Connect with us

বাংলাদেশ

ভয় ধরানো কিছু গোষ্ঠীর বিশ্বাস আর ধর্মাচরণ

Published

on

পৃথিবীতে বিভিন্ন বিশ্বাস মতে চলা এমন কিছু গোষ্ঠী রয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষ ওই গোষ্ঠীর সদস্য হয়ে গোষ্ঠী-নেতার সব কথা অন্ধের মতো অনুসরণ করেছে। এমনকি, নেতার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে গিয়ে স্বাধীনতা এবং সম্পদ, দুই-ই হারাতে হয়েছে তাদের।

এসব বিশেষ কিছু বিশ্বাস মেনে চলা গোষ্ঠীর নেতারা অনেক সময়ই বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে অনুগামীদের নিয়ন্ত্রণ করেন, কখনো কখনো তাদের বিপথেও চালিত করেন।

চলুন জেনে নেই, পৃথিবীর এমনই সব বিপজ্জনক এবং কুখ্যাত বিশ্বাস মতে চলা কিছু গোষ্ঠী এবং সেই সব গোষ্ঠীর নেতাদের কথা।

সিনানন: চার্লস ডেডেরিচ নামে এক ব্যক্তি ১৯৫৮ সালে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মনিকাতে সিনানন নামে একটি বিশেষ গোষ্ঠী শুরু করেন। বিশেষ বিশ্বাস মেনে চলা গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচিত হলেও সিনানন প্রথমে মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসাবে শুরু হয়েছিল। এ গোষ্ঠীর সভায় একজন সদস্যকে মন খুলে কথা বলার অনুমতি দেয়া হত। তবে যখনই একজন সদস্য কথা বলতে শুরু করতেন, ঠিক তখনই সভায় উপস্থিত বাকিরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয়া শুরু করতেন। এ বিশেষ গোষ্ঠীতে নিজেদের জায়গা পাকা করতে সদস্যরা বহু অর্থ অনুদান দিতেন। পাশাপাশি এ গোষ্ঠীতে যোগ দিলে কায়িক শ্রম করা বাধ্যতামূলক ছিল।

সিনানন-প্রধান চার্লস অনুগামীদের বুঝিয়েছিলেন শিশুদের জন্ম দেয়া উচিত কাজ নয়। আর সেই কারণেই তিনি তার পুরুষ অনুরাগীদের বন্ধ্যাত্বকরণের জন্য চাপ দিতেন। চার্লস বহু মহিলা অনুগামীকে গর্ভপাতেও বাধ্য করেছিলেন।

Advertisement

১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর পুলিশ সিনাননের প্রধান ডেরায় অভিযান চালিয়ে চার্লসকে তার লেক হাভাসুর বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখে। পাঁচ বছরের জন্য নজরবন্দি করে রাখার সাজা শোনানো হয় এবং প্রায় তিন লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তাকে। এ-ও নির্দেশ দেয়া হয়, চার্লস আর সিনানন চালাতে পারবেন না। কর ফাঁকি, প্রমাণ নষ্ট করা এবং সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৯১ সালে সিনানন বন্ধ হয়ে যায়। এর ছয় বছর পরে ১৯৯৭ সালে  মারা যান চার্লস।

নেক্সিয়াম: ১৯৯৮ সালে কিথ রেনিয়ের নেক্সিয়াম নামে এক বিশেষ গোষ্ঠীর প্রবর্তন করেন। নেক্সিয়াম বিশেষ ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে অন্যতম চর্চিত গোষ্ঠী হয়ে ওঠে। ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে আসে যে, নেক্সিয়াম আসলে যৌন ধর্মাচরণ করত। নেক্সিয়ামের মোট ১৮ হাজার সদস্য ছিল। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী অ্যালিসন ম্যাক।

এ গোষ্ঠীর গুরু কিথ ধর্মাচরণ করার জন্য একটি বিশেষ জায়গা তৈরি করছিলেন। এ বিশেষ জায়গায় মহিলা অনুগামীদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হত। এ জায়গায় কিথ নিজের মহিলা অনুরাগীদের সঙ্গে অবাধ যৌন মিলন করতেন এবং এ মহিলা অনুরাগীরা যাতে কখনও কারও কাছে মুখ না খোলেন তার জন্য তাদের নগ্ন ছবিও তুলে রাখতেন।

