Connect with us

ইউরোপ

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন: ইইউর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় নেতারা

Published

on

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের শেষ দিনে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্প্রসারণ এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের শেষ দিনে ইউরোপের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাসহ, আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর ঘটনা ছিল বিশ্বনেতাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে৷ ন্যাটোর সঙ্গে ইইউর সম্পর্ক এবং এই অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিও আলোচনায় স্থান পায়৷

ইইউর প্রতি মার্কিন সেনেটরের বার্তা

মার্কিন রিপাবলিকান সেনেটর জেডি ভ্যান্স, ন্যাটো এবং ইউক্রেন সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানিয়েছেন সম্মেলনের শেষদিনে৷ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়ে সতর্ক অবস্থান প্রকাশ করেন৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর রিপাবলিকান সেনেটর ভ্যান্স বলেন, ‘‘আমরা আমাদের ন্যাটো মিত্রদের ভালবাসি৷ আমরা ন্যাটো জোটকে মূল্য দিই৷”

ভ্যান্স বলেন, ট্রাম্প এবং রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা চায়, প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ইউরোপ ‘একটু বেশি স্বয়ংসম্পূর্ণ’ হোক৷ তার মত, ইউরোপ যদি বিশ্বাস করে যে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘ তাদের জন্য অস্তিত্বের হুমকি’ তাহলে জার্মানির মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল চালিকাশক্তিদের ‘পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে৷”

Advertisement

ইউক্রেনের জন্য ৬০ বিলিয়ন ডলারের (৫৫.৬ বিলিয়ন ইউরো) সহায়তা প্যাকেজটি ইউএস রিপাবলিকান-সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি পরিষদে আটকে আছে৷ প্যানেলে আলোচনার সময় ভ্যান্স বলেন, এই সহায়তা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির ‘বাস্তবতায় মৌলিক কোনো পরিবর্তন ঘটাবে না’৷

ভ্যান্স বলেন, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানো অনেক বেশি যুক্তিসঙ্গত৷”

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের অনেকে ভ্যান্সের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেছেন৷ তাদের মত, এখন শান্তি আলোচনা চাইলে রাশিয়া যে, আগ্রাসন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু করেছিল, সেটা বরং আরো জোরদার হবে৷

জার্মান রাজনীতিবিদ রিকার্ডা ল্যাং, ভ্যান্সের বক্তব্যকে সমালোচনা বলেন, পুটিনের ‘‘এই মুহূর্তে শান্তিতে কোনো আগ্রহ নেই৷”

ল্যাং বলেন, ‘‘পুটিনের জয় মানে কিন্তু চীনের মতো অন্যান্য বাহিনীও ভাববে সীমান্ত পরিবর্তন করা সম্ভব৷ ন্যাটো এটা ধরে রাখতে পারবে না৷ এটা শুধুমাত্র ইইউ নয়, যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও নেতিবাচক পরিণতি বয়ে আনবে৷”

Advertisement

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ইউরোপের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনা

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূ-রাজনৈতিক লক্ষ্যগুলির পাশাপাশি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের শেষ দিনে আলোচনা হয়েছে৷

ইইউ বৃদ্ধির সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেছেন জর্জিয়ান প্রেসিডেন্ট সালোমে জওরাবিচভিলি, লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিলিয়াস লান্ডসবার্গিস, ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলহা স্টেফানিশিনা এবং পোলিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাডোস্লাও সিকোর্স্কি৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল এবং লাটভিয়ান প্রধানমন্ত্রী ইভিকা সিলিনা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরবর্তী ভূ-রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন৷

ইউরোপে আগামী ৬০ বছরের ভূ রাজনীতি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সম্মেলনটি শেষ হয়৷

Advertisement

গাজাবাসীকে জোর করে মিশরে পাঠাবেন না: হুমকি ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীর

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেছেন, ইসরায়েল যেন গাজার ফিলিস্তিনিদের মিশরে জোর করার পাঠানোর চেষ্টা না করে।

