বাংলাদেশ
চোখে আঘাত পাওয়া গুরুত্বর ৬ জনকে ঢাকায় পাঠাতে হবে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেনাইর ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটনায় চিকিৎসাধীন ৬৩ জন রোগী চোখে আঘাত পেয়েছেন।তারা সকলেই চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নেয়া দরকার। বললেন ন্যাশনাল আই কেয়ারের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক।
আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, আহত রোগীদের মধ্যে চমেকে ভর্তি ৬৩ জন রোগী চোখে কোনো না কোনোভাবে আঘাত পেয়েছেন। তবে সে আঘাতের মাত্রার পরিমাণে কম-বেশি আছে। কিছু কিছু আছে সিরিয়াস ইনজুরড। তাদের মধ্যে কারও শুধু চোখেই আঘাত পেয়েছেন। আবার কারও কারও শরীরের অন্য অঙ্গগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ছয় জনের চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের মধ্যে একজনের চোখের কর্নিয়া ফেটে গেছে। তাকে প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে হতে পারে। আমরা চাই গুরুতর আহত ছয় রোগীকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে। এছাড়া আরও পাঁচ-ছয় জন রোগীর চোখের অবস্থা খারাপ। কিন্তু তাদের শরীরের অন্যান্য অঙ্গের অবস্থা খুবই খারাপ। ফলে এখনই তাদের ঢাকায় নেওয়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ডিপোতে আহত রোগীদের চোখের চিকিৎসার জন্য এখানে এসেছি। সব রোগীকে আমি দেখেছি। সবারই কোনো না কোনোভাবে চোখে আঘাত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখানকার চিকিৎসকরা খুব ভালোভাবেই দেখাশোনা করেছেন। আগেও অনেক জটিল রোগীকে তারা সফলভাবে দেখভাল করেছেন। যেসব রোগীকে পাঠানো দরকার, সেভাবে পাঠান। আমরা ঢাকাতে তাদের রিসিভ করব। সব খরচ আমরা সরকারিভাবে বহন করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সে নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ এ চক্ষু চিকিৎসক আরও বলেন, সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের চিকিৎসা সেবা মনিটর করার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি।
অপরাধ
বেনজীর আহমেদের বিদেশে থাকা সম্পদের খোঁজ করতে তিন দেশে চিঠি
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পদের খোঁজ করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, (বিএফআইইউ)।
চাকরিরত অবস্থায় প্রভাব ও ক্ষমতা খাটিয়ে অর্জন করা বিপুল সম্পদের সঙ্গে নগদ অর্থ সঞ্চিত রাখতে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের খোঁজও নিচ্ছে বিএফআইইউ।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় নাগরিকত্ব না পেয়েও , ওই দুই দেশে অর্থ পাচার করে ব্যবসা ও অন্যান্য সম্পদ গড়েছেন বেনজীর আহমেদ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেসব দেশে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিলাসবহুল নগরী হিসেবে পরিচিত দুবাইয়েও অর্থ পাচার করে ব্যবসা গড়েছেন বেনজীর আহমেদ। তার নিয়োজিত একাধিক ব্যক্তি দুবাইয়ের ওইসব ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশোনা করেন। দুবাইয়ে তার পাঁচ বছরের আবাসিক ভিসার আওতায় মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা রয়েছে।
বেনজীর আহমেদের পরিবারে স্ত্রী জীশান মির্জা এবং দুই মেয়ে যথাক্রমে ফারহিন রিশতা ও তাহসিন রাইসা । তাদের পরিবারের সদস্য ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৩৩টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু ওইসব ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থের পরিমাণ জানতে পারেনি বিএফআইইউ। ধারণা করা হচ্ছে ওইসব ব্যাংক হিসাবে থাকা নগদ অর্থ আগেভাগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে । তবে এসব ব্যাংক হিসাবের কোনোটিতেই উল্লেখ করার মতো নগদ অর্থ না থাকাটাকেও অস্বাভাবিক মনে করা হচ্ছে। সেজন্যই বিএফআইইউ তাদের অনুসন্ধান তৎপরতা চালাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ-সম্পদ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর হঠাৎ করেই গা ঢাকা দিয়েছেন বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। দুর্নীতি দমন কমিশন আগামী ৬ জুন বেনজীর আহমেকে ও ৯ জুন ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে।
গেলো ২৩ মে উচ্চ আদালত বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৩টি হিসাব জব্দ করার আদেশ দেয়। একই দিন তাদের ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) জমি ক্রোকেরও আদেশ দেয়া হয়।
এরপর পুনরায় গেলো ২৬ মে বেনজীরের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও গুলশানে চারটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।
জাতীয়
ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে সাত হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
দেশের ২০ জেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বললেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
