বাংলাদেশ
ভূমি সেবা নিশ্চিতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে আছে: ভূমিমন্ত্রী
ভূমি সংক্রান্ত স্বচ্ছতার বিষয়ে মন্ত্রণালয় নজরদারি করবে এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভূমি সেবা নিশ্চিতে এবং খাস জমি ইজারা দেয়ার বিষয়ে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে আছে। বললেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
বুধবার (৬ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চতুর্থ দিনের প্রথম অধিবেশনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, খাস জমির স্বচ্ছতার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভূমি সেবা নিশ্চিত করতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে আছে। ভূমির বিষয়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি নির্ভর করতে হয় জেলা প্রশাসকদের ওপর। ভূমি কমিশনারদের স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেহেতু এসিল্যান্ড পর্যন্ত বিসিএস ক্যাডার, তাই আশা করছি স্বচ্ছতা বাস্তবায়ন করতে পারব। ভূমিসেবায় স্বচ্ছতা আনতে ভূমিসেবা কার্যক্রম আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মন্ত্রণালয় নজরদারি করবে। এছাড়া ডিসি, এসিল্যান্ড ও ইউনো আছে। আমরা স্থানীয়ভাবে সরাসরি পরিদর্শন করছি। জনগণের কাছ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা যে পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করছি সেগুলো তাদের জানানো হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে পরিচ্ছন্নতা ফিরিয়ে আনতে হবে। এছাড়া তারা খাস জমি নিয়ে কতগুলো সুপারিশ করেছে, আমরা সেগুলোর উত্তর দিয়েছি। যেসব বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি সেসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। একই সঙ্গে তাদের সহযোগিতা করা হবে, যাতে তারা সহজভাবে কাজ করতে পারে।
ভূমি অপরাধ আইনের কি অবস্থা জানতে চাইলে নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, ভূমি অপরাধ আইন হলে বিধির দরকার হয়। বিধির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এই আইন হলে জনগণ উপকৃত হবেন। ফলে কেউ দখলে থাকলে তিনি সুবিধা পাবেন না। কাগজই হবে শেষ কথা।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত অনেক আইন চলমান। ওগুলো তো আমরা নিষ্পত্তি করতে পারব না। তবে এর বাইরে যেগুলো আছে সেগুলো যা যা করার দরকার সেসব আমরা করছি। একটি পরিপত্র ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। স্পষ্ট করে যদি বলি, একটা খতিয়ান থেকে কেউ হয়ত বের হয়ে গেছে, ওই খতিয়ান ধরে অনেকে খাজনা দিতে পারছেন না। যারা বের হয়ে গেছে তাদেরটা আলাদা করে যারা বের হয়নি তাদের পৃথক খতিয়ান করে খাজনা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যারা বের হয়ে গেছেন, তাদের খাস খতিয়ানে ঢুকিয়ে দেয়া হবে। একটা পর্যায়ে তফসিল থাকবে না।
দুর্ঘটনা
স্টিল মিলে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৭
রাজধানী ডেমরায় বাশেরপুল জহির স্টিল মিলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ জন ব্যক্তি দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের অবস্থা আশংকামুক্ত।
শনিবার (১ জুন) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া।
আহত মেকানিক্যাল শিফট ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানান, তিনিসহ তার টিম নিয়ে গিয়ার নামে ওই যন্ত্রটি খুলছিলেন। এ সময় যন্ত্রটি ওভারহিটের কারণে বিস্ফোরিত হয়। তখন খুব কাছাকাছি থাকায় তার এবং সুজন নামে আরেকজনের বুকে, হাতে আঘাত লাগে। আর কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা বাকিদের শরীরে বিস্ফোরণে গরম বাতাস গিয়ে লাগে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জানান, আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে এবং বাকি চারজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আই/এ
অপরাধ
ক্যাম্পে পুলিশের ওপর হামলা, ৫ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক পুলিশ সদস্যকে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় ৫ রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো শুক্রবার (৩১ মে) রাত ৯টার দিকে শফিউল্যাহ কাটা পুলিশ ক্যাম্পে অভিযানে গেলে এ অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১ জুন) পৃথক অভিযানে উপর্যুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- নাজির হোসেন, মো. সাকের, নুর ইসলাম, সৈয়দ আলম ও আমেনা খাতুন। এরা সবাই উখিয়ার ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৫ ব্লকের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
শফি উল্লাহ কাটা পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. আমির জাফর বলেন, পুলিশ ক্যাম্পের টহলদল বের হলে মাঠের উত্তর পাশে ৫ থেকে ৭ জন রোহিঙ্গা বসেছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনের হাতে একটি ওয়ান শুটারগান দেখতে পেয়ে তাকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করেন। একই সময় রোহিঙ্গারাও পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা উখিয়ার ১৬ নম্বর ক্যাম্পের বি/৫ ব্লকের বাসিন্দা সাবেক রোহিঙ্গা নেতা কালুর ছেলে মো. আমিন (২০) চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে আশপাশের শেড থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা দা-লাঠি নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে।
কালুর স্ত্রী সেতারা বেগম তার হাতে থাকা দা দিয়ে টহল দলের এপিবিএন কনস্টেবল শাখাওয়াত হোসেনের মাথায় কোপ মারে। এতে মাথার বাম পাশে রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হলে তাৎক্ষণিক আহত কনস্টেবল শাখাওয়াতকে উখিয়ার জামতলী এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এএম/
জাতীয়
‘মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠানোয় জটিলতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’
মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এই সংকট তৈরির পেছনে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বললেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
শনিবার (১ জুন) দুপুরে সিলেটে এক মতবিনিময় সভা শেষে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় পাঁচ লাখের ওপরে কর্মী প্রেরণের জন্য দেশটির সরকার কোটা দিয়েছিল। সেই কোটা পূরণে কাজ করেছিল বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সঙ্গে কথা বলে কাদের ভিসা হয়েছে আর কাদের ভিসা হয়নি সেই তথ্য চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বায়রা সেই তালিকা দিতে পারেনি। ফলে ফ্লাইটের সমস্যা হয়েছে।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, পরবর্তী সময়ে কর্মী পাঠানোর জন্য ২২টি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারকে সময় বাড়ানোর জন্যও চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখনো সেই চিঠির উত্তর আসেনি।
এর আগে ভিসা পেয়েও যারা মালয়েশিয়া আসতে পারছেন না, তাদের দ্রুত নেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
প্রসঙ্গত, জটিলতার জন্য ৩০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী ভিসা থাকার পরেও মালয়শিয়া যেতে পারেন নি।
-
বলিউড2 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
-
বাংলাদেশ4 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
-
ঢালিউড5 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
-
ঢালিউড2 days ago
উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌর করা যৌতুক মামলায় স্বামীর জামিন
-
বলিউড5 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
-
বলিউড5 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
-
আবহাওয়া4 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
-
বলিউড2 days ago
যে অভিনেত্রীর জন্য ‘নো কিসিং’ নীতি ভেঙেছিলেন সালমান!