকে আপত্তিকর বার্তা ও হিজাব কাণ্ডে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। গেলো ৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩১তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়।

বুধবার (০৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যদের একটি সূত্র তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির বিষয়টি বিভাগ উল্লেখ করেছে। আবার বিভাগেরই পরিকল্পনা কমিটি তার পদোন্নতির জন্য সুপারিশও করেছে। ফলে নিয়ম মেনেই পদোন্নতি পেয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বলেন, বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির পক্ষ থেকে তার পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়েছিল। এর আগে তাকে অব্যাহতির সুপারিশও করা হয়েছিল।

গেলো ১১ মার্চ ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ড. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বার্তা ও হিজাব নিয়ে কটাক্ষের অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। বিভাগে নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হওয়ায় বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছর তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এই অব্যাহতির মাঝেই গেলো ৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩১তম সিন্ডিকেট সভায় তাকে পদোন্নতি দেয়া হলে এ নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিক্ষা

১৫ বছর পর কলেজে ফিরলেন শাহেদুল খবির

Published

on

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন প্রভাবশালী পরিচালককে বদলি করা হয়েছে। অধিদপ্তরের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীকে ঢাকার বিজ্ঞান কলেজে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার (৫ জুন) তাকে বদলির আদেশ দেয়া হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সেটি প্রকাশ করা হয়েছে।

শিক্ষা ক্যাডারে চাউর রয়েছে, এই ক্যাডারে শাহেদুল খবিরের চেয়ে বড় প্রভাবশালী কর্মকর্তা দ্বিতীয়জন কেউ নেই। তিনি বর্তমানে শিক্ষা ক্যাডারের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির বর্তমান সভাপতি। আগামী ৯ জুন এ সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে তিনি আবার সভাপতি প্রার্থী। নির্বাচনে ঠিক তিনদিন আগে তাকে বদলি করায় সবাই এটি নিয়ে কানাঘুষা করছেন। তবে ঠিক কী কারণে তাকে বদলি করা হয়েছে, এ ব্যাপারে কেউ অফিসিয়াল বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

শাহেদুল খবির চৌধুরী সর্বশেষ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হওয়ার দৌড়েছিলেন। শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা বলছেন, তিনি শিক্ষা প্রশাসনের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে আসন্ন সমিতির নির্বাচনে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করছিলেন। অন্য প্যানেলগুলো শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলের কাছে অভিযোগ করার পর তদন্ত করে এর প্রমাণ মেলায় তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষা অধিদপ্তর, পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, মাদ্রাসা অধিদপ্তর, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহীর নিউ ডিগ্রি কলেজ, নায়েম ও কয়েকটি কলেজের প্রধানদের প্রভাবিত করা হচ্ছিল।

Advertisement

শাহেদুল খবির চৌধুরী বর্তমান সরকারের শুরু থেকে অর্থাৎ, ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এবং মাউশি অধিদপ্তরে চাকরি করছেন। গেলো সাড়ে ১৫ বছরে একদিনের জন্যও তিনি সরকারি কোনো কলেজে চাকরি করেননি। তিনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে স্কুল পরিদর্শক, পরে সচিব ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি মাউশি অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) হিসেবে পদায়ন পান।

তার বিরুদ্ধে মাউশির একটি নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিক্ষা

দুই বিষয়ে ফেলের পর একাদশে ভর্তি সম্পর্কে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

Published

on

নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষায় এক বা দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ রাখা হলেও তাদের সনদ দেয়া হবে না। বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বুধবার (৫ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন করেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষায় এক বা দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ আগেও ছিল। একজন শিক্ষার্থী যদি দুটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে অকৃতকার্য হয়, প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী ধাপ উত্তরণ হবে না, কিন্তু সনদায়ন হবে। অর্থাৎ সেই শিক্ষার্থী পূর্ববর্তী যে দুটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মান অর্জন করতে পারেনি বা ধাপ অতিক্রম করতে পারেননি, শিখন ফল ঘাটতি মিটিয়ে নেয়ার পর উচ্চতর পর্যায়ে গিয়ে তখন সনদ পাবে। নম্বরপত্র দেয়া হবে, কিন্তু এসএসসির সনদ পাবে না।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থী যদি মনে করে পরবর্তী ধাপে সনদায়ন করতে চাচ্ছে না, কিন্তু ফলাফলটি চাচ্ছে বা মার্কশিট চাচ্ছে, সেটা তারা পাবে। এ ক্ষেত্রে এটা শিক্ষার্থীর ওপর নির্ভর করবে; তারা যদি উচ্চ মাধ্যমিকের পূর্ণ সনদায়ন না চায়, যেহেতু আমরা এখনও উচ্চ মাধ্যমিকে এই প্রক্রিয়াটা শুরু করিনি। তারা উচ্চ মাধ্যমিকের পূর্ণ সনদায়ন পাবে না। কারণ, তাদেরকে কাজে যোগদান করতে সব বিষয়ে যে উত্তীর্ণ হয়ে কাজে যোগদান করবে তা নয়।’

আমরা এতটুকু নিশ্চয়তা দিতে চাই, তারা ধাপ অতিক্রম করবে, কিন্তু পূর্ণ সনদায়ন পাবে না। পূর্ণ সনদায়নে সব বিষয়ে কৃতকার্য হতে হবে, যোগ করেন মন্ত্রী।

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version