রোববার (২ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গেলো ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। এর প্রভাবে উপকূলীয় বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এসব এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। এ ছাড়া ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। বেশকিছু রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, আমরা গেলো কয়েকদিন থেকেই দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এখন দুর্যোগ পরবর্তী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পরদিন আমি ব্যক্তিগতভাবে উপকূলীয় জেলার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে স্থানীয়দের খোঁজখবর নিয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১৯ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণকার্যে নগদ পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো- খাদ্যের জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্য কেনার জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভাগ, দপ্তর-সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খুলনার কয়রা, ভোলার চরফ্যাশন এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী পরিদর্শন করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও জরুরি সেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গেলো ৩০ জুন প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রেমাল এলাকা পরিদর্শনের জন্য পটুয়াখালীর কলাপাড়া পরিদর্শন করেন এবং ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
তিনি বলেন, গেলো কয়েকদিন ধরে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের সাহায্যে সিলেট জেলায় ২০ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫০০ মে. টন চাল, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় ১৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। একইভাবে দিনাজপুর জেলায় ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ এবং ৩ লাখ টাকার শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।
কেএস/
জাতীয়
মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কোনো ব্যক্তি মামলা করলেই ব্যবস্থা: সিআইডি
সম্প্রতি শ্রমিক হিসেবে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি মামলা করলে সিআইডি ব্যবস্থা নেবে। জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।
রোববার (২ জুন) মালিবাগ সিআইডি হেডকোয়ার্টারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সিআইডি প্রধান বলেন, শুধু মানবপাচার আইনে মামলা নয়, বিদেশ পাঠানোর নামে যারা অবৈধভাবে টাকা আয় করে বিভিন্ন জায়গায় হস্তান্তর করেছে তাদেরকে আমরা মানি লন্ডারিংয়ের আওতায়ও আনব।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে যারা মানবপাচার করে ভুয়া টিকিট বা ভুয়া ভিসা ইত্যাদি দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, অর্থ নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা একদিকে মানবপাচারের মানি লন্ডারিং মামলা এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।
মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, সিআইডির একটি মানবপাচার সেল আছে। এই সেলটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এবং আমাদের একটি ব্রাঞ্চ আছে এয়ারপোর্টে। যারা রিফ্রেক্টেড হয়, বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে বিদেশ থেকে রিফ্রেক্টেড হয়, আমাদের রিপোর্ট করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাদের সব ডাটা সংগ্রহ করি। মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কিন্তু আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি ও আসামি গ্রেপ্তার করি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে কি না এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আমরা শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। সম্ভবত আমরা দু-এক মাসের মধ্যে এটার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দিয়ে দিব।
টিআর/
-
বলিউড3 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
-
বাংলাদেশ5 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
-
ঢালিউড3 days ago
উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌর করা যৌতুক মামলায় স্বামীর জামিন
-
ঢালিউড6 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
-
বলিউড6 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
-
বলিউড6 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
-
আবহাওয়া5 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
-
বলিউড3 days ago
যে অভিনেত্রীর জন্য ‘নো কিসিং’ নীতি ভেঙেছিলেন সালমান!