তবে একটা সময় পর ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে কিথের বহু অনুরাগী প্রকাশ্যে কিথের সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ আনেন। ২০২০ সালে বহু মহিলা কিথের বিরুদ্ধে মানসিক এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। মহিলা পাচার এবং শিশুদের নিয়ে পর্নোগ্রাফি তৈরিসহ একাধিক অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কিথকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় নেক্সিয়াম।

চিলড্রেন অব গড: ১৯৬৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার হান্টিংটন বিচে ধর্মদ্রোহী প্রচারক ডেভিড বার্জ ‘টিনস ফর ক্রাইস্ট’ নামে বিশেষ বিশ্বাস মতে চলা গোষ্ঠী শুরু করেন। ডেভিড যিশু খ্রিস্টের আদর্শের সঙ্গে ১৯৬০’র দশকের অবাধ প্রেমের তত্ত্বকে এক করে এমন এক মতাদর্শের প্রবর্তন করেন যা তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট করেছিল।

Advertisement

সারা বিশ্ব জুড়ে এ গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার। ১৯৭০’র দশকে ধর্মাচরণের আড়ালে অবাধে যৌনচর্চার জন্য এ গোষ্ঠী কুখ্যাত হয়ে ওঠে। এমনকি এ গোষ্ঠীর মহিলা অনুগামীরা ধর্মীয় পতিতা’র তকমা পান।

গোষ্ঠীপ্রধান বার্জ শিশুদেরও যৌনমিলনের জন্য উৎসাহিত করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। এমন অভিযোগও ওঠে যে গোষ্ঠীতে যোগ দেয়ায় প্ররোচনা দিতে তিনি মহিলা অনুরাগীদের অন্য পুরুষদের সঙ্গে সঙ্গম করতে চাপ দিতেন।

বলিউডের অস্কারজয়ী অভিনেতা জোয়াকিন ফিনিক্স এবং রোজ ম্যাকগোয়ানের পরিবারও এ গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তবে পরে তারা এ দল ছেড়ে বেরিয়েও আসেন।

এ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন ১৯৯৪ সালে বার্জ মারা যান। ‘টিনস ফর ক্রাইস্ট’-এর নাম বদলে রাখা হয় ‘চিলড্রেন অব গড কাল্ট ফ্যামিলি ইন্টারন্যাশনাল’। এখনও এ গোষ্ঠীর অস্তিত্ব রয়েছে। তবে এ গোষ্ঠী দাবি করে যে বর্তমানে তাদের সদস্যেরা আর যৌনাচার করেন না।

দ্য ম্যানসন ফ্যামিলি: কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, দীর্ঘদিন জেল খাটা অপরাধী চার্লস ম্যানসন লস এঞ্জেলসে ‘ম্যানসন ফ্যামিলি’ নামে এক বিশেষ গোষ্ঠী শুরু করেন। মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলা মাদকসেবন, অবাধ যৌনাচার এবং মন নিয়ন্ত্রণ করা এ গোষ্ঠীর প্রধান আদর্শ হয়ে ওঠে। দলের সদস্যদের এ আদর্শ মেনে চলা ছিল বাধ্যতামূলক।

Advertisement

ম্যানসন নিজেকে দেবদূত হিসাবে জাহির করেছিলেন। তার সদস্যদের মানুষ খুন করার প্ররোচনা দিতেও শুরু করেন ম্যানসন। ১৯৬৯ সালের ৮ অগস্ট, এ গোষ্ঠীর সদস্যেরা আমেরিকার অভিনেত্রী শ্যারন টেট-সহ পাঁচ জনকে নির্মম ভাবে খুন করেন। ঘটনাচক্রে শ্যারন ছিলেন বিখ্যাত পরিচালক রোমান পোলানস্কির স্ত্রী। এর ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ৯ অগস্ট রাতে ম্যানসনের নির্দেশে ‘ম্যানসন ফ্যামিলি’-র সদস্যেরা রোজমেরি এবং লেনো লাবিয়ানকাকে খুন করেন।

১৯৭১ সালে, ম্যানসনকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর ৮৩ বছর বয়সে মারা যান ম্যানসন।