মিউনিখের সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি জানি, গাজা থেকে লোকেদের সরাতে এটা একটা ইসরায়েলি পরিকল্পনা ছিল। আমরা এবং মিশরীয়রা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি যাতে এটা না ঘটে।”

আনুমানিক ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি এখন জনাকীর্ণ এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। অভিজ্ঞ কূটনীতিকদের একাংশ এবং মানবিক সংস্থাগুলো তাদের গুরুতর উদ্বেগের কথা বলেছেন।

বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে,ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের থাকার জন্য সীমান্তের পাশে একটি অভ্যর্থনা শিবির নির্মাণ করছে মিশর।

Advertisement

শাতায়েহ বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ফাতাহ রাজনৈতিক দল দ্বারা পরিচালিত হয়। তিনি সহিংসতা বন্ধ করে ফিলিস্তিনের সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানান।

শাতায়েহ উল্লেখ করেছেন, ফাতাহ এবং হামাস-সহ বিভিন্ন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী রাশিয়ার আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার মস্কোতে দেখা করবে।

নিজেদের ক্ষমতা জোরদারের আহ্বান জার্মান চ্যান্সেলরের

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেন, আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে কে জিতবে, ইউক্রেনের যুদ্ধ কোনদিকে মোড় নেবে, তা বিবেচনার আগে সবরকম আগ্রাসন ঠেকাতে ইউরোপের নিজের ক্ষমতা জোরদার করতে হবে৷

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রুশ আগ্রাসন এবং ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে প্রচেষ্টা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন৷

Advertisement

ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে একটি প্যানেল আলোচনায় বক্তৃতা দেয়ার সময় ইউক্রেনকে দেয়া  ‘প্রতিশ্রুতি রাখতে’ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আহ্বান জানান৷

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং-ই বলেন, বিশ্বজুড়ে সংঘাতের মধ্যে তার দেশ ‘স্থিতিশীল একটি শক্তি হিসাবে’ কাজ করবে৷

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এবং আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান শনিবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে দেখা করেন৷ ককেশাস অঞ্চলে শান্তির জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানান তারা৷

রুশ বিশেষজ্ঞ: নাভালনির স্মৃতি ইউরোপে ‘বাঁচিয়ে’ রাখতে হবে

বার্লিনের কার্নেগি রাশিয়া ইউরেশিয়া সেন্টারের ননরেসিডেন্ট এক গবেষক একাতেরিনা শুলমান ডিডব্লিউকে বলেন, রাশিয়ার বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখা উচিত ইউরোপের৷

Advertisement

তার কথায়, ‘‘মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে উপস্থিত অনেকেই আলেক্সি নাভালনিকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, গত ১৫ বছর ধরে অনেকের জীবনে প্রবলভাবে তার উপস্থিতি ছিল৷”

তিনি বলেন, ‘‘পরে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, আমি অবশ্য জানি না৷ তবে আমি মনে করি, অন্তত তার স্মৃতিটুকু বাঁচিয়ে রাখা উচিত৷ ইউরোপের কোনো দেশের রাজধানীর রাস্তার নাম বা পাবলিক প্লেসের নামকরণ করেও তাকে বাঁচিয়ে রাখা উচিত৷”

তার কথায়, ‘‘রাশিয়া থেকে আমার কাছে নানা পরামর্শ এসেছে৷ হয়তো বার্লিনের শারিটে হাসপাতালে একটি স্মৃতিসৌধ করা উচিত৷ প্রাথমিক বিষক্রিয়ার পরে সেখানেই নাভালনি সুস্থ হয়ে উঠছিলেন৷ দুর্ভাগ্যক্রমে এখন আমাদের মনে হতে পারে, তাকে দ্বিতীয়বার বিষ দেওয়া হয়েছিল৷”

শুলমান জানান, পুটিনবিরোধী আন্দোলনের কত বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে৷ রুশ বিশেষজ্ঞ শুলমান জানান, নাভালনি ‘‘বিভিন্ন সামাজিক স্তরের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন৷”

শুলমান সম্মেলনে বলেন, ‘‘নাভালনির মধ্যে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে আলাপ জমানোর প্রতিভা ছিল৷ তিনি শুধু শহুরে তরুণদের প্রতিমূর্তি, এমনটা কিন্তু নয়৷ তিনি বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন৷ তার ভাষাজ্ঞান ছিল৷ অত্যন্ত আবেদনময় ব্যক্তিত্ব ছিল৷ অন্য কাউকে তার জায়গায় ভাবা যাবে না৷”

Advertisement

তার কথায়, ‘‘কল্পের কথা ভেবে, অন্য ধরনের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বর্তমান রাশিয়ান সরকার নিজেদের জনগণকে অস্বীকার করছে৷”

জার্মান চিফ অফ ডিফেন্স ডিডাব্লিউকে যা বললেন

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি সম্প্রতি ওলেক্সান্ডার সিরস্কিকে কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে নিয়োগ করেছেন৷ জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনির এর আগে কমান্ডার ইন চিফ ছিলেন৷

তার কথায়, ‘‘গত সপ্তাহে সফরের সময় অনুভব করেছি  সেনারা কতটা ক্লান্ত, কিন্তু অবিচল৷ আমি নতুন কমান্ডার-ইন-চিফের সঙ্গে দেখা করেছি, যিনি একটি পরিকল্পনা করেছেন৷ তিনি জানেন কতদূর বিষয়টা গড়াতে পারে৷এখন তিনি এই পরিকল্পনা কার্যকর করেছেন৷” এভাবে ওলেক্সান্ডার সিরস্কির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে তার কথায়৷

তিনি বলেন, ‘‘আভদিভকাতে কর্মীদের বাঁচানোর জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে৷ এটা একদম ঠিক৷”

Advertisement

ইউক্রেন সহায়তা প্যাকেজের জন্য ইইউ নেতাদের প্রশংসা জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট

জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমে জওরাবিচভিলি ইইউ নিয়ে তার দেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং রাশিয়ার আক্রমণের পরে ইউক্রেনের সঙ্গে সংহতি নিয়ে ডিডাব্লিউ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন৷

জওরাবিচভিলি ইউক্রেন সহায়তা প্যাকেজের ৫০ বিলিয়ন ইউরোর চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইইউ নেতাদের প্রশংসা করেছেন৷ তার ‘আস্থা’, কিয়েভের জন্য অতিরিক্ত সহায়তাও পাস হবে মার্কিন কংগ্রেসে৷

জওরাবিচভিলি কৃষ্ণসাগরে তাদের অবস্থান নিয়ে বলেন, ‘‘ইউরোপের সঙ্গে জলভাগই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ৷ কৃষ্ণ সাগরের নিরাপত্তা ইউরোপের নিরাপত্তা৷ ক্রিমিয়া, ইউক্রেন, জর্জিয়ার সঙ্গে যা জড়িত৷ এখন রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা করায় বিষয়টা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে৷”

জর্জিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক লড়াই নিয়ে জর্জিয়ার ইইউতে যোগদানের বিষয়েও জওরাবিচভিলিকে জিজ্ঞাসা করা হয়৷ তিনি বলেন, ‘‘যে কোনো দেশের মতো, এখানেও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক লড়াই রয়েছে৷ তবে জর্জিয়ার বাইরের লোককে এটা বুঝতে হবে, জর্জিয়াক জনগণের পারস্পরিক ঐক্য রয়েছে৷ স্বাধীনতার পর থেকে গত ৩০ বছর যা বজায় রয়েছে৷”

Advertisement

জওরাবিচভিলি বলেন, ২০০৮ সালে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং জর্জিয়ান অঞ্চল দখলের পরেও এর পরিবর্তন হয়নি৷

তার মত, ‘‘রাশিয়া নিজের ভূখণ্ডে পিছু হটলে সবথেকে ভাল৷ তারা যেন শিখতে পারে, বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের মতো তাদেরও নির্দিষ্ট সীমানা রয়েছে৷ প্রতিবেশীদের সম্মান করতে হবে৷ এর মানে হল তারা যদি দখলকৃত অঞ্চল ছেড়ে দেয়, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হবো৷ এটা সবথেকে ভাল হবে৷ এটাই একমাত্র ফলাফল যা আমি ভাবতে পারি৷”

নাভালনির ‘হত্যাকাণ্ড’ ‘রাশিয়ান জনগণকে দমনের’ বার্তা

বিল ব্রোউডার, আমেরিকান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ হারমিটেজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা৷ ইনি ভ্লাদিমির পুটিনের একজন কড়া সমালোচক৷ আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর বিষয়ে মিউনিখের সম্মেলনে ডয়চে ভেলের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন৷ নাভালনির মিত্ররা রাশিয়ার বিরোধী নেতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, তবে তারা বলেছে যে রাশিয়ান সরকার তার দেহ হস্তান্তর করতে অস্বীকার করছে৷

ব্রোউডার জোর দিয়ে বলেন, ‘‘পুটিন আলেক্সি নাভালনিকে হত্যা করেছে” এবং ‘‘এই হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য হলো রাশিয়া এমন কাউকে একটি বার্তা দেয়া৷ তারা বলতে চায়, আপনি যদি ভ্লাদিমির পুটিনকে চ্যালেঞ্জ করেন তবে আপনাকে হত্যা করা হবে৷আমি মনে করি, এটা অত্যন্ত শক্তিশালী বার্তা কারণআলেক্সি নাভালনি ‘‘লার্জার দ্যন লাইফ”ব্যক্তিত্ব ছিলেন৷ তার মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যদি এমনটা হয়, তাহলে দুঃখজনকভাবে রুশ জনগণকে দমনপীড়ন করা হবে৷”

Advertisement

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, শুক্রবার সম্মেলন শুরুর কিছুক্ষণ আগে নাভালনির মৃত্যুর ঘোষণা করাটা কাকতালীয় নয়৷ ব্রোউডার বলেছিলেন, সম্মেলনের আগে নাভালনির মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে পুটিন ‘কার্যকরভাবে সমগ্র বিশ্বকে নাড়িয়ে দিতে চেয়েছেন৷’

সম্মেলনে আসা অনেকেই বিশ্বাস করেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য পুটিনের সঙ্গে আলোচনার একটি উপায় আছে৷ তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, ব্রোউডার তা নাকচ করে দেন৷

ব্রোউডারের কথায়, ‘‘পুটিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনো আলোচনার জায়গা নেই৷ শান্তির জন্য তার কোনো আপস করার ক্ষমতা নেই৷ পুটিন একজন যুদ্ধবাজ৷”

তিনি নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, পুটিন বিরোধী রাজনীতিবিদ ভ্লাদিমির কারা-মুর্জার ভাগ্য নিয়ে চিন্তিত৷ মুর্জাকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে রাশিয়া৷

তিনি বলেন, ‘‘এখন আলেক্সি নাভালনিকে হত্যা করা হয়েছে৷ ভ্লাদিমির কারা-মুর্জা সম্ভবত তার পরেই রয়েছেন৷ আমরা ওর নিরাপত্তা, সুস্থতা নিয়ে আতঙ্কিত৷ সম্মেলনে আসার মূল উদ্দেশ্য হলো, পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে কথা বলা, যাতে ভ্লাদিমির কুরা-মুর্জাকে জেল থেকে বের করার উপায় খুঁজে বের করার যায়৷ যেন তার পরিণতি নাভালনির মতো না হয়৷”

Advertisement

ব্রোউডার নিজের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত৷ তার কথায়, ‘‘দুঃখজনক হলো, রাশিয়া বা বিশ্বের যে কোনো জায়গাই আমার মতো পুটিনবিরোধী কোনো ব্যক্তির জন্য খুব বিপজ্জনক জায়গা৷”

(ডয়েচে ভেলের খবর)

ইউরোপ

যুক্তরাজ্যে ঋষি সুনাকের আগাম নির্বাচনের ঘোষণা

Published

on

বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাজ্যে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও চলতি বছরের ৪ জুলাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (২২ মে) স্থানীয় সময় বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার আগে এ ব্যাপারে মন্ত্রীদের অবহিত করেন যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রী। তারপর তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী সপ্তাহে বর্তমান সংসদ ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

এর আগে রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছে গিয়ে সংসদ ভেঙে দেয়া এবং নতুন নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাজার কাছ থেকে অনুমতি নেন ঋষি সুনাক। রাজার কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর সেটি জনসম্মুখে ঘোষণা করেন তিনি।

Advertisement

ঋষি সুনাক নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দিয়ে নিজ সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা উপস্থাপন করেন। একই সঙ্গে ভোটারদের কাছে ভোটের আহ্বান করেন। জানান―তাকে ভোট দিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হলে ব্রিটেনের উন্নয়নে কাজ করে যাবেন তিনি।

গেলো ১৪ বছর ধরে যুক্তরাজ্য শাসন করছে ঋষি সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টি। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাার পর অনেকেই ধারণা করছেন, এ নির্বাচনে ব্রিটেনে আবারও লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসবে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইউরোপ

যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে

Published

on

যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।ফলে এই চুক্তির আওতায় রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখান হওয়া ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।

গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে। গেলো বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত ব্রিটেনে প্রবেশের ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকার উদ্দেশ্যে তাঁরা এসব করছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে। অর্থাৎ ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে।

যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন জানান, চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও নির্বাসনের কাজ সহজতর হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এ সপ্তাহে লন্ডনে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রথম যৌথ ইউকে-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপে উভয় পক্ষ রিটার্ন চুক্তিটিতে সম্মত হয়।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইউরোপ

যুদ্ধের মধ্যেই রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সরিয়ে দিলেন পুতিন

Published

on

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই সোইগুকে সরিয়ে দিয়েছেন। রোববার (১২ মে) এই পদক্ষেপকে ইউক্রেন আক্রমণের দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে।

সোমবার (১৩ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিল প্রকাশিত মন্ত্রী পদের মনোনয়নের তালিকা অনুসারে, অর্থনীতিবিদ আন্দ্রে বেলোসোভকে শোইগুর স্থলাভিষিক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন।

৬৮ বছর বয়সী সেরগেই সোইগু ২০১২ সাল থেকেই রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাকে এখন এই পদ থেকে সরিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।

বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিকোলাই পাত্রুশেভ। তবে পরবর্তীতে তাকে কোন পদে দায়িত্ব দেয়া হবে সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।

Advertisement

ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেরগেই সোইগু। এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শোইগু এই সেক্টরেই (প্রতিরক্ষা) কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি এই বিষয়গুলো ভালো জানেন। তিনি তার আগের কাজের জায়গায় তার সহকর্মী এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তিনি এটি খুব ভালোভাবে জানেন।

গত মার্চের নির্বাচনে জয়ী হয়ে নতুন সরকার গঠন করছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। সে কারণেই পুতিনকে সাংবিধানিকভাবে সরকারের বিভিন্ন পদে মন্ত্রীদের নতুন তালিকা দিতে হবে অথবা বিদ্যমান মন্ত্রীদের পুনরায় নিয়োগ দিতে হবে।

চলতি বছরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আসনে বসে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন পুতিন। ফলে আরও ছয় বছরের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। তবে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবারের মেয়াদে পুতিন আরও বেশি ক্ষমতাধর হয়ে উঠবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

১৯৯৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি, কখনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, কখনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে। তার প্রথম দুটি মেয়াদ স্থায়ী হয়েছিল চার বছর। পরে সংবিধান সংশোধন করে রুশ সরকারপ্রধানের মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়। পুতিনের প্রথম ছয় বছরের মেয়াদ শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে এবং দ্বিতীয়টি ২০১৮ সালে। ২০২০ সালে আবারও সংবিধান সংশোধন করা হয়, যার মাধ্যমে ২০২৪ সালেও প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পান পুতিন।

গেলো মার্চের নির্বাচনে ৮৭ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ৭১ বছর বয়সী এ নেতা। যদিও ওই নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা এবং ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করেছে পশ্চিমারা।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version