Connect with us

জাতীয়

ইজতেমায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু

Published

on

গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে। এ নিয়ে এবারের ইজতেমায় এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হলো। বার্ধক্যজনিত কারণে বিভিন্ন রোগ অসুস্থ হয়ে তারা মারা যান।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে আজ শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টা পর্যন্ত ময়দানে আসা তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়।

এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ও বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) মারা গেছেন ৪ জন। এছাড়া ময়দানে আসার সময় এক পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মারা যাওয়া মুসল্লিরা হলেন- শেরপুরের সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত শমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের (৫৫) ও নেত্রকোণার সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫)।

এর আগে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া চার মুসল্লিরা হলেন, নেত্রকোণার সদর থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০), জামালপুরের তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হজরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০)।

Advertisement

এছাড়া ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০) ও ইজতেমায় আসার পথে বাসচাপায় নিহত পুলিশ সদস্য হাসান উজ্জামান (৩০)।

জাতীয়

ছয় মাসে ৯৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

Published

on

গেলো ছয় মাসে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে প্রায় ৯৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ খাতে ব্যয় বরাদ্দের ওপর আনা ছাঁটাই প্রস্তাবে বিরোধী দলের সদস্যদের আলোচনার পর দেয়া বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, গেলো ছয় মাসে প্রায় ৯৯ হাজার শিক্ষককে এনটিআরসিএ এর (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলোতে এমপিও শূন্য পদে নিয়োগ দিতে পেরেছি।

স্কুলভবন নির্মাণের কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২১ হাজার ৭৩২টি ভবন সরাসরি বিদ্যালয়ের জন্য তৈরি করতে পেরেছি। এ অধিদপ্তরের বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণ হচ্ছে।

Advertisement

গবেষণা খাতে বরাদ্দ প্রসঙ্গে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, গবেষণা খাতে প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর থেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ প্রতিষ্ঠা করা এবং গবেষণা খাতে প্রথম সরকারি বরাদ্দ দেয়া শুরু করেছিলেন। সরাসরি যার সুফল আমরা পাচ্ছি।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, গবেষণায় এক লাখ টাকা দেয়া হয়, এটা সত্য নয়। আমাদের নানান খাত থেকে গবেষণায় বরাদ্দ দেয়া হয়। অনেক সময় দেখি গবেষণায় বরাদ্দকৃত অর্থও যথাযথভাবে খরচের ক্ষেত্রে সেই অর্থ রয়ে যায়।

ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ বলেন, শিক্ষক নিয়োগের পরও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। শিক্ষকরা গ্রামে যেতে চায় না। এ সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহিদী বলেন, শিক্ষায় প্রশাসনিক ব্যয় কমিয়ে গবেষণার দিকে নজর দেয়া দরকার। শিক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণার বেহাল দশা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণায় শিক্ষক প্রতি ব্যয় মাত্র এক লাখ টাকা। গবেষণা বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যদি গবেষণার সুযোগ দিতে না পারি অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ভবনের পরিবর্তন, শিক্ষার মানের পরিবর্তন হয়নি। ভবন করা হলো শিক্ষক নাই, বিদ্যালয় এমপিও ভুক্ত নাই। শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

Advertisement

স্বতন্ত্র সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষায় দুর্নীতি হচ্ছে, সর্বক্ষেত্রে ভয়াবহ দুর্নীতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কাগজে-কলমে দুর্নীতি, টাকা ছাড়া কিছু করা যায় না। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আগামী এক বছরে পাঁচ লাখ শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান করতে হবে।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের

Published

on

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আগামীকাল (১ জুলাই) থেকে এই কর্মবিরতি শুরু হবে। যা শিক্ষকদের সকল দাবি মেনে নেয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

সংগঠনটি বলছে— সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলন কর্মসূচি হিসেবে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা করছে। বৈষম্যমূলক প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এর আগে রোববার (৩০ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ঘোষিত এই সর্বাত্মক আন্দোলনে আপনারা সবাই আমাদের সারথি। আপনাদের বিপুল সমর্থন ও ম্যানডেট নিয়ে শিক্ষক সমিতি এই সর্বাত্মক আন্দোলনের রূপরেখা প্রণয়ন করেছে। আমাদের এই আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন। বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন এবং প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ জুন বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন সারাদেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। এছাড়া আজ ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

হজের প্রাক-নিবন্ধন বন্ধের মেয়াদ বাড়লো

Published

on

আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত হজের প্রাক-নিবন্ধন বন্ধ থাকবে। এর আগে সংস্কার কাজের জন্য গত ১২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন বন্ধ রাখা হয়েছিল।

এখন নিবন্ধন বন্ধ রাখার মেয়াদ আরও একমাস বাড়িয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, হজ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনিক প্রয়োজনে রিকন্সিলিয়েশনের উদ্দেশ্যে হজের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধের সময়সীমা আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

উল্লেখ্য, আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। তবে হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ বছর কোটার থেকে ৪২ হাজার হজযাত্রী কম ছিল।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version