আন্তর্জাতিক
ইসরায়েল শর্ত মানলে, যুদ্ধবিরতি সম্ভব : হামাস
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/03/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2.jpg)
আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের পক্ষ থেকে।তবে মানতে হবে কিছু শর্ত।
সংগঠনটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আমরা চূড়ান্ত রূপরেখা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন ইসরায়েল তা মেনে নিলে আমরা যুদ্ধবিরতিতে।
যুদ্ধবিরতির রূপরেখায় গাজা থেকে ইসরায়েলের সব সেনা প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল হামাসের রূপরেখা মোটামুটি মেনে নিয়েছে। এখন শেষ মুহূর্তের কিছু দর কষাকষি চলছে।
৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নভেম্বরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তিন দফায় সাতদিনের যুদ্ধবিরতি হয়। ১ ডিসেম্বর তা শেষ হয়। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চলছে। কিন্তু ইসরায়েল ও হামাসের অনমনীয় মনোভাবের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, এবার তিন ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হবে। শর্তমতে হামাসের হাতে এখনও জিম্মি প্রায় ১৩০ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে কয়েকগুণ বেশি ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। গাজায় ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দেবে না ইসরায়েল।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে। ইসরায়েল ধারণা করছে, এখনও প্রায় ১৩০ জন হামাসের কাছে জিম্মি আছে।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন অবধি ৩০ হাজার ৩২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৭১ হাজার ৫৩৩ জন।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানে ৪ শিশুসহ একই পরিবারের ৯ জনকে গুলি করে হত্যা
পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি বাড়িতে সশস্ত্র ব্যক্তিদের গুলিতে একই পরিবারের অন্তত ৯ জন সদস্য নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ঘটা এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি দেশজুড়ে শোকের ঢেউ তুলেছে।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৃশংস এ ঘটনায় বাদাবের থানার পাশে প্রতিপক্ষের বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রধারীরা নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে চার নারী ও চার শিশুসহ ৯ জন নিহত হয় এবং অন্য আরো কয়েকজন আহত হন।
পুলিশ তাদের প্রাথমিক বিবৃতিতে বলেছে, দুই পরিবারের মধ্যে আর্থিক ও সম্পত্তির বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
তবে সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট পুলিশ (এসএসপি) অপারেশনস কাশিফ জুলফিকার বিবৃতিটির বিরোধিতা করে বলেছেন, উভয় পক্ষের মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে কোনো আর্থিক বিরোধ ছিল না। তিনি আরো বলেন, সশস্ত্র হামলার পেছনের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের ধরতে দুটি টিম গঠন করা হয়েছে।
উদ্ধারকারী দল ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলোকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কার্তুজের খালি খোসা ও অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করে মামলা দায়ের করেছে। এসএসপি (তদন্ত) সাহেবজাদা সাজ্জাদ জানান, অপরাধীদের ধরতে পুলিশ সুপার (এসপি) সদর সার্কেলের নেতৃত্বে চারটি দল পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঘটনার পেছনের উদ্দেশ্য বিস্তারিত তদন্তের পর জানা যাবে।
আন্তর্জাতিক
এবার কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই
এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আবগারি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। দিল্লির আদালত থেকেই সিবিআই তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এর আগে এই একই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিল্লি হাইকোর্ট কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়ার পরেই তিহাড়ে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআইয়ের একটি দল। তার বয়ানও নথিভুক্ত করা হয়। বুধবার (২৬ জুন) তাকে আদালতে হাজির করানোর অনুমতিও পেয়েছিল সিবিআই।
সে অনুযায়ী, বুধবার দিল্লির ট্রায়াল কোর্টে আম আদমি পার্টির (আপ) আহ্বায়ক কেজরিওয়ালকে হাজির করেন তিহাড় কর্তৃপক্ষ। দুই পক্ষই বিশেষ বিচারক অমিতাভ রাওয়াতের সামনে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন। সেখানেই সিবিআই কেজরিওয়ালকে নিজেদের হেফাজতে নেয়ার আবেদন করে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির আইনজীবী আদালতে বলেন, আবগারি মামলার তদন্তের অগ্রগতির জন্য কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই তাকে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নিতে চায়। যদিও কেজরিওয়াল দাবি করেছেন, তাকে কোনো নোটিস ছাড়াই জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা করেন দিল্লির এই মুখ্যমন্ত্রী।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গেলো ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এরপর কয়েক দফা ইডির হেফাজত শেষে তাকে তিহাড় কারাগারে পাঠান বিচারক। গেলো বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। তবে শুক্রবার সকালে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে ইডি। পরবর্তীতে কেজরিওয়ালের জামিন স্থগিত রাখে দিল্লি হাইকোর্ট।
শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে ইডির মামলা শোনে হাইকোর্ট। তবে শুনানি শেষে রায় স্থগিত ছিল। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টে যান কেজরিওয়াল।
নিম্ন আদালত যখন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিলো তখন শীর্ষ আদালতে কেজরিওয়ালের মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতেই বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চের সামনে দিল্লি হাই কোর্টের মঙ্গলবারের নির্দেশের কথা উল্লেখ করা হয়। তারপরই শীর্ষ আদালত কেজরিওয়ালকে তার পুরোনো আবেদন তুলে নিয়ে নতুন করে আবেদন করার অনুমতি দেয়।
কেএস/
আন্তর্জাতিক
জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললো পেন্টাগন
বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। দপ্তরটি বলেছে, আজিজের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা পুনঃনিশ্চিত করেছে।
বুধবার (২৬ জুন) পেন্টাগনের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পেন্টাগনের অভিমত ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তরের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর মনে করে জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
ব্রিফিংয়ে প্যাটের কাছে পেন্টাগন অ্যাক্রেডিটেড সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, পেন্টাগন কীভাবে বাংলাদেশের সাথে তার সামরিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব নির্দেশ করছে। কারণ বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে তার উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ব্যাপারে পেন্টাগন কী ভাবছে আমি কী তা জানতে পারি?
জবাবে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, আপনি যেমনটা জানেন এবং আপনার প্রশ্নেও উল্লেখ করেছেন– ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল (আজিজ) আহমেদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গেলো মে মাসে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটিকে পুনঃনিশ্চিত করছে এবং দুর্নীতি রোধে সেখানে (বাংলাদেশে) যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেগুলোকে সমর্থন করে বিভাগটি (পেন্টাগন)।
তিনি আরও বলেন, আমি এই বলে শেষ করতে চাই– বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। অবাধ এবং মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সামুদ্রিক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও মুল্যবোধের ভিত্তিতে সেখানে অংশীদারিত্ব বিরাজমান রয়েছে।
গেলো মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতির সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
এসি//
-
বলিউড6 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
-
বাংলাদেশ7 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
-
আন্তর্জাতিক7 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
-
বাংলাদেশ2 days ago
টাক মাথায় দেশ ছাড়ার গুঞ্জন ছাগলকাণ্ডের মতিউরের
-
বাংলাদেশ5 days ago
রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ছাগলকাণ্ড নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য
-
টুকিটাকি3 days ago
নারী সহকর্মীর সঙ্গে হোটেলে ধরা, পুলিশের ডিএসপি থেকে কনস্টেবলে পদাবনতি
-
বাংলাদেশ3 days ago
জমিকাণ্ডে আলোচিত ডিআইজি জামিলকে বদলি
-
অপরাধ1 day ago
পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে বাধ্যতামূলক অবসরে সেই পুলিশ কর্মকর্তা