দ্য ফ্যামিলি: ‘দ্য ফ্যামিলি’ ছিল এক বিশেষ ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী, যা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ায় সক্রিয় ছিল। এ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন যোগগুরু অ্যান হ্যামিল্টন বাইর্ন। অ্যান নিজেকে জিশু খ্রিস্টের রূপ হিসাবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। তার দাবি ছিল যে, তার শরীরের মাধ্যমে জিশু খ্রিস্ট পুনর্জন্ম নিয়েছেন। অ্যান এ গোষ্ঠীর সদস্যদের ২৮ জন সন্তানকে দত্তক নেন এবং অন্য সদস্যদেরও তাদের সন্তানদের দত্তক দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন।

অ্যানের লক্ষ্য ছিল এমন একটি গোষ্ঠী তৈরি করা, যা পৃথিবীর ধ্বংসের পর বিশ্বকে নতুন করে শাসন করবে। আর সেই লক্ষ্য পূরণ করতে তিনি এ শিশুদের উপর অত্যাচার করা শুরু করেন। শিশুদের মারধর করা থেকে শুরু করে তাদের অনাহারে রাখা, এমনকি এ শিশুদের উপর মাদকেরও প্রয়োগ করতেন বলে অ্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।

১৯৮৭ সালে পুলিশ অ্যানের লেক ইলডনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বহু শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে অ্যান নিজের সব দোষ অস্বীকার করেন। ২০১৯ সালে ৯৮ বছর বয়সে ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।

Advertisement

পিপলস টেম্পল: ১৯৫০-এর দশকে জিম জোনস নামে এক ব্যক্তি ‘পিপলস টেম্পল’ নামে এ গির্জা তৈরি করেন। তিনি দাবি করেন, খ্রিস্টান ধর্মের মূল তত্ত্বের সঙ্গে সমাজতন্ত্র এবং সমতা প্রচার করাই এ গির্জার প্রধান লক্ষ্য।

তবে জিম বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে পারমাণবিক যুদ্ধ আসন্ন। আর সেই কারণেই গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার ইউরেকাতে চলে যান। ভেবেছিলেন এর থেকে নিরাপদ জায়গা আর হতে পারে না। তবে এরপরেও ভয় জিমের পিছু ছাড়েনি। ১৯৭৭ সালে জিম আবার ‘দ্য পিপলস টেম্পল’কে দক্ষিণ আমেরিকার গুয়ানার একটি প্রত্যন্ত জায়গায় স্থানান্তরিত করেন। নাম দেন জোনসটাউন।

খুব শিগগিরই জোনসটাউন একটি বন্দি শিবিরে পরিণত হয়। কী হত না জোনসটাউনে! সদস্যদের প্রকাশ্যে মারধর থেকে শুরু করে কারাগারে বন্দি করে রাখা, এমনকি জোর করে মাদক নিতেও বাধ্য করা হত সদস্যদের। ১৯৭৮ সালে রাজনীতিবিদ লিও রায়ান এ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলির তদন্ত করার জন্য জোনসটাউনে পৌঁছন। কিন্তু লিও সেখানে পৌঁছতেই পিপলস টেম্পলের নিরাপত্তারক্ষীরা তার উপর গুলি চালান।

বিপদ আসন্ন বুঝে সেদিনই গোষ্ঠীর সদস্যদের জিম সায়ানাইড বিষ এবং মাদক মেশানো শরবত পান করতে বাধ্য করেন। যারা এটি পান করতে রাজি হননি, তাদের শরীরে জোর করে এ বিষ ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়। এ ঘটনায় মোট ৯১৮ জন মারা গিয়েছিলেন। আমেরিকার ইতিহাসে একসঙ্গে এতজন সাধারণ নাগরিক মারা যাওয়ার নিরিখে ৯/১১’র পরেই স্থান পায় এ ঘটনা।

এসি

Advertisement

জনদুর্ভোগ

টানা ২০ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন তিন উপজেলা

Published

on

কিশোরগঞ্জের হাওরবেষ্টিত তিন উপজেলার ২৩ ইউনিয়ন দীর্ঘ ২০ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। রাতে যানবাহনে চার্জ দিতে না পারায় আজ দিনে যাত্রী পরিবহন করতে পারেননি অটোরিকশা চালকেরা। এ ছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা ও হাসপাতালগুলোতেও ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ১১টা থেকে আজ শুক্রবার (১০ মে) রাত ৮টা পর্যন্ত অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বজ্রপাতের সময় কিশোরগঞ্জ গ্রিডের পটেনশিয়াল ট্রান্সফরমার পুড়ে যায়। এরপর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ৩৩ কেভি সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহের পটেনশিয়াল ট্রান্সফরমার (পিটি) বজ্রপাতে পুড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে হাওরের তিন উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের মোট ২৩টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

মিঠামইন পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সহকারী ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কম) প্রকৌশলী দেবাশীষ কুমার তালুকদার প্রান্ত গণমাধ্যমে বলেন, গেলো রাতে কিশোরগঞ্জ গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় তিন উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পল্লীবিদ্যুৎ প্রকৌশলী ও কর্মীরা কাজ করছেন। বিকল্প উপায়ে তিনটি সদর ফিডার চালু করেছি। এতে অতি দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফুটবল

নিলামে মেসি-বার্সা চুক্তির ন্যাপকিন পেপার

Published

on

মেসি ও বার্সেলোনার মধ্যে চুক্তি হয়েছিল একটি ন্যাপকিন পেপারের মাধ্যমে। যে ন্যাপকিনটি অবশেষে নিলামে উঠতে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে নিলাম হওয়ার কথা থাকলেও, তা মালিকানা দ্বন্দ্ব থাকায় স্থগিত হয়ে যায়। তবে নিলামটি আবারও শুরু হতে যাচ্ছে ব্রিটিশ নিলাম হাউস বোনহামসে। জানা যায়, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ কোটি ৩৭ লাখ থেকে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে এই ন্যাপকিনের মূল্য।

ন্যাপকিনটির নিলাম হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের মার্চ মাসে।  কিন্তু মালিকানা প্রশ্নে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় দুই দশক ধরে এই ন্যাপকিনটি ছিল আর্জেন্টিনার ফুটবল এজেন্ট হোরাচিও গ্যাগিওলির কাছে। নিলাম নিয়ে আলোচনা ওঠার পর আরেক এজেন্ট জোসেফ মিনগোলা মালিকানার দাবি তোলেন।

নিলাম হাউস থেকে অবশ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন আর এর মালিকানা নিয়ে কোনো অসুবিধা নেই। যেখানে হোরাচিওর নামেই এটি তালিকাভুক্ত করা আছে।

মেসির সাথে বার্সার চুক্তি হয় ২০০০ সালে। মেসির বয়স তখন কেবল ১৩ বছর। আর্জেন্টিনা থেকে বার্সেলোনায় আসেন ট্রায়াল দিতে। ট্রায়াল পর্যায়ে এতই চমকে দেন যে, সেসময়কার বার্সা ক্রীড়া পরিচালক মেসির পরিবারকে খাবারের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। খাবারের হোটেল থেকে পাওয়া এক ন্যাপকিনে মেসির সাথে বার্সেলোনার ঐতিহাসিক সেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

মেসির সাথে বার্সেলোনার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় ২০২১ সালে। ক্লাবটির হয়ে ৭৭৮ ম্যাচ খেলে ৬৭২ গোল করেন এই ফুটবলার। চুক্তি থাকাকালীন জিতেছেন অসংখ্য পুরস্কার- যেখানে ফিফা বর্ষসেরা, ব্যালন ডি’অর এর মতো অর্জন ছিল। ক্লাবের হয়ে জিতেছেন ১০ টি লা লিগা, ৪ টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। বার্সেলোনার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ছিলেন মেসি। চুক্তি শেষ হওয়ার পর ভক্ত-সমর্থকদের মানতেও বেশ সময় লেগেছে।

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আশুলিয়া নয়, নতুন পরিকল্পনায় টঙ্গী যাবে মেট্রোরেল

Published

on

রাজধানী সবচেয়ে দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেল বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী আনা নেয়া করছে। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া যাওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আপাতত টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের ওই লাইন। এ পথ চালু হলে টঙ্গী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রা পথ হবে ৪৮ মিনিটের।

শুক্রবার (১০ মে) মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এম এ এন ছিদ্দিক গণমাধ্যমে বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত এই যুক্ত করা হবে বলে জানান মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তিনি বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে সংযুক্ত করতে পারলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version