Connect with us

চট্টগ্রাম

৬৪ ঘণ্টা পর এস আলম সুগার মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে

Published

on

আগুন

দীর্ঘ ৬৪ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামের এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের আগুন এসেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ভোরে কারখানাটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ১৮টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় এখনো হালকা আগুন দেখা যাচ্ছে। আজ বিকেলের মধ্যে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করা সম্ভব হবে।

ফায়ার ডিজি বলেন, আগুন দেরিতে নিয়ন্ত্রণে আসার কারণ হলো- যে কাঁচামালগুলো ছিল সেগুলো দাহ্য। পানি দেয়ার পরও আবার জ্বলে ওঠে।

তিনি বলেন, কারখানাটিতে এক লাখ মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল মজুত ছিল। আমরা তার ৮০ শতাংশ রক্ষা করতে পেরেছি।

Advertisement

তিনি আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া ঘটনা তদস্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এস আলম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার আক্তার হাসান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। চিনির যে কাঁচামাল রক্ষা করা গেছে, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে তা ব্যবহার করা হবে।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের অনুমতি নিয়ে আজ বিকেল থেকে মূল কারখানায় উৎপাদন শুরু করা হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এই অগ্নিদুর্যোগের কোনো প্রভাব যেন বাজারে না পরে।

এস আলমের এই কর্মকর্তা জানান, পুড়ে যাওয়া গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। বাকি গুদামে বর্তমানে ৬ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল রয়েছে।

এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ওই চিনি কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার খবরে বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে স্থানীয় পাঁচটি ফায়ার স্টেশনের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও কোস্ট গার্ড।

Advertisement

এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মিলে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড থেকে চিনির কাঁচামাল এনে দুটি প্ল্যান্টে পরিশোধন করা হয়। তার মধ্যে প্ল্যান্ট-১ এর দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ৯০০ টন আর প্ল্যান্ট-২ এর দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৬০০ টন। থাইল্যান্ড ও ফ্রান্সের প্রযুক্তি এবং কারিগরি সহায়তায় এ কারখানাটি পরিচালিত হয়।

চট্টগ্রাম

নোটবুকে প্রেমিকের ছবি ও নাম-ঠিকানা লিখে ট্রেনের নিচে তরুণীর ঝাঁপ

Published

on

নোটবুকে প্রেমিকের ছবি ও নাম-ঠিকানা লিখে রেল লাইনের পাশে রেখে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক তরুণী। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় কুমিল্লার বুড়িচংয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত দেড়টার দিকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ওই ছাত্রীর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কুমিল্লার রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মারা যাওয়া কলেজ ছাত্রীর নাম জান্নাত আক্তার। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার নিমবাড়ী গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে। চারগাছ নুরুল ইসলাম ভুঁইয়া ডিগ্রি কলেজের মানবিক শাখার ছাত্রী ছিলেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল বিকাল থেকে ঢাকা- চট্টগ্রাম রেল পথের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকায় মেয়েটি ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে। সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেন। স্থানীয় লোকজন দূর থেকে তাকে বারবার ডাকাডাকি করলেও তিনি শোনেননি। পরে তাকে রেল লাইন থেকে সরাতে স্থানীয়রা এগিয়ে এলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মেয়েটি ট্রেনে ঝাঁপ দেয়ার পর আমরা এসে দেখতে পাই দুটি নোটবুক রেল লাইনের পাশে পাথর দিয়ে চাপা দেয়া। সেখানে একটি ছেলের নাম লেখা- হৃদয় মুন্সী. পিতা হোসেন মুন্সী, উপজেলা সাভার এবং তার ফোন নম্বর, ছবি, মেয়েটির জন্মনিবন্ধনের কাগজপত্র এবং কলেজের আইডি কার্ডও রাখা ছিল।

Advertisement

হৃদয় মুন্সির ফোন নম্বরে কল করে বিষয়টি জানানো হলে তিনি দুর্ব্যবহার করে ফোন কেটে দেন। এরপর বিষয়টি বুড়িচং থানা পুলিশ এবং রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়। রাত দেড়টার দিকে রেলওয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

জান্নাতের আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তার চাচাতো ভাই রাজীব, ইয়াছিন ও আক্তার হোসেন। তারা জানান, জান্নাত কী কারণে আত্মহত্যা করছে কিছুই বুঝতে পারছেন না। যেহেতু সে জন্ম নিবন্ধনের কাগজপত্র সঙ্গে করে এনেছিল, মনে হয়, বিয়ে করার কথা বলে তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। যদি ওই ছেলেটির কারণে জান্নাত আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে তার বিচার দাবি করেন তারা।

কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, মারা যাওয়া কলেজ ছাত্রী সকালে কোচিং করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। পরে তিনি ট্রেনে করে সদর রসুলপুর স্টেশন আসেন। সেখান থেকে তিনি বুড়িচং মাধবপুর এসে পৌঁছান। আমরা সব আলামত জব্দ করেছি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আত্মহত্যার পেছনে যারই প্ররোচনা থাকুক, দোষী প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ৩ কারবারি আটক

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফে ৩৩ হাজার ৪০০ ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৫ । এসময় এ কাজে জড়িত রোহিঙ্গাসহ ৩ মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। গেলো বৃহস্পতিবার (৩০মে) বিকালে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন এলাকার একটি বসতঘরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক ( আইন ও গণমাধ্যম ) মো. আবু সালাম চৌধুরি।

আটককৃতরা হলো, মিয়ানমার আকিয়াব জেলার ছেক্কাইম থানার ডেবাইং গ্রামের আব্দুস শুক্কুরের ছেলে রোহিঙ্গা নাগরিক কাশিম (২০), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড হাবির ছড়া গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে আব্দুল মতলব (৪৫), টেকনাফ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড পুরাতন পল্লান পাড়ার মো. সৈয়দুল হকের ছেলে মো. আয়াছ (১৯)।

আবু সালাম চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে যে, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ হাবির ছড়া এলাকার জনৈক আব্দুল মতলবের পাকা বসতঘরের ভিতর ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্যসহ কতিপয় মাদক কারবারি অবস্থান করছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে (৩০ মে) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে র‍্যাবের অভিযানিক দল উক্ত এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মাদককারবারিরা ঘর থেকে বেরিয়ে পলায়নের চেষ্টাকালে এক রোহিঙ্গা নাগরিকসহ তিনজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। আটককৃতদের দেহ ও বসতঘর তল্লাশী করে খাটের নিচে থাকা একটি সাদা রংয়ের শপিং ব্যাগের ভিতর হতে ৩৩,৪০০ ইয়াবা, ভেঙ্গে যাওয়া ইয়াবা ৩৫০ গ্রাম এবং ৩টি স্মার্ট ও ১টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত কাশিম পার্শ্ববর্তী দেশের নাগরিক ও একজন মাদক কারবারি। জিজ্ঞাসাবাদে সে বাংলাদেশে বসবাসের অবস্থান ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসের এফসিএন কার্ড কিংবা এমআরসি কার্ড নাই বলে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, আটককৃত মাদক চক্রটি একে অপরের যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সাথে জড়িত।

গ্রেপ্তারকৃত কাশিম মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বহন করে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।সেসব মাদক আব্দুল মতলব ও মো. আয়াছ এর নিকট সরবরাহ করতো। পরবর্তীতে তারা পরস্পর যোগসাজশে মিয়ানমার হতে সংগ্রহকৃত মাদক স্থানীয় এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয়সহ কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিল।

র‌্যাব কর্মকর্তা আবু সালাম চৌধুরি জানান, উদ্ধারকৃত মাদকসহ আটককৃত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

৩ কেজি আইসসহ মিয়ানমারের দুই নাগরিক আটক

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফে ৩ কেজি ১০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ মাদকসহ (আইস) মিয়ানমারের দুই নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।

শুক্রবার (৩১ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি-২-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

আটকরা হলেন মিয়ানমারের মংডু মুন্নিপাড়ার বাসিন্দা ইমান হোসেনের ছেলে মো. আলম, নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. আয়াছ।

মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় বৃহস্পতিবার মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে যানবাহনযোগে মাদকদ্রব্য পাচার হতে পারে। ওই তথ্যে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল মেরিন ড্রাইভ সড়কের নোয়াখালীপাড়া নামক স্থানে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে যানবাহন তল্লাশি অভিযান শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যায় শাহপরীর দ্বীপ থেকে হাজম পাড়াগামী একটি সিএনজি চেকপোস্টের কাছে এলে তা তল্লাশির জন্য থামানো হয়। পরে ওই সিএনজিটি তল্লাশির সময় সিএনজির পেছনে দুজন যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক হলে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তাদের হাতে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ৩ কেজি ১০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দিয়ে আটকদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version