Connect with us

বাংলাদেশ

বন্যার্তদের পাশে শাকিব-জলিল

Published

on

ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জবাসী। বানভাসি মানুষদের নিজের সামর্থ্যের মধ্য থেকে পাশে দাঁড়ালেন সুপারস্টার শাকিব খান এবং অভিনেতা, প্রযোজক অনন্ত জলিল। 

গেলো শনিবার (১৮ জুন) শাকিব খান তার ভেরিফায়েড ইন্সটাগ্রাম ও ফ্যান পেজে একটি পোস্ট দিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর খবর জানিয়েছেন। লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলেও সংবাদমাধ্যম ও শুভাকাঙ্খিদের কাছ থেকে জেনেছেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভাগে বন্যা পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। বন্যা কবলিত মানুষদের দুর্দশা তাকে ভীষণভাবে কষ্ট দিচ্ছে।

শাকিব খান বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া মানুষদের পাশে আছি। তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে আমি আমার সামর্থ্যের মধ্যে অর্থ সহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি। একটি তহবিল গঠনেরও কথা ভেবেছি, যা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ও অন্যান্য সহায়তা পৌঁছে যাবে কষ্টে থাকা সেইসব মানুষের সাময়িক সংকট মোকাবিলায়।

এসময় একটি ই-মেইল যুক্ত করে শাকিব বলেন, ‘বন্যা কবলিতদের যে কোনো ধরনের সহায়তা দিয়ে যারা পাশে থাকতে চান, এই ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারবেন skhumanity1@gmail.com।’

গেলো সোমবার (২০ জুন) বিকেলে একটি ভিডিও নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন অভিনেতা অনন্ত। এসময় এ.জে.আই ও এ.বি গ্রুপের অফিস কর্মকর্তাদের সাথে জুম মিটিংয়ে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারের জন্য রেস্কিউ টিম গঠনেরও দিক নির্দেশনা দেন অনন্ত। সেই মিটিংয়ে বন্যার্তদের সহযোগিতা নিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন অনন্ত। সেখান থেকেই অনন্ত ঘোষণা দেন ৩০ লাখ টাকা অনুদানের।

Advertisement

অনন্ত তার ভিডিও পোস্টে বলেছেন, প্রতি বছরের মতো ৮টা, ১০টা বা ১২টা গরু কোরবানি না দিয়ে এ বছর ১টি বা ২টি গরু কোরবানি দেবো। আর কোরবানির টাকা দিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবো। শুধু কোরবানির টাকাই নয়; বিজনেসের টাকা এবং আমি যে সিনেমা মুক্তি দিতে যাচ্ছি ‘দিন দ্য ডে’ সেখান থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে সিলেটে বন্যার্তরা যে কষ্টে আছেন তাদের পাশে দাঁড়াবো। আমরা কেউই টাকা নিয়ে কবরে যাবো না। আমরা সবাই যে টাকা উপার্জন করবো, তা মানুষের কাজে খরচ করতে হবে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। যে যতটুকু পারেন, অবশ্যই মানুষের পাশে দাঁড়ান। সবাই মিলে একটু একটু সহায়তা করলেও তাদের অনেকের উপকার হবে।

সিলেট ও সুনামগঞ্জের  বানভাসি অসহায় মানুষের পাশে সাহায্যার্থে বিত্তবানদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান শাকিব ও অনন্ত জলিল।

অনন্যা চৈতী

জাতীয়

‘জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে’

Published

on

জঙ্গিরা সারাদেশে একদিনে একযোগে আক্রমণ করে তাদের সক্ষমতা জানান দিয়েছিল। পুলিশ জঙ্গিদের সেই ধৃষ্টতা ও অবস্থানকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমরা বলছি না যে জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল করা হয়েছে। কিন্তু জঙ্গিবাদ নির্মূলে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। সেই সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

পুলিশ প্রধান বলেন, জঙ্গিবাদ পুরোপুরিভাবে নির্মূল করা সম্ভব না হলেও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, যারা অনেক বেশি কাজ করে তাদের ভুলত্রুটিও বেশি হয়। বাংলাদেশ পুলিশ যেকোনো উদ্দেশ্যমূলক ভুলত্রুটির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে।

দেশে চলমান উপজেলা নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে পুলিশ প্রধান বলেন, নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দিয়ে থাকে তার আলোকেই দায়িত্ব পালন করে পুলিশ। অতীতেও পুলিশ সদস্যরা দক্ষতার সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছে। সবার কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে।

Advertisement

এর আগে সিলেটে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন পুলিশ প্রধান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন, সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মিরপুরে অটোরিকশাচালক-পুলিশ সংর্ঘষ, পুলিশ বক্সে আগুন

Published

on

অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার প্রতিবাদে এবার রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর আগে অটোরিকশা চালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকট গাড়িও ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।

রোববার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

উল্লেখ্য, দুপুর সোয়া একটার দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়। তারা সড়কের মাঝখানে রশি টানিয়ে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সড়কে তারা গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখতে বাস চালকদের বাধ্য করেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা যায়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র

Published

on

কুমিল্লার তিতাসে ক্লাস চলার সময় আতিকুর রহমান আতিক নামে এক শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল ও ঘুষি মারার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোববার (১৯ মে) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম সোলাইমান। সে উপজেলার মজিদপুর এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। সে মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষক আতিকুর রহমান আতিক মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের সহকারী শিক্ষক।

ভুক্তভোগী শিক্ষক আতিকুর রহমান আতিক গণমাধ্যমকে জানান, স্কুলের ম্যানেজমেন্ট কমিটির অভিভাবক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সোলাইমানের চাচা জসিম মিয়া সদস্য পদে চতুর্থ স্থান অর্জন করে নির্বাচিত হন। চাচা নির্বাচনে ভোট কম পেয়েছে কেন এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয় অভিযুক্ত ওই ছাত্র। এতে গণিত ক্লাস চলার সময় সহপাঠীদের সঙ্গে যারা ভোট দেয়নি তাদের মারধর করবে এমন বেফাঁস মন্তব্য করছিল। এ সময় কথা বলার কারণে ক্লাস নিতে সমস্যা হওয়ায় শিক্ষক আতিকুর রহমান তাকে কথা না বলার জন্য বলেন।

Advertisement

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সোলাইমান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় শিক্ষক তার চাচাকে ফোন দিতে গেলে সোলাইমান ওঠে এসে শিক্ষককে ঘাড় ধরে টেবিলের নিচে মাথা ঢুকিয়ে কিল ঘুষি মারে।

এ ঘটনায় মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজন কুমার সূত্রধর গণমাধ্যমে জানান, এ ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে গেছে। আমরাও থানায় আছি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version