কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ঔষধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত তিন ধর্ষক বর্তমান পলাতক রয়েছে।
গেলো শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় ঘটনাটি ঘটে। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়,গেলো ০৯ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় মেয়েটি বাইসাইকেল যোগে ঔষধ কেনার জন্য পাশ্ববর্তী বাজারে যান। ঔষধ কিনে বাড়ী ফেরার সময় কিশোরীকে একা পেয়ে দাসিয়ার ছড়া রাসমেলা গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে সোহাগ (১৮), একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম অপুর ছেলে ময়নুল ইসলাম (২২) ও মজিদুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান (২৩) মেয়েটির মুখ চেপে ধরে রাসমেলা নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
কিছুক্ষন পর ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা রাস্তার ধারে বাইসাইকেল পড়ে থাকতে দেখে এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি করলে নদীর ধারে ওই তিনজনকে দেখতে পায়। লোকজনের চিৎকারে ধর্ষকরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে তাদের সনাক্ত করে। পরে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তার নানীর বাড়ীতে পৌছে দেয়।
এলাকাবাসী জানায়, মেয়েটির বাবা মা কাজের সূত্রে ঢাকা থাকায়। মেয়েটি তাঁর নানা বাড়ি থাকত।
পুলিশ জানায়, ভিকটিম স্কুল ছাত্রীকে রোববার রাতে উদ্ধার করে আজ ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঘটনার পর আপোষ মিমাংসার জন্য স্থানীয় মাতব্বররা রোববার সারাদিন ওই পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে ব্যর্থ হয়।