Connect with us

বাংলাদেশ

‘আগে খরচ উঠুক, পরে অন্য সেতুর কথা ভাবা যাবে’

Published

on

মাওয়া-জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতু নির্মাণে যে বড় খরচ হয়েছে সেটা উঠলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আজ (বুধবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আরও সেতু নির্মানের কথা চিন্তা করবো।কোনো প্রয়োজন হলে সেটা থেকে রিটার্ন কি আসবে, সেটাও দেখতে হবে। সেটা দেখেই প্রকল্প হাতে নিবো। এখন এত বড় খরচ হয়েছে, সেটার টাকা আগে উঠুক। তারপরে দ্বিতীয়টা করবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনই এত বড় একটা কাজ শেষ করে, আবার আরেকটা এখনই শুরু করতে পারব না।

শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে গুণগত মান বজায় রাখতে আমরা কোনো ধরনের ছাড় দেইনি।বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে সম্পন্ন করেছি পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়া। পদ্মা সেতুর পাইল বা মাটির গভীরে বসানো ভিত্তি এখন পর্যন্ত বিশ্বে গভীরতম। সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত এই সেতুর পাইল বসানো হয়েছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধ বিবেচনায় ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, সকল ষড়যন্ত্র-প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। এজন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে লাখো শুকরিয়া।বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই- তারা আমার পাশে ছিলেন। তাদের সহযোগিতার জন্যই আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে পদ্মা সেতু।

শেখ হাসিনা বলেন, শুরুতে সেতুর নকশায় রেলপথ না থাকলেও পরবর্তীতে আমার ইচ্ছা ও নির্দেশে রেলপথের ব্যবস্থা করা হয়েছে।ট্রেনের ভার বহন করার মতো সকল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে সেতুতে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতু ঘিরে গড়ে উঠবে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে এবং দেশের শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। আঞ্চলিক বাণিজ্যে এ সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া পদ্মার দু’পাড়ে পর্যটন শিল্পেরও ব্যাপক প্রসার ঘটবে।

টিআর

 

Advertisement

অপরাধ

শ্যালিকাকে ধর্ষণ, দুলাভাই গ্রেপ্তার

Published

on

রাজধানীর ভাষানটেকে  কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. সুমনকে (৩১) ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ ভুক্তভোগী তার বোনের বাসা থেকে নানির বাসায় ফেরার পথে দুলাভাই তাকে ধর্ষণ করে।

রোববার (২ জুন) ধর্ষক সুমনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

র‍্যাব জানায়, ভুক্তভোগী তার নানির সঙ্গে ঢাকার ভাষানটেক এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। দুলাভাই মো. সুমন তাকে একা পেলে প্রায়ই উত্যক্ত করত। লোকলজ্জায় কাউকে বিষয়টি বলতে পারত না।

র‍্যাব আরও জানায়, ঘটনার পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে রাজধানীর ভাষানটেক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেপ্তার সুমন দুই বছর জেল হাজতে থাকার পর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।

পরে আদালত আসামি পলাতক থাকা অবস্থায় বিচারকার্য শেষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান পূর্বক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আসামিকে ভাষানটেক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

দেশের সার্বিক উন্নয়নে নদী ভাঙন রোধের বিকল্প নেই : জাহিদ ফারুক

Published

on

নদীমাতৃক বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে নদী শাসন-প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরির মাধ্যমে ভাঙন রোধের কোন বিকল্প নেই। কারণ ভাঙন রোধ করতে না পারলে আমাদের কৃষি উৎপাদন ক্রমশ কমে যাবে। বললেন, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি

রোববার (২ জুন) দুপুরে গাইবান্ধার  ফুলছড়ি উপজেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জাহিদ ফারুক বলেন,নদীমাতৃক বাংলাদেশে ছোট-বড় ৪শ ৫ টি নদী আছে। কৃষি প্রধান এ এদেশের সার্বিক উন্নয়নে আমাদের নদী গুলোকে শাসন করতে হবে। প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরী করে নদী গুলোর পাশে যে সব গ্রাম আছে শহর আছে সেগুলোকে রক্ষা করতে হবে।

পাশাপাশি ফুলছড়িবাসী তথা এ এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব।  প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই সরেজমিন এ এলাকায় পরিদর্শনে এসেছেন বলেও তিনি জানান।

তিনি বলেন, হেলিকপ্টারে এলাকাটি পরিদর্শন করে তিনি বুঝতে  পেরেছেন এখানে বাঁধ নির্মাণ খুব দরকার। এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে প্রয়োজনীয় সমীক্ষা কার্যক্রম শেষে শীঘ্রই এখানে প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরী করা হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, এসময়ে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের  সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড.আ. ল. ম. বজলুর রশীদ, জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, পুলিশ সুপার কামাল হোসন প্রমুখ।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

গৃহবধূকে ধর্ষণ, আত্মহত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনের

Published

on

কুড়িগ্রামে ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দিনের পর দিন গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও পরে আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ধর্ষণসহ উল্লিখিত সব অভিযোগকে অত্যন্ত মর্মান্তিক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ।

রোববার (২ জুন) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে ধারের ২০ হাজার টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় এক গৃহবধূকে দুই মাস ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে পুলিশের বাধার কারণে থানায় মামলা করতে পারেননি ওই গৃহবধূ। স্থানীয় ইউপি সদস্য চিকিৎসার খরচের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নিয়েছেন। বিষপানের পর গৃহবধূ মারা গেছেন।

গত ৩১ মে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘পাওনা টাকার জন্য গৃহবধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণ, বিষপানে “আত্মহত্যা”’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে আসে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মামলা করতে না পারা এবং চিকিৎসার খরচের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই নেওয়া–সংক্রান্ত অভিযোগগুলো তদন্তে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রতিবেদন মানবাধিকার কমিশনে পাঠাতে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে জরুরি ভিত্তিতে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জানাতে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে।

Advertisement

কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ ঘটনার সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলা হয়। তিনি জানিয়েছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০–এর আওতায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি জয়নালসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version