Connect with us

এশিয়া

তালেবান ছাড়াই আফগান সম্মেলন শুরু

Published

on

রোববার কাতারে শুরু হয়েছে দুই দিনের সম্মেলন। জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস সম্মেলন পরিচালনা করছেন।

আফগানিস্তানের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কের উন্নতি ঘটানো যায়, সেই লক্ষেই এই সম্মেলন শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তালেবান প্রতিনিধিদেরও এই সম্মেলনে অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তারা জানিয়েছেন, সম্মেলনে যোগ দেয়া সম্ভব নয়। জাতিসংঘের দাবি, তালেবানের পক্ষ থেকে একটি শর্ত দেয়া হয়েছিল। সম্মেলনে তাদের সমালোচনা করা যাবে না। কিন্তু জাতিসংঘ এই শর্ত মানতে রাজি হয়নি।

পাশাপাশি তালেবানের শর্ত ছিল, আফগানিস্তান থেকে কেবলমাত্র তারাই প্রতিনিধিত্ব করবে, অন্য কোনো সংগঠন এই সম্মেলনে যোগ দিতে পারবে না। জাতিসংঘ সেই শর্ত মানতেও রাজি হয়নি। ফলে শেষ মুহূর্তে তালেবন জানিয়ে দেয়, তারা এই সম্মেলনে যোগ দেবে না।

নরওয়ের রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান জ্যান এগেল্যান্ড এক্স-এ লিখেছেন, ‘দোহার সম্মেলনে তালেবানের যোগ নেয়া দেয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। সমস্ত পক্ষের কাছে আমার আর্জি, আফগানিস্তানের জনগণের কথা ভেবে সকলে একটি মতৈক্যে পৌঁছান।’

তালেবান যোগ না দিলেও আফগানিস্তানের বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ আফগানিস্তানের সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সম্মেলনে তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। আফগানিস্তানের মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি নারীর উপর তালেবানের ‘অত্যাচারে’র বিষয়টি সামনে নিয়ে আসতে পারে। তবে তালেবান এই সম্মেলনে যোগ না দেয়ায়, শেষপর্যন্ত লাভ কতটা হবে, তা নিয়ে বহু বিশেষজ্ঞই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য ২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট আফগানিস্তানে দ্বিতীয়বার ফিরে আসে তালেবানের সরকার। ক্ষমতায় এসে তারা বেশ কিছু অধিকারের কথা বললেও, ক্রমশ নারীর অধিকার খর্ব করা হয়েছে আফগানিস্তানে। তাদের হাই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করা হয়েছে। কাজের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এনিয়ে আফগানিস্তানের ভিতরেও বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন সোচ্চার হয়েছে।

এশিয়া

বিয়েবাড়িতে যাওয়ার পথে প্রাণ হারালো ১৩

Published

on

বিয়েবাড়িতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১৩ জন মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থা আরও ১৫ জনের।

রোববার (৩ জুন) রাতে মধ্য প্রদেশের রাজগড় জেলায় একটি ট্রাক্টর উলটে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। যাত্রীরা প্রত্যেকের রাজস্থানের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এরই মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগাযোগ করেছেন রাজস্থান সরকারের সঙ্গে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে চার শিশুও।

পুলিশ জানিয়েছে, রাজগড় জেলার পিপলোড়ি গ্রামের কাছে উলটে যায় ট্রাক্টরটি। সম্ভবত ওই ট্রাক্টরটিতে ৩০ থেকে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। অনুমান করা হচ্ছে, এত যাত্রী থাকায় সম্ভবত নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন চালক। সেই কারণেই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে।
যদিও আহত এক ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, চালক বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এছাড়াও ট্রাক্টরে যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ ছিলেন। সেই কারণে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা।

আহতদের ভোপালের হামিদিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তা হওয়ার সম্ভাবনা এখন আর নেই। আহতদের অনেকেই বুকে ও মাথায় গুরুতর চোট পেলেও এখন বিপদমুক্ত অনেকেই।

এ ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন নাকি অন্য কোনও কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

মালদ্বীপে ইসরায়েলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালানোর কারণে ইসরায়েলিদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মালদ্বীপ সরকার। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে ভারত মহাসাগরের ছোট্ট এই মুসলিমপ্রধান দেশে আর কোনো ইসরায়েলি প্রবেশ করতে পারবে না।

সোমবার (৩ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। তবে ঠিক কখন ও কবে থেকে নতুন এই আইন কার্যকর হবে সে সম্পর্কে তেমন কিছু বলেননি তিনি। এছাড়া ‘ফিলিস্তিনের পাশে মালদ্বীপবাসী’ নামে একটি জাতীয় তহবিল সংগ্রহ অভিযান শুরুর ঘোষণাও দিয়েছেন মুইজ্জু।

দৃষ্টিনন্দন সমুদ্রসৈকত ও বিলাসবহুল রিসোর্টের টানে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ পর্যটক মালদ্বীপ ভ্রমণে যান। গেলো বছর ১১ হাজার ইসরায়েলি মালদ্বীপ ভ্রমণ করেছেন, যা দেশটির মোট পর্যটকের শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ।

তবে মালদ্বীপের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে মালদ্বীপে যাওয়া ইসরায়েলিদের সংখ্যা ৫২৮ জনে নেমে এসেছে। এই সংখ্যাটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৮ শতাংশ কম।

Advertisement

গত অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধ ঘিরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মালদ্বীপের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। এছাড়া দেশে ইসরায়েলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে চাপ দিয়ে আসছিল বিরোধী দল ও জোট সরকারের মিত্ররা।

উল্লেখ্য, গেলো ৭ অক্টোবর গাজায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। আট মাস ধরে যুদ্ধ চললেও এখনো এই যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়াও যুদ্ধে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

দুই শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১০

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের দুটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে হামলায় ৬ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। পৃথক হামলায় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে আরও ৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের সবাই নারী ও শিশু।

সোমবার (৩ জুন) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

স্বাস্থ্য সূত্র ওয়াফার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হামলায় নিহত ছয় শিশু ও নারীর মরদেহ দেইর আল-বালাহের আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া হামলার পর উদ্ধারকারীরা এখনও বেঁচে যাওয়াদের খোঁজে ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি করছে। সোমবার মধ্যরাতের পর আকাল পরিবারের একটি বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

বুরেইজ শরণার্থী শিবিরটি নুসেইরাত শরণার্থী শিবির থেকে প্রায় ২ কিমি দূরে অবস্থিত। এই হামলার আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নুসেইরাতেও চারজন নিহত হয়েছেন।

ওয়াফা নিউজ এজেন্সি এবং আল জাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, এই হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

Advertisement

এদিকে গেলো বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৪৩৯ জনে পৌঁছেছে বলে রোববার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামলায় আরও ৮২ হাজার ৬২৭ জন আহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৬০ জন নিহত এবং আরও ২২০ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

Advertisement